পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مناسبتها প্রষণসী SNరి83 লাগল, তাতেই হোক, ঠাগু হাওয়াতেই হোক বা কম্বলের প্রাস্তের সরু সরু পশমী গোছগুলো লেগেই হোক—টাটুর এল হাচি। তের বেলা উপোস করলে যদি এ হাচি ঠেকানো যেত তাতেও টাটু স্বীকার পেত। অসংখ্য মানুষের ভাগ্যবিধাতা হিটলার, মুসোলিনী, ষ্টালিন কেউই একটাও হাচি আটকাতে পারে নি—টাটুও পারলে না। গাড়ীর মানুষটি একটা গানের আধ লাইন খুব গুনগুন করে গেয়েছিলেন। অনেকক্ষণ থেমে একবার, দু-বার টাটুর বাবার নাম খুব আস্তে আস্তে বললেন। তার পর তিনি যেমন বাইরের দিকে চেয়েছিলেন, তেমনই চেয়েই ছিলেন। ইচিবার পর টাটু খুব ছোট হয়ে গেল, নিজেকে কুঁকড়ে-মুক্ড়ে সে যেন একেবারে গদির মধ্যেই ঢুকে যাবে ; চোখ বুজে ভরসা করছিল—ইাচিট কেউ শুনতে পায় নি। কিন্তু, পাশে ধিনি ছিলেন, তিনি যেন একটু হেসে ডাক্লেন—পুসী। সাড়া না পেয়ে আবার ডাকলেন—পুসী, আয় । এবার টাটু অতি ক্ষীণশ্বরে উত্তর দিল—পুসী নয়, আমি টাটু। —উ... । খিল খিল ক'রে তিনি হেসে উঠলেন। তার পর কেমন মিষ্টি করে ডাকলেন–টাটু নাকি, এস, tool | টাটু আস্তে আস্তে কম্বলের ভেতর থেকে বেরিয়ে এল। বঁ। পায়ে ভারি ঝিকি ধরেছে। ভাবভেবে প্রকাগু চোখ দিয়ে একটুক্ষণ চেয়ে রইল। কেমন একটু ভয়ও করছিল, খুব ভালও লাগছিল। সামনের চোখ দুটি টাটুর বড়ই ভাল লেগেছিল। খানিকট যেন তার বাবার মতন। সেই চোখের দিকে চেয়ে তার মনে খুব ভরসা হচ্ছিল ; খুব স্বন্দর শান্ত আবার অশাস্ত, একটু শ্রাস্ত ; হড়বড় ক’রে বলে গেল-এ ত আমার বাবার গাড়ী ; নইলে আসতুম না । বাসদেও বলছিল কি না আয়াকে – বাবার কাছে গাড়ী যাচ্ছে । বুঝলেন—কত দিন বাবাকে-বাবাকে দেখি নি কিনা ৷ চোখ থেকে এক ফোট জল গড়িয়ে পড়ছিল । জামার হাত দিয়ে তা গোপনে মুছে নেওয়ার প্রয়াস সঙ্গের -যাত্রীটি দেখলেন। চোখের জল মুছে টাটু বলছে—বাবার छरछ कडे हम्न न!-। ' এবার তিনি টাটুকে কেমন সহজে জড়িয়ে নিলেন, বললেন—বুঝেছি। এই বাস্থ্যটির প্রথম ছোয়া লাগতেই টাটুর বুঝতে বাকী রইল না, বুঝেছি কথাটি মিথ্যা নয়, হ্যা বুঝেছে। বুঝতে কেউ পারছে না, দুঃখের অস্তরের এই হচ্ছে অসহ্য দুঃখ । এবার সে-দুঃখের অবরুদ্ধ অশ্র মুক্তি পেল। অমনি ক’রে যদি কেউ চায়—সব আপনি থেকে বলা হয়ে যায় —পোলু হরিণ নিয়ে একা খেলা যায় ? বন্ধু ঘোড়া কে চড়াবে ? একা একা রেল চালান যায় নাকি ? টুর্ণীবাবু এসে শুধু মায়ের হাতে একমাত্র সস্তানের হেপাজত ত•••তত্ত্বাবধানের স্বত্ব দেবে কেন ? মা-মণি কেন বলবে— আমার চেয়ে যাকে ভাল লাগে, বাবা শুধু তারই কাছে থাকবে । কেন কুস্কমবিবি তাকে নিয়ে যাবে ? কুস্কমবিবি ভয়ানক দুষ্ট । সে রক্ষসি। রাক্ষস নয়, রাঙ্গুলী। একথা সত্যি হতেই পারে না । মিথ্যে, মিথ্যে—বাবা আর আমার থাকবে না, বাবা আর কখনও থাকবে না— মৃতই যা মা-মণি বলুন না কেন । বাসদেও আয়াকে বলেছে—এই গাড়ীতে এক জন’ বাবার কাছে যাচ্ছেন, তিনি ফিরিয়ে দেবেন টাটুকে তার বাবা ? একবার বাবার কাছে টাটু যেতে পারলে—ঠিক ঠিক বাবাকে টাটু একেবারে ধরে নিৰ্বে আসত, কক্ষণও ছড়িত না । বাবা সত্যি সত্যি কিছুতেই টাটুকে ছেড়ে থাকতে পারবেন না। বাবার মত সে যে কাউকে ভালবাসে না। বাবার সঙ্গে একবার দেখা হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে, নিশ্চয়ই সব ঠিক হয়ে যাবে। আচ্ছা বাসদেও যে আয়াকে বলেছে "এক জন’ বাবার কাছে যাচ্ছেন, তিনি কি টাটুকে বাবার কাছে নিয়ে যাবেন না ? তিনি কি টাটুর বাবাকে টাটুর কাছে ফিরিয়ে দেবেন না 7 বাবাকে না পেলে টাটু মরে যাবে। ফুস্কমবিবি কি তা জানে ! তবে কেন সে চুরি করবে বাবাকে কান্না এর মধ্যে বন্ধ হয়েছিল, এবার আবার ঠোঁট ফুলতে লাগল। গাড়ী হ হ ক'রে চলেছে। কালে শীপ নদীর মত গ্র্যাও, ট্রাঙ্ক, রোজ ! এক এক জায়গায় রাস্তার দু-পাশের লম্ব গাছের মাথাগুলো একসঙ্গে মিলে গেছে । অন্ধকার দৈত্য পথ জুড়ে দাড়িয়ে। কখনও পৃথিবীর রাস্ত ঐ বাকের মুখে শেষ হয়ে গেল বুঝি, তার পর অস্পষ্ট মহাশূন্ত আকাশ। হেড লাইটের হিংস্র আলো অন্ধকারের সাগরে উন্মাদের মত