পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झोङ्खन्म কবিকঙ্কণ-চণ্ডীতে প্রাচীন বাংলার চিত্র ఆSNరి দেশের পরিচয়ের স্থবিধা হইত। ধনপতি ও ঐমস্তের আখ্যানে দেখা যায় এক দেশের লোকের সহিত অন্ত দেশের লোকের বিবাহও হইত। সমরপ্রণালী তখন ছিল মুসলমান রাজত্ব। তাই যুদ্ধপ্রণালীতে হিন্দু মুসলমান উভয়েরই প্রভাব আসিয়া পড়িআছিল। কতকগুলি ছড়া হইতে তখনকার যুদ্ধ সম্বন্ধে কতকট। ধারণ আমরা লাভ করিতে পারি। ধোদ্ধার হাতে থাকিত গুলফি । ‘অস্ত্র শুলফি হাতে'। ইহা বোধ হয় শূলের মত কোন অস্ত্র হইবে। পায়ে থাকিত বাজন নূপুর। অনেকে আবার রায়বাঁশও ব্যবহার করিত। আগের দিনে যুদ্ধের সময় কুঠার ব্যবহৃত হইত। কেহ আবার ‘বাণ মারিতেন। মহাবীরের বক্ষঃস্থলে আঘাত করিয়া বীরত্ব প্রকাশ করিতেন । তখন যোদ্ধার এক হাতে অস্ত্র, আর এক হাতে ঢাল খাকিত । মহিষের চামড়া দিয়া ঢাল প্রস্তুত হইত। হাতীর পিঠে মাছত এবং অস্ত্রশস্ত্র খাকিত। যুদ্ধক্ষেত্রের হস্কারধ্বনিতে চতুদিক মুখরিত হইত। উভয় পক্ষ রণোন্মানায় মাতিয়া উঠিত। রণবাদ্য o প্রাচীন বাংলার যুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্রের তুলনায় রণবাদ্যও কম ছিল না। কবি মুকুন্দরাম তাহার চণ্ডীমঙ্গল কাব্যে যুদ্ধের বর্ণনা করিতে গিন্ধ যে-সকল রণবাষ্ঠের উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন, আমরা তাহার বিষয়েও কিঞ্চিৎ আলোচনা করিব । बूक चांब्रछ श्वांद्र किडू श्रारभङ्गे नाभांभा वांछिब्र উঠিত। সেই দামামা এবং ঢাকঢোলের শৰে সৈন্তদের মধ্যে তাড়াহুড়া পড়িয়া ধাইত । রণবাদ্য সকলৰুে জাগাইয়া তুলিত। তার পর মুরু হইত যুদ্ধের বাজনা। ৰায়ৰীণ গঙ্কৰীণা বাজে রুদ্রবীণা मनंछू म*ष्ठौ वांइ नष्ठ *ठ बनां । হান্ধীর গলাতে ঘণ্টা বাজে ঠনঠনী । কাংস্ত করতাল বাদ্য করতাল গুনি । জয়পত্র বাণিজ্য অথবা যুদ্ধের ব্যাপারে স্বামীকে অনেক দিনের জন্ত বিদেশে যাইতে হইলে স্ত্রীকে জয়পত্র লিখিয়া দিয়া বাইতে ইত। ধনপতি যখন সিংহল-বাজার উদ্যোগ করিলেন, উপন খুৱন ছয় মাস গর্ভবতী। সাধুকে তাই জয়পত্র লিখিয়া দিতে হইল। এই জয়পত্র থাকিলে লোকে কোন কলঙ্ক রটাইতে পারিত না। খুলনার জয়পত্রে ধনপতি লিথিয়াছিলেন, তুমি আমার পরম ভালবাসার পাত্রী। তোমার প্রতি লোকের ষাহাতে কোনরূপ সন্দেহ না হয়, তজস্ক সন্দেহভঞ্জনপত্র রাখিয়া গেলাম। তোমাকে ছয় মাসের অস্তঃসত্ত্ব দেখিয়াও রাজাদেশে আমাকে প্রবাসে যাইতে হইতেছে । আমাদের কঙ্কা হইলে তাহার নাম রাখিও ‘শশিকল’। উত্তম বংশজাত বরের সঙ্গে তাহার বিবাহ দিও। আর যদি পুত্র হয়, তাহা হইলে লেখাপড়া শিখাইয়া মানুষ করিও । এইমত পত্র সাধু করিয় লিখন । খুল্পনার হাতে হাতে কৈল সমৰ্পণ । নগরপত্তন ষোড়শ শতাব্দীতে স্থাপত্য-শিল্পের প্রভূত উন্নতি হইয়াছিল। জয়পুর শহর ও গুজরাট নগরের পত্তনের ভিতর দিয়া বাঙালীর বাস্তু-বিদ্যাস-শৃঙ্খলার প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায়। যেখানে ছিল নিবিড় অরণ্য, দেখিতে দেখিতে তথায় রম্য নগর শোভা পাইত লাগিল। পাঠশালা, দেবালয়, নাটশালা, অনাখ-মণ্ডপ অতিথিশালা স্থাপিত হইল। মুসলমানদের ছিল পৃথক পাড়া। সেখানে মসজিদ ও রন্ধনশালা নিৰ্ম্মিত হইল । স্থায়ী বাসিন্দাদের জঙ্ক নগরে ভাল ঘরবাড়ী ছিল । আর আগম্ভকদের জন্ত ছিল সরাই। নানা দেশ হইতে বিদ্যার্থিগণ পড়িতে আসিত। তাহাজের থাকিবার জন্যও উত্তম বন্দোবস্ত ছিল । জলাভাব দূর করার নিমিত্ত ৰূপ ছিল বাড়ীতে বাড়ীতে। ইহা ছাড়া স্বচ্ছ জলপূর্ণ জলাশয়ও বিস্তর ছিল। কালকেতুর হাট স্থাপন ব্যাপারেও দেখিতে পাই, বেরুনিয়া জন আনি বান্ধিল বিপণি । আজকাল আমাদের দেশে যেমন ছৈয়ালরা ভাল ঘর বাধিতে পারে, তখনকার দিনেও সেইরূপ এই বেরুনিয়া-সম্প্রদায় ঘর-বন্ধন-কার্ষ্যে পটু ছিল । বাংলার স্ববাদার মানসিংহ দিল্পী ফিরিয়া যাইবার সময় যশোহরনিবাসী বিদ্যাধর ভট্টাচাৰ্য নামে এক জন নগর-পূৰ্ত্তন-দক্ষ এঞ্জিনিয়ারকে সঙ্গে লইয়া ধান। ইনি এবং ইহার পুত্ৰ ঐধরই জয়পুর শহর পত্তন করেন। ইহা হইতেই স্থাপত্যশিল্পে বাংলার উৎকর্ষ প্রমাণিত হয়।