পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

न्धकांड्छब्र “বাব, তুমি কি এ-কথা জানিতে ” *গত শনিবার দিন সন্ধ্যার সময়ই আমি লক্ষ্য করিয়াছি ষে বিশেষ কোন অশুভ ঘটনা ঘটিয়াছে। পরে তোমার একটি ছুরি জলাভূমিতে কুড়াইয়া পাইয়ছিলাম।” "ঙ্গ্য, ভাহা হইলে তুমি সেটা পাইয়াছ ?” *ই্য, আমি পাইয়াছি, দেখিয়াছি উহাতে একটা ফল নাই।” “হ্যা বাবা, আমি জানি ষে ইহার একটি ফলা নাই । কিন্তু আমার মোটেই মনে পড়ে না যে আমি খুন করিয়াছি।” “ত নিশ্চয়ই মঙ্গের নেশায় ইহা ঘটিয়াছিল।” “কিন্তু আমি কিছুই জানি না, কিছুই আমার মনে পড়ে না । পোষাক দেখিয়া আমার মনে হইয়াছিল যে আমি মারামারিতে যোগ দিয়াছিলাম । ইহাও আমি জানি যে ছুরির একটি ফল নাই ।” তাহার বাবা উত্তর করিলেন, “তুমি যে এ-বিষয়ে নীরব থাকিতে চাহিয়াছিলে, ইহা আমি বুঝিয়াছিলাম।” . “আমি মনে করিয়াছিলাম যে আমার স্তায় অক্ষান্ত বন্ধুরাও মঙ্গের নেশায় বিভোর ছিল, তাহদেরও কিছু মনে সাই । হয়ত ছুরির হাতল ছাড়া খুনের অক্ষ কোন প্রমাণ নাই, তাই আমি ইহ জলে ফেলিয়া দিয়াছিলাম।” “আমারও মনে হইয়াছিল যে তুমি এরূপ ভাবিয়াছিলে ।” “বাবা, তুমি ত দেখিতেছ যে, কে খুন করিয়াছে ইহার কিছুই আমি জানি না, হয়ত বা লোকটিকে আমি পূৰ্ব্বে কখনও দেখি নাই। আমি যে তাহাকে হত্যা করিয়াছি ইহার কিছুই আমার মনে পড়ে না। আর ভাই আমিও ভাবিয়াছিলাম, যে-কাজ আমি অজ্ঞানে অনিচ্ছায় করিয়াছি তাহার জন্ত আমি ভূগিব কেন ? কিন্তু পরে আমার মনে হইয়াছে ষে ছুরির বাট জলে ফেলিয়া বুদ্ধিহীনতার কাজ করিয়াছি। গ্রীষ্মকালে জল ত গুকাইয়া যায়, তখন ষেকেহ তাহা কুড়াইয়া লইতে পারে, এবং সেজন্য গত কল্য ও তার পূর্বের দিন রাত্রে আমি ইহা খুজিয়া বাহির করিতে চেষ্টা করিয়াছিলাম।” br8ー。 তরাইয়ের তরুণী ఆh( “তুমি কি তবে স্বীকার না-করিতে করিয়াছিলে ?” “ন, শুধু গত কল্য আমার মনে হইয়াছে কি ভাবে সমস্ত ব্যাপারকে চাপা দিয়া রাখা ধায় এবং সে জন্ত গত রাত্রে আমি মত্ত হইয়া নাচিয়াছি ও মনটাকে ভাল করিবার চেষ্টা ৰুরিয়াছি, যাহাতে কেহ কিছু সন্দেহ ন-করিতে পারে।” “তুমি ভাহা হইলে স্বীকার না করিয়া বিবাহ করিতে চাও? ইহা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য কাজ। তুমি কি বোঝ ন৷ যে হাতলটা পাওয়া গেলে পর তোমার নিজের ছুঃখের মধ্যে হিলদুর ও তাহার পরিবারের সকলকে টানিয়া আনিবে ?” “আমার মনে হইয়াছিল তাহাদিগকে এসব না জানানই ভাল।” - গাড়ী পূর্ণ গতিতে সামনের দিকে চলিতেছিল। তাহার পিতা যেন যথাসম্ভব শীঘ্ৰ গন্তব্যস্থলে পৌছিবার ইচ্ছা করিতেছিলেন । সমস্ত সময় তিনি ছেলের সঙ্গে কথা বলিতেছিলেন । জীবনে হয়ত তিনি এত কথা পূৰ্ব্বে কখনও বলেন নাই । তাহার পিতা জিজ্ঞাসা করিতেছিলেন, “আমি প্রশ্ন করিতেছি, কি জন্ত তুমি হঠাৎ অন্তরূপ চিন্তা করিতেছ?” “হেলগার আগমন ও শুভ কামনাই ইহার কারণ। পূৰ্ব্বে আমার মধ্যে যে কঠিনতাটুকু ছিল সেটা এখন চুর্ণ হইয়া গিয়াছে। আমার ভাবাবেগ চরমে উঠিয়াছিল ; তোমার ও মার সম্বন্ধে আমার মনের উচ্ছ্বাস সংবরণ করা কঠিন হইয়া উঠিয়াছিল, আমি বলিতে চাহিয়াছিলাম যে আমি তোমাদের এত স্নেহ-ভালবাসার যোগ্য নই ; কিন্তু তখনও আমার মনের কঠিনতা আমাকে তাহা বলিতে বাধা দিয়াছিল। কিন্তু হেলগা আসিবার পর আমি আর আমাকে ঠেকাইয়া রাখিতে পারিতেছিলাম না। আমার মনে হইয়াছিল ষে আমার প্রতি হেলগার রাগ করা উচিত। আমি তাহার নিকট দোষী ; আমার জন্তই ত তাহাকে আমাদের বাড়ী ছাড়িতে হইয়াছিল।” তাহার বাবা বলিলেন, “আমার মনে হয়, এলবোক্রোয় পৌছিয়াই সমস্ত জানান উচিত। এ বিষয়ে কি তুমি আমার সঙ্গে একমত ?” 鬱 অক্ষুট স্বরে গুডমুও উত্তর , করিল, “হ্যা"–কিন্তু খানিকক্ষগ্ন পর জোর দিয়া শান্তভাবে বলিল, “নিশ্চয়ই।