পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

^రిy প্রবাসী SN988 রহিয়াছে শুধু স্থমিত্রার মধ্যে সেটি নাই, পরিবর্তিত নামের প্রসঙ্গে "শেষ রক্ষা’র কথা মনে আসে। ‘গোড়ায় গলদ” হইলে যে শেষ রক্ষা হুইবেই এমন কোন মানে নাই । কিন্তু যেখানে বলি শেষ রক্ষা হইয়াছে সেখানে গোড়ায় গলদ হইয়াছিল এ-ধারণা আপনা হইতেই মনে জাগে। ‘গোড়ায় গলদ’ ট্রাজেডি, ‘শেষ রক্ষা ট্রাজেডি-মূল কমেডি । গল্পে উপন্যাসে, কাব্যে নাটকে নাম স্বয়ং খানিকট কাজ করে । কিন্তু যাহাকে প্রতিদিন দুই বেলা চোখের সম্মুখে দেখিতেছি, যাহার নাড়ি এবং ইড়ি—এ-দুয়েরই খবর আমার স্ববিদিত তাহার নাম যাহাই হউক না কেন, কি আসে যায় ? কল্পনা-জগতে নামের যে দাম, বস্তুজগতে সে দাম নাই— ইহ মানিতেই হইবে । মাসের দোশরা তারিখে গৃহিণীর ষে মূতি দৃষ্টিগোচর হয়, তিরিশে তারিখে তাহার কি কোন পরিবতন হয় না ? কিন্তু সেদিনও আপনাকে মঞ্জুভাষিণী— নিদেন পক্ষে মঞ্জু বলিয়াই ডাকিতে হইবে। ভাবিয়া দেখুন ত কি রকম বিড়ম্বন । এই ষে ঘরবাড়ী, দোকান-দেবালয়, ব্যাঙ্ক-বাজার, যাত্রাথিয়েটার প্রভৃতি সব কিছুরই নিত্য নূতন নামকরণ হইতেছে। তাহার মধ্য দিয়া , সমগ্র দেশের নবপ্রবতিত রুচি ও মনোভাবের একটি বিচিত্র রূপ দেখা যায় মাত্র । এখন গু-ষ্ট্রোসের স্থান অধিকার করিয়াছে বিনাম-বিপণি বা পাদুকা-প্রতিষ্ঠান, আইডিয়াল কাফের জায়গায় দেখা যায় আদর্শ পেয়াবাস, থিয়েটারের নাম হইয়াছে নাটমন্দির বা রংমহাল বা প্রেক্ষাগৃহ । কিন্তু পাদুকা, পেয় ও প্রেক্ষ্যের কতটুকু তারতম্য হইয়াছে তাহার সংবাদ গোচর করাইবার ভার আমি লইতে রাজী নই। সম্ভবতঃ তাহার প্রয়োজনও নাই। সেদিন কায়স্থ-সভার উদযোগে একটি বিরাট ভোজের অনুষ্ঠান হয়। জনৈক বন্ধু ভোজ খাইয়া আসেন, এ হতভাগ্যের অদৃষ্টে একটি ভোজ্য-তালিকা জুটে। তাহার মধ্যে হঠাৎ একটি নামের প্রতি দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। ভোজ্য হিসাবে বস্তুটি কি রকম উপাদেয় হইবে, নাম দেখিয় তাহ প্রথমে বুঝিতে পারি নাই, বন্ধুর সাহায্যে বুঝিয়াছিলাম। খাণ্ডের নামটি হইতেছে গলনাঙ্গুলিকা। বঙ্গভাষার প্রতি বাঙালীর ৰে অত্যুগ্র অনুরাগ লক্ষিত হইতেছে, তাহার জঙ্ক ভাষাজননী অবশুই কৃতজ্ঞ থাকিবেন। কিন্তু সে-কথা এখন থাকুক। মোট কথা, এই দেখা যাইতেছে ষে বাস্তব জগতে নামটি নামধারীর চিহ্নমাত্র পরিচয় নয়। নাম যদি কাহারও পরিচয় দেয় ত সে নামদাতার, নামের অধিকারীর নয়। সেই হিসাবে সামাজিক জীবনের ইতিহাসে নামের মূল্য অনেক । রবীন্দ্রনাথ এক স্থানে বলিয়াছেন – সেই প্রাচীন ভারতখগুটুকুর নদী গিরি নগরীর নামগুলিই বা কি সুন্দর ...নামগুলির মধ্যে একটি শোভা সন্ত্রম শুভ্রত আছে । সময় যেন তখনকার পর হইতে ক্রমে ক্রমে ইতর হইয়া আসিয়াছে, তাহার ভাষা ব্যবহার মনোবৃত্তির যেন জীর্ণতা এবং অপভ্রংশত ঘটিয়াছে। এখনকার নামকরণও সেই অম্বুষায়ী । সত্যই মানুষের ব্যবহার, মনোবৃত্তি ও রীতিনীতির সহিত নামের সম্বন্ধ অত্যস্ত ঘনিষ্ঠ। কোন সময়ের কতকগুলি নাম আলোচনা করিয়া সেই সময়ের অনেকটা পরিচয়

  • jf७भ्रं शृोंध्र !

ভারতবর্ষীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে দেবদেবীর নামে পুত্রকষ্ঠার নামকরণের প্রথা আবহমান কাল ধরিয়া চলিয়া আসিতেছে। ইচ্ছায় অনিচ্ছায় ভগবানের নাম উচ্চারণ করিবার ইহা অপেক্ষ সহজ উপায় আর নাই। কলিযুগে নামকৗতন ভিন্ন আর ভবসংসার হইতে উদ্ধার পাইবার দ্বিতীয় ভরণী নাই। মৃত্যুকালে গঙ্গানারায়ণকে স্মরণ না-ও হইতে পারে, কিন্তু পুত্রের নাম যদি গঙ্গানারায়ণ হয় তাহা হইলে মায়ামুগ্ধ নর সে নাম একবার উচ্চারণ না করিয়া পরিবে না । দেবতাকে পূজা করিয়া ধে সন্তান লাভ হয় তাহাকে উমাপদ, শ্ৰামাচরণ, কালীকিঙ্কর নাম দিয়া ইষ্টদেবতার প্রেতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করি। বিনা পূজাতেও র্যাহার ধরাধামে অবতীর্ণ হন, পিতামাতা তাহাদের8 দেবপ্রসাদ বলিয়াই মনে করেন। যাহাকে বড় বেশী ভালবাসি তাহাকে হারাইবার ভয়ে মানুষের মন সৰ্ব্বদাই আতঙ্কিত থাকে। কয়েকটি নামের মধ্যে এই আশঙ্কার চিহ্ন মুম্পষ্ট । ‘রাখহরি' থাকমণি' প্রভৃতি নামের সঙ্গে বাঙালীর *ब्रिध्द्र अवथहे थारछ्। शृउद९ना वा निम्नखान बननैौद्र