পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆ గిషి প্রবাসী SNరిg8 তৎক্ষণাৎ সে আবার কোটের পকেটে ছুরিট রাখিয়া দিল— ষেন ইহা তাহাকে পোড়াইয়া মারিবে । সে আর কফি পান করিল না-চুপ করিয়া অনেকক্ষণ পৰ্যন্ত চিন্তিত ভাবে বসিয়া রহিল। তাহার কপাল কুঞ্চিত হইয়া উঠিয়াছে, সে ষে একটা কিছু মনে করিবার চেষ্টা করিতেছে বেশ বুঝা ध्रि । অবশেষে সে সমস্ত শরীর টান করিয়া দাড়াইয়া হাই তুলিল, তার পর ধীরে ধীরে দরজার দিকে অগ্রসর হইল। ঘর হইতে ৰাহির হুইবার সময় বলিল, “একটু ব্যায়াম করার প্রয়োজন মনে হইতেছে। সারাদিন শুধু ঘরেই কাটাইয়াছি।” প্রায় একই সময়ে তাহার পিতা চেয়ার হইতে উঠিয়া পড়িয়াছেন। তাহার পাইপের তামাক পুড়িয়া ছাই হইয় গিয়াছে । তিনি তামাক আনিবার জন্ত নিজের ছোট ঘরে গিয়াছেন। টেবিলের পাশে দাড়াই পাইপে তামাক ভরিতেছেন, এমন সময় তিনি দেখিতে পাইলেন যে গুডমুগু বাহিরে কোথায় চলিয়া যাইতেছে । ছোট কোঠার জানালা দিয়া ঘরের আঙ্গিনার সমস্ত অংশ ভাল করিয়া দেখা যায় না । ছোট বাগানে কয়েকটি প্রকাও বড় নানা জাতের গাছ, তাহার পিছনে একটি জলাশয় । বসন্তকালে উহা জলে পুর্ণ থাকে, কিন্তু গ্রীষ্মকালে জল একেবারে শুকাইয়া যায় । সাধারণতঃ ঐদিকে কেহ বড় যাইত না । বুদ্ধ এরল্যাণ্ডসন মনে মনে ভাবিলেন-গুড়মুগু কি উদ্দেশুে অসময়ে ঐখানে যাইতেছে ? তাহার চোখ গুড়মুণ্ডের গতিবিধি লক্ষ্য করিতেছিল । তিনি দেখিলেন যে, তাহার ছেলে কোটের পকেটে হাত দিয়া কি একটা জিনিষ বাহির করিয়া জলের মধ্যে ছুড়িয়া ফেলিয়া দিল । তিনি নিজে ঘরের বাহির হইয়া ছোট বাগানের মধ্যে গেলেন ও বেড়া ডিঙাইয়া জলাশয়ের পথ হইতে কিছু দূরে অন্ত দিকে চলিতে আরম্ভ করিলেন । - ইতিমধ্যে র্তাহার ছেলে সেখান হইতে অদৃপ্ত হওয়া মাত্রই তিনি 'জলাশয়ের দিকে অগ্রসর হইলেন । সেখানে কিছুক্ষণ জুতা খুলিয়া খালি পায়ে জলের মধ্যে স্থাটাইটি করিলেন কিছুক্ষণ পরেই তাহার, পায়ে কি একটা জিনিষ ঠেকিল, তিনি উহা হাতে তুলিয়া লইলেন। জিনিষ সেই ভাঙ ছুরির হাতল । জলের মধ্যে দাড়াইয়াই তিনি হাতলটিকে ঘুরাইয়া ফিরাইয়া অতি মনোযোগের সহিত পরীক্ষা করিয়া দেখিলেন, তার পর নিজের পকেটে রাখিয়া দিলেন। ঘরে ঢুকিবার পূৰ্ব্বে আবার পকেট হইতে ছুরিটি বাহির করিয়া কয়েকবার দেখিয়া লইলেন । বাড়ীতে সকলেই শষ্য আশ্রয় করিবার পর গুড়মুও ঘরে ফিরিল। বড় ঘরের টেবিলের উপর তাহার রাত্রির জাহার্ষ্য সাজান ছিল, কিন্তু সে তাহা না ছুইয়া সোজা বিছানায় গুইয়া পড়িল । এরল্যাণ্ডসন ও তাহার স্ত্রী ছোট ঘরে গুইতেন। শেষ রাত্রে এরল্যাগুসনের মনে হইল, অপর ঘরের জানালার পাশে যেন কাহার পায়ের শব্দ। তিনি বিছানা ছাড়িয়া জানালার পর্দা তুলিয়া দেখিতে পাইলেন, গুডমুণ্ড জলাশয়ের দিকে যাইতেছে। সে সেখানে পৌছিয়া পায়ের জুতমোজা খুলিয়া জলে নামিয়া ইটিতে আরম্ভ করিল । সে এখানে সেখানে থামিয়া পা দিয়া যেন কি একটা জিনিষ খুজিতেছিল। অনেকক্ষণ খোজার পর সে পড়ে উঠিল, মনে হইল এখন সে চলিয়া আসিবে । কিন্তু খানিকক্ষণ পর আবার সে জলে নামিল। এই ভাবে ঘণ্টা খানেক তাহার পিতা তাহাকে লক্ষ্য করিলেন। অবশেষে গুডমুণ্ড ঘরে ফিরিয়া আবার বিছানায় গুইয়া পড়িল । পরদিন রবিবার। গুডমুণ্ড গাড়ীতে কfরস্থ গীর্জায় যাইবার জঙ্ক প্রস্তুত হইতেfছল । সে ঘোড়া দুইটিকে গাড়ীতে জুড়িয়াছে এমন সময় তাহার পিতা গাড়ীর পাশ দিয়া যাইতে যাইতে বলিলেন, “ঘোড়ার সরঞ্জাম পরিষ্কার করিতে ভুলিয়া গিয়াছ যে ” গাড়ীঘোড়ার সাজসরঞ্জাম সভ্যই অপরিস্কার। কিন্তু গুডমুণ্ড “এসব ভাবিবার সময় নাই” বলিয়া অগুমনস্কভাবে কিছু লক্ষ্য না করিয়াই গাড়ী হাকাইল । গীর্জার উপাসনা শেষ হওয়ার পর সে সেখান হইতে হিলদুরকে সঙ্গে করিয়া এলবোক্রোয় গিয়া সারাদিন কাটাইল । সেদিন তাহার কুমারী-জীবনের শেষ দিন উপলক্ষ্যে উৎসব করিবার জন্ত হিলছুরের অনেক বন্ধু তাহাজের বাড়ীতে একত্র হইয়াছিল। অনেক রাত পৰ্য্যস্ত বাড়ীতে নাচ-গান চলিল। সারানি গুডমুণ্ড প্রয়োজনের অতিরিক্ত একটি