পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ويال وينة 心電W河童 SN●88 আমার দুঃখের মধ্যে হিলছুরকে টানিয়া জানিবার অধিকার আমার নাই । তাহা হইলে সে কখনও আমাকে ক্ষম। করিবে না।” তাহার বাবা তাহাতে সায় দিয়া বলিলেন, “এলবোক্রোর পরিবার অন্ধান্তদের মত নিজেদের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখিতে প্রয়াসী । আমি তোমাকে বলিতেছি, उछभू७-चांछ बाघ्नौ श्रङ ब्र७ब्रांना श्eबाब्र नभङ्गशे कि করিয়াছিলাম যে, তুমি নিজের কথা নিজে স্বীকার করিতে মন না করিয়া থাকিলে অন্ততঃ আমাকেই তাহ বৰিতে হুইবে । ইহা অামার কৰ্ত্তব্য । নরহত্যার অভিযোগে ম্বে কোন মুহূৰ্ত্তে ষে গ্রেপ্তার হইতে পারে, এমন লোককে হিলছর বিবাহ করে, তাহ জামি কখনও অমুমোদন করিতাম না ।” তিনি ঘোড়াকে চাবুক লাগাইয়া যত দ্রুত সম্ভব গাড়ী ইাকাইতেছিলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে বলিতেছিলেন , “তোমার পক্ষে স্বীকারোক্তি করা যে কত কঠিন, আমি বেশ বুঝি ; কিন্তু আমরা এমন ব্যবস্থা করিব ষে তাহাতে অধিক সময় লাগিবে না । আমার বিশ্বাস যে এলবোক্রোর পরিবার তোমার কাৰ্য্যকে উচিত বিবেচনা করিবেন এবং সে জন্ত হয়ত বা তাহার তোমার প্রতি সঞ্জয়ও হুইতে পারেন।” গুডমুণ্ড কোন উত্তর দিল না। তাহারা যতই এলবোক্রোর নিকটবর্তী হইতেছিল, তত বেশী করিয়া গুণ্ডমুণ্ডের মুখ বিবর্ণ হইয়া উঠিতেছিল। তাহাকে সাহস দিবার জন্ম তাহার পিতা অনবরত কথা বলিতেছিলেন। তিনি বলিতেছিলেন, “এইরূপ একটি ঘটনা আমি পূৰ্ব্বেও একবার গুনিয়াছিলাম। ব্যাপারটি এক পুরুষসম্পর্কে । শিকার করিবার সময় তাহার এক বন্ধু মারা গিয়াছিল। সে ইচ্ছা করিয়া বন্ধুকে গুলি করে নাই, সে ৰে গুলি করিয়াছে তাহাও প্রতিপন্ন হয় নাই। কয়েক দিন পর তাহার বিবাহ হইবার কথা। বিবাহের দিন কস্তার পিত্রালয়ে বিবাহ-আসরে উপস্থিত হইয় সে ভtহার ভাবী পত্নীকে জানাইল, তাহার পক্ষে বিবাহ করা সম্ভব নয়। ষে-দুঃখ তাহার জন্তু অপেক্ষা করিতেছে, বিবাহ করিয়া অন্তকে তাহাতে টানিয়া আনিতে সে চায় না। বস্তার মন্তকে তখন বিবাহের মুকুট পরান হইয়াছে, বিবাহের মাদলিৰ উৎসরের জন্ত সব প্রস্তুত । বরের কথা শুনিয়া সে তাহার হাতে ধরিয়া অতিথিদের আসরে লইয়া গিয়া উপস্থিত অতিথি-অভ্যাগত সকলের নিকট, তাহার বর এই মাত্র যে সংবাদ দিয়াছে তাহার বর্ণনা দিতে লাগিল। পরে বরের দিকে ফিরিয়া সে বলিল, “আমি তোমার কথা সকলের নিকট গোচর করিয়াছি যেন সকলেই জানিতে পারে তুমি কিছু মিথ্যা বল নাই। এখন বিবাহকার্ধ্য সমাধা হউক ; দারুণ দুঃখ তোমার জন্ত অপেক্ষা করিয়া আছে, তবু তুমি জানিও, তুমি চিরকাল আমার নিকট একই থাকিবে, আমি তোমার সুঙ্গিনী হইয়া তোমার দুঃখের ভারকে লঘু করিতে कांझे !” তাহার পিতা এই কাহিনী শেষ করার সঙ্গে সঙ্গেই গাড়ী বড় রাস্ত ছাড়িয়া এলবোত্রায় যাইবার ছোট গলিতে পৌছিয়াছে। গুগুমুও তাহার পিতার দিকে তাকাইয়া দুঃখের হাসি হাসিয়া বলিল, “এখন আর সেরূপ কিছু হইবে না।” এইবার তাহার পিতা সোজা সটান হইয়া বসিদ্ধ উত্তর দিলেন, “কে জানে ?” তিনি ছেলের দিকে তাকাইতৃেছিলেন–জাজ তাহাকে এত সুন্দর দেখাইতেছিল যে তাহার বিশেষ আশ্চৰ্য্য বোধ হইল। মনে মনে তিনি ভাবিলেন, “আজ যদি অসম্ভব কিছু ঘটে তবে আমি মোটেই বিস্থিত হইব না।” বিবাহকাৰ্য গীর্জায় সম্পাদিত হুইবে বলিয়া স্থির হইয়াছিল । অনেক লোক ইতিমধ্যে এলবোজা-ফারমের আজিনায় ভিড় করিয়া দাড়াইয়াছিল। সকলেই বিবাহের বরষাত্রী হইয়া গীর্জায় যাওয়ার জঙ্ক প্রস্তুত। এলবোত্রীপরিবারের অনেক আত্মীয়স্বজনও অনেক দূর হইতে বিবাহে ধোগ দিবার জগু আসিয়াছিল। ভtহারা সকলেই উৎসবের বেশে সজ্জিত হই। ঘরের বারান্দায় বসিয়াছিল। দুই ও চারি চাকার অনেকগুলি গাড়ী ঘরের উঠানে আনিয়া রাখা হইয়াছে, আস্তাবলে ঘোড়াগুলিকে ডলান হইতেছে । মাটিতে ঘোড়াগুলির পায়ের শব্দ বাহির হইতে শোনা যায়। গ্রাম্য বাদক এক অন্ত বারান্দায় বসিয়া বেহালায় স্থর বাধিতেছে। পাত্ৰী বিবাহের বেশে সজ্জিত হইয়া বরকে দেখিবার জন্ত তিলের জানাল দিয়া বাহিরে তাকাইয়া আছে।