পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তরাইয়ের তরুণী ঐযুক্ত ডক্টর সেলম লীগেরলভের মূল সুইডিশ উপন্যাস হইতে তাহার অনুমতি অনুসারে শ্ৰীলক্ষ্মীশ্বর সিংহ কর্তৃক অনুদিত শ্রীসেলম লীগেরলভ ও শ্ৰীলক্ষ্মীশ্বর সিংহ গুড়মুণ্ডের মনে হইল, হিলছর তাহার ভালবাসার স্বযোগ লষ্টয়া হেল্গাকে বাড়ী হইতে বিদায় করিয়া দিতে তাহাকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করাইয়াছে। এতদিন পর্য্যস্ত গুডমুণ্ড মনে করিয়াছে, হিলদ্বরের মত মেয়ে আর নাই ; শতমুখে সে তাহার প্রশংসা করিয়াছে, সমস্ত প্রাণ দিয়া তাহাকে ভালবাসিন্ধাছে । হিলদ্বরের সঙ্গে অস্ত কোন মেয়ের তুলনাই চলে না—তাহাকে জীবনসঙ্গিনীরূপে পাইবে বলিয়া গুড়মুণ্ড খুবই গৰ্ব্ব অনুভব কুরিত । বিবাহ করিয়া তাহারা অনেক ধনসম্পদের মালিক ইবে এবং সকলেই তাহাদিগকে প্রীতির চক্ষে দেখিবে ; হলদুর যে-সংসারে গৃহিণী হইবে, সে-সংসারে বাস করা ঃতষ্ট না মুখের হইবে—এই সব চিন্তাই তাহার মন জুড়িয়া iাকিত । এ-কথাও সে ভাবিয়া রাখিয়াছে ষে বিবাহের পর অনেক ধন-সম্পদের মালিক হইয়া সে ঘরবাড়ী ও যিক্ষেত্রের অনেক উন্নতি করিতে পারিবে, এবং নিশ্চয়ই গ্রামের মধ্যে বড় লোক বলিয়া সে পরিগণিত হইবে । মে-দিন সকাল বেলা সে হেলগার সঙ্গে চার্চ হইতে iাড়ী ফিরিয়াছিল সেই দিনই বিকালে সে গিয়াছিল লবোকায়। হেলগার কথায় হিলছর সেদিন বলিয়াছিল, হলগা তাহাদের বাড়ী ছাড়িলে তবেই সে নেবুলুন্দায় টিবে। গুডমুণ্ড তাহার কথাকে বিদ্রুপ বলিয়া উড়াইয়া তে চাহিয়াছিল, কিন্তু পরে বুঝা গেল ষে হিলছুর সত্যই গই চায়। গুডমুণ্ড হেলগার পক্ষ লইয়া বলিয়াছিল, ক্ষরিত্র প্যের মোরটেনসনের বাড়ীতে হেলগা যখন রাষ্ট্রর কাজ লয়, তখন তাহার বয়স ছিল অতি অল্প ; রি মোরটেনসনের মত লোক যে বিশ্বাসঘাতকতা করিয়া শকে ঠকাইয়াছে তাহাতে আশ্চর্ঘ্যের বিষয় কিছু নাই। " তাহার বাবা-মা হেলগার তত্বাবধানের ভার লইবার পর হইতে এখন তাহাকে চমৎকার মেয়ে বলা যাইতে পারে। তাহাকে ছাড়াইয় দেওয়া মোটেই উচিত নহে ; তাহা হইলে আবার নিশ্চয়ই তাহার কোন অনিষ্ট ঘটিতে পারে । হিলফুর কিন্তু নিষ্ণুর মত পরিবর্তন করিতে একেবারেই প্রস্তুত নয়। সে উত্তর দিল, “যদি এই মেয়ে নেবুলুন্দায় থাকে তবে আমি কখনও সেখানে যাইব না। এরূপ মেয়েকে ঘরে রাখাটা আমি মোটেই বরদাস্ত করিতে পারিব না।” গুডমুও বলিল, “তুমি কি করিতেছ তাহা বুঝিতেছ না। হেলগার মত মা’র যত্ন আর কেহই করিতে পারে না। সে যে আমাদের বাড়ীতে কাজ করিতে আসিয়াছে তাহাতে বাড়ীর সকলেই সুখী। পূৰ্ব্বে সৰ্ব্বদাই মার মেজাজ রুক্ষ হইয়া থাকিত, দিন রাত তিনি বকবিকি করিতেন।” “তাহাকে কাজ ছাড়াইয়া দিতে ত আমি তোমাকে বাধা করিতেছি না,—”এই বলিয়া হিলছর চুপ করিয়া রহিল। কিন্তু স্পষ্টই বুঝা গেল যে, গুডমুণ্ড হিলছরের মতানুযায়ী না চলিলে সে তাহাকে বিবাহ নাও করিতে পারে। গুডমূও নিতান্ত নিরুপায় হইয়া বলিল, “জাচ্ছ, তা হইলে তাই হইবে।” হেলগার জন্ত সে নিজের ভবিষ্যৎকে জলাঞ্জলি দিতে পারে না । কিণ্ড হিলছুরের মতে সাম্ব দেওয়ার পর ক্রমেই তাহার মুখ বিবর্ণ হইয়া উঠিতেছিল । সমস্ত সভাকালটাই সে অনুসন্ন মুখে চুপ করিয়া কাটাইল । হিলছুরের সম্বন্ধে গুডমুণ্ড যে উচ্চ ধারণা পোষণ ੇਿਚ হস্থত বা তাহা সম্পূর্ণ সত্য নয় এই কথা মনে করিয়া সে শঙ্কিত হইয়া উঠিল । হিলছুর ষে জোর করিয়া নিজের মত তাহার উপর চালাইয়াছে এ-জিনিষটা তাহার মোটেই