পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাস্তুন বালক বীরের বেশে ఆtూఢ এমন রাজার মত চেহারা, এতকাল বিলেতে থাকা, কিন্তু কেউ সাহেবের নামে একটা কথা কইতে সাধি করে ? আর, তোমার বিবির এই সন্দেহ ত এই সন্দেহু। উঠতে সন্দেহ, বসতে সন্দেহ, শুতে সন্দেহ । সারাদিন থেটে বাড়ী ফিরলে কখনও বলতে শুনলুম না—এস। উণ্টে বিত্র সন্দেহ । আয়৷ এবার বললে—মেমসাহেবের শুধু শুধুই কি সন্দেহ হয় ? ঐ চেহারা, ঐ টাকা আর ঐ সঙ্গ—এতে বিশ্বেস রাখা যায় ! বাস্থদেব চটে গেল—ঐ বুদ্ধিতেই ত মেয়েমানুষ জাতটা গেল ! নিজেদের ওপর নিজেদের বিশ্বেস নেই কি না । আয়াও চটে গেছে—নিজেদের ওপর বিশ্বাস নেই! হ্যা, পুরুষজাতকে খুব জানা আছে। বাস্থদেব এবার খুব বিজ্ঞভাবে বললে—ওরে, পুরুষজাত অবিশ্বেসী নয়। তারাও ঘর চায়। বাইরের হাঙ্গাম থেকে পালিয়ে ঘরের স্বখশান্তি খুব চায়। তা না, দিনরাত্তির ঐ পাপকথার ঘ্যানঘানানি ; এই অবিশ্বাসের পাপ-মস্তর পড়ে পড়ে পুরুষমানুষকে অবিশ্বেসী ক’রে তোলে। একটু ক্ষণ চুপ ক'রে থেকে, যেন দম ফেলে বঁচিলে, এমনি ক'রে বললে,—তবে বলি, ঐ কুষ্ঠী মাগীটাই যত সব বানিয়ে বানিয়ে মেমসাহেব-সাহেবের সর্বনাশ করছে । এ কথা আমি বলছি—সাহেব আজ পর্য্যস্ত কখনও অবিশ্বেসের কাজ করে নি। ড্রাইভারের সব সাহেব-বাৰু-বিবিদের খবরের চাবিকাঠি । তবে এবার বিবি কুন্তীর কথায় অমন ক’রে সাহেবেকে দূর ক'রে দিলে, আর ওখানকার কুস্থম বিবির রূপ ত ছবিতে কে না দেখেছে, আর সে ত সাহেবের জন্তে মরে যাচ্ছে—তাই না ভাবনা ! কুসুম বিবির মন কি দরের যদি জানভিস। আবার একটু থেমে বলল— এবার বড় রাগের ঝোকে সাহেব তার কাছে যাচ্ছে । আবার একটু থেমে বলেই চলল-শোন, আর একটু পরে আজ রাত্তিরে আমি আমাদের গাড়ী ক'রে এক জনকে নিয়ে ব্যাণ্ডেল যাব-°সেখানে সাহেব নিজে থাকবেন। খবরদার, একেবারে কেউ যেন জানতে না পারে । কিন্তু, এও বলছি, এসব আমাদের মেমসাহেবই ঘটালে। ঠাণ্ডায় বর্ষায় দূরে যেতে হবে বলে আয় শোফারকে চা খেতে নিয়ে গেল। টাটু এদের সব কথা শুনে—তার বাবার ভাষায়— ‘মোদ্দাকথাটি বুঝলে—এই গাড়ীতে যেতে পারলে বাবার কাছে যাওয়া যায় ; এই পৃথিবীতে বাবার কাছে ধাওয়ার আর কোন পথ নেই ; বাবার কাছে ধাওয়ার এই একমাত্র পন্থ । এ-বাড়ীর আবহাওয়ায় দম আটকে যাচ্ছে । মা-মণির মুখের দিকে কিছুতেই আর চাইবার সাহস इ८छ् नरः । শোফার যখন ফিরে এসে গাড়ী চালিয়ে দিলে, তখন গাড়ীর এক কোণে কম্বল মুড়ি দিয়ে টাটু চুপ ক'রে পড়ে আছে ; ঢিপঢিপ ক’রে নিশ্বাস পড়ছে, তার ভয় হচ্ছে, গাড়ীর শব্দ ছাপিয়ে বুঝি সে শস্ব শোনা যাবে। একটু পরেই গাড়ী খামল । মোটেই বেশীক্ষণ দাড়াতে হ’ল না । বেশ বোঝা গেল গাড়ীর পেছনে ক্যারিয়ারে কি সব বাধা হচ্ছে। তার পর গাড়ীর দরজা শোফার খুলে দিলে । একখানি কি সুন্দর পা। তখনই আর একখানি পা গাড়ীতে প্রবেশ করল। কালো সোয়েঙের জুতো, পাথর বসানে । তাতেই বুকি পা এত স্বন্দর দেখাচ্ছে। মানুষটি ঢোকার আগেই বুঝি নাবুসিস্যসের গন্ধে গাড়ী ভরে গেল। গাড়ী চলল। গাড়ীর মধ্যে বেশ ঠাও। হাওয়া আসছে। টাটু গাড়ী থামার সঙ্গে সঙ্গে মুখ কম্বলের বাইরে এনেছিল। বৃষ্টির ছোট ছোট দু-এক ফোটাও তার মুখে লাগল। একটা পা কম্বল থেকে একটু বেরিয়ে ছিল—অস্বস্তি লাগছিল, কিন্তু সাহস হ’ল না কম্বলটা টেনে পায়ের ওপর দিতে বা পা-ট। আরও ভেতরে টেনে নিতে। কুয়াশাট বেশ বেড়েছে— বাইরেট আরও অস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। গাড়ীর মানুষটি একবারও টাটুর দিকে চান নি। কিছু বোঝা যাচ্ছে না, কিন্তু ওর ফেন কি হয়েছে। গায়ে মোটা জামা ত নেই, কোন গরম জামাও নেই। কিন্তু, একবারও কম্বলটার দিকে তিনি চাইলেন না। তার পাতলা সিদ্ধের শাড়ীর আঁচলট উঠে টাটুর নাকে