পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कोछुन्म সময়ে সে এমন চীৎকার করিয়া হাসিয়াছিল—অক্ষান্ত সকলে এরূপ ব্যবহারের ইহার কোন সঙ্গত কারণ দেখিতে পায় নাই । রাত্রি প্রায় দুইটার সময় সে বাড়ী ফিরিয়া আস্তাবলে ঘোড়া রাখিয়াই আবার জলাভূমির দিকে অগ্রসর হইল । জুভ-মোজা খুলিয়ু পরিধেয় হাটুর উপর পধ্যস্ত তুলিয়া জলে নামিয়া সে কি খুজিতে আরম্ভ করিল। গ্রীষ্মকালের প্রশাস্ত রাত্রি । তাহার পিতা জানালার পর্দার আড়ালে দাড়াইয়া পুত্রের গতিবিধি লক্ষ্য করিতেছিলেন। সে ধে মাঝে মাঝে জলে হাত ডুবাইয় গত রাত্রির ন্যায় কি একট। জিনিষ খুজিতেছে তাহা তিনি লক্ষ্য করিতেছিলেন । মাঝে মাঝে সে পাড়ের দিকে আসিতেছিল, যেন জিনিষটা খুজিয়া পাওয়ার কোন আশা নাই। কিন্তু আবার খানিকক্ষণ পর জলে নামিতেছিল। একবার একটা পুরাতন বালতি কুড়াইয়া ছোট ছোট গৰ্ত্ত হইতে জল সেচিতে লাগিল। যেন সে গৰ্ত্তগুলিকে জলশূন্য করিয়া ফেলিতে চায় ; আবার ইহা অসম্ভব বুঝিতে পারিয়া বালতি ছুড়িয়া ফেলিমা দিল । আবার কোথা হইতে সে পুরাতন একটা মাছধরা জাল কুড়াষ্টয়া আনিয়া জলে ফেলিল, কিন্তু কাদা ভিন্ন জালে আর কিছুই উঠিল না। তার পর সে সে-স্থান ছাড়িয়া আসিয়া যখন ঘরে ঢুকিল, তখন এত দেরি হইয়া গিয়াছে ষে বাড়ীর সকলেই বিছানা ছাড়িয়া ধার ধার কাজ আরম্ভ করিয়াছে। সে এত ক্লাস্ত হইয়াছিল ধে কাপড় না বদলাইয়াই বিছানার উপর শরীরকে হেলাইয়া দিল । বেলা আটটার সময় তাহার পিত। তাহাকে জাগাইয়া ছিলেন। গুডমুণ্ড লেপের উপরেই গুইয়া ছিল। তাহার জাম-কাপড় কাদামাখ। কিন্তু সে কি করিয়াছে, সে সম্বন্ধে তাহার পিতা তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন না। শষ্য ত্যাগের সময় হইয়াছে, তিনি শুধু ইহা বলিয়া দরজ জানালা ধুলিয়া দিলেন। গুণ্ডমূও জন্য কোঠায় গিয়া অরক্ষণ পর জমকালো বিবাহের পোষাক পরিয়া নীচের তলায় বড় ধরে চুৰিল। তাহার মুখ বিবর্ণ, চোখ চঞ্চল, কিন্তু তবুও এমন স্বন্দর যেন কখনও আর তাহাকে দেখায় নাই । তাহার ভরাইয়ের তরুণী ఆగిరి সৰ্ব্বদেহে প্রাণের উজ্জ্বলতা ফুটিয়া বাহির হইতেছিল—সে যেন আর রক্তমাংসের মানুষ নয়, প্রেমের জীবন্ত প্রতিমূৰ্ত্তি । উৎসব উপলক্ষ্যে বড় ঘরটি অতি স্বন্দর করিয়া সাজান হইয়াছিল। তাহার মা বিবাহের যাত্রী হইয়া ধাইতে অসমর্থ হইলেও উৎসবোচিত কালো-পোষাকে সাঞ্জিয়াছিলেন এবং সিদ্ধের শাল পরিয়াছিলেন । বাড়ীর চাকরচাকরাণী সকলেই যার যার সৰ্ব্বোত্তম পোষাকে সাজিয়া আসিয়াছিল । সদ্যসংগৃহীত বার্চ গাছের পাতায় মুরের চিম্নী মণ্ডিত, টেবিলটা অতি চমৎকার নূতন চাদরে জাৰ্বত, তাহার উপর নানা প্রকারের খাদ্যবস্তু সাজাইয়া রাখা হইয়াছে। সকলের ধাওয়া শেষ হইলে পর শ্রযুক্ত ঈঙ্গেবর্গ একটি স্তোত্র পাঠ করিলেন এবং পরে বাইবেল হইতে একটি অংশ বাছিয়া পড়িলেন। তার পর তিনি গুড়মুণ্ডের দিকে ফিরিয়া ধন্যবাদ জানাইয়ু বলিলেন, চিরকালই সে স্বপুত্রের স্কায় ব্যবহার করিয়াছে। “ভবিষ্যৎ জীবনে মুখী হও” বলিয়া তিনি সৰ্ব্বশেষে ছেলেকে আশীৰ্ব্বাদ কfরলেন। ঐযুক্ত ঈঙ্গে বর্গ নিজের বক্তব্য বেশ স্বন্দর করিয়া গুছাইয়া বলিতে পারিতেন। তাহার কথা গুডমুণ্ডের মনকে অত্যন্ত স্পর্শ করিয়াছিল । গুণ্ডমুণ্ডের চোখের জল যেন ঠেলিয়া বাহির হইতেছিল, সে তাহ সংযত করিয়া রখিল । তাহার পিতাও কয়েকটি কথা বলিলেন ; “তোমার বাবা-মার পক্ষে তোমার নিকট হইতে বিচ্ছিন্ন হওয়া একান্তই দুঃখের বিষয়", এই বলিয়া তিনি নিজের কথা আরম্ভ করা মাত্রই গুড়মুও আর চোখের জল রাখিতে পারিল না। চাকর-চাকরাণীরাও একে একে গুডমুণ্ডের করমর্দন করিল ; সকলেই এত দিন একত্র স্বখে বসবাস করার জঙ্ক ধন্তবাদ জানাইল । অশ্রধারা তাহার চোখ দুটিকে বাম্পাকুল করিয়া দিতেছিল । সে কয়েকবার গল পরিষ্কার করিয়া কথা বলিবার চেষ্টা করিল, কিন্তু একটি কথাও সে পরিষ্কার করিয়া বলিতে পারিল 국 বিবাহের আসরে উপস্থিত থাকিবার জন্ত শুভমুণ্ডের সঙ্গী হইয় তাহার পিতার বিবাহবাড়ীতে যাওয়ার কৰা । তিনি গাড়ীতে ঘোড়া জুতিবার জন্ত ঘরের বাহির হইলেন। পরে রওয়ান হইবার সময় উপস্থিত হইলে পর, তিনি