পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষি ও রসায়ন শ্ৰীআনন্দকিশোর দাশগুপ্ত ভারতবর্ষ প্রধানতঃ কৃষিপ্রধান দেশ । এত কাল কৃষকগণ নিতান্ত সাধারণ ভাবেই কৃষিকাৰ্য্য চালাইয়াছে ; বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বা বৈজ্ঞানিক উপায়ে ভূমির উর্বরতাশক্তি বৃদ্ধির বিশেষ কোন প্রয়াস পায় নাই ; তাহার পর, অতিবৃষ্টি অনাবৃষ্টির দায় হইতে শস্তরক্ষার কোন বিধানই তাহারা করিতে পারে নাই। তাহা হইলেও দিন এক রকমে কাটাইয়া দিয়াছে। কিন্তু আজকাল দারুণ জীবনসংগ্রামে ইহাতে আর চলিবে না। বিপদ ক্রমেই ঘনাইতেছে ; সাবধান হওয়া দরকার । স্বথের বিষয় দেশের আবহাওয়া কতকটা বদলাইতেছে। সভ্য সত্যই যেন একটু জাগরণের চিহ্ন গোচর হইতেছে। এই অবস্থায় কৃষিসংক্রাস্ত আলোচনা নিতান্ত অপ্রাসঙ্গিক হইবে না। প্রাণীদিগের প্রধানতঃ দুইটি জিনিষ অত্যাবগুক— অম্লজান বাষ্প ও শরীরপোষণোপযোগী খাদ্য। ইহাদের মধ্যে অম্লজান বায়ু হইতে আহৃত হয়, কিন্তু খাদ্যসংগ্ৰহ ততটা সহজ নহে। প্রাণীদিগের খাদ্য সাধারণতঃ পাচটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা যাইতে পারে, যথা—(১) শর্করা-জাতীয়, (২) শালিজাতীয় ( কাৰ্ব্বোহাইড্রেটস্ ), (৩) প্রোটিন বা পনীর জাতীয়, (৪) লবণ-জাতীয় ও (৫) জলীয়। ইহাদের অধিকাংশই প্রাণিগণ উদ্ভিদ হইতে সংগ্রহ করে। শালি-জাতীয় খাদ্যে অম্লজান, কাৰ্ব্বন ও জলজান এই তিনটি মৌলিক পদার্থ বিদ্যমান। চাউল, গম, আটা, চিনি ইহার এই জাতীয় খাদ্য। উদ্ভিদ তাহদের দেহে এই সকল খাদ্য প্রস্তুত করে ও নিজের ও প্রাণিগণের ব্যবহারের স্বগু সঞ্চয় করিয়া রাখে। এই জাতীয় খাদ্য দেহের উত্তাপप्रेकfब्र मशंब्रक । প্রোটিন-জাতীয় খাদ্যে কাৰ্ব্বন ও জলজান ইত্যাদি ব্যতীত যবক্ষারজান আছে—উহার পরিমাণ শতকরা ১৫ হইতে ২০ অংশ। ডিম, মাছ, মাংস ও ডালে প্রচুর প্রোটিন বিদ্যমান। শরীরের মাংসপেশীতে এই জাতীয় খাদ্যই শক্তিদান করে। প্রাণবান জীবের পক্ষে যবক্ষারজান একান্ত আবখ্যক । জীবকোষের (প্রোটোপ্লাজম্) চাঞ্চল্য, উহার বৃদ্ধি ও নাশ, ইহা ইষ্টতেই সম্ভব হয়। এই মূল পদার্থের অভাবে জীবনধারণ সম্পূর্ণ অসম্ভব। যদি প্রাণিদিগকে যবক্ষারজানসংক্রাস্ত খাদ্য হইতে বঞ্চিত করা হয়, তবে উহার রোগগ্ৰস্ত হইয়া ক্রমে মৃত্যুমুখে পতিত হইবে। এই পরিণতি অবগুম্ভাবী। অন্ত কোন মূল পদার্থ ইহার অভাব পূর্ণ করিতে সমর্থ নহে। কিন্তু জীবনধারণের জন্ত যুক্ত যবক্ষারজান দরকার। প্রাণিগণ উহাকে মুক্তাবস্থায় হজম করিতে পারে না। যুক্ত অবস্থায় আনীত হইলে তবেই উহা খাদ্য বলিয়া বিবেচিত হয়। প্রাণিদেহে মুক্ত যবক্ষারজান কোন কাজেই লাগে ন। যবক্ষারজানযুক্ত খাদ্য আমরা উদ্ভিদের নিকট হইতে পাই । উদ্ভিদের প্রাণীদিগকে উহা জোগায় । এখন প্রশ্ন হইতেছে, উদ্ভিদগণ উহা কোথায় পায় ? প্রাণীদিগের মত উদ্ভিদকেও বাচিয়া থাকিবার জন্ত খাদ্য সংগ্ৰহ করিতে হয়। এই খাদ্য উহার কতক চতুষ্পাশ্বস্থ বায়ুরাশি হইতে সংগ্রহ করে, কতক ভূমি হইতে মূলের সাহাষ্যে গ্রহণ করে । আমরা জীবনধারণের জন্ত বায়ুরাশি হইতে অম্লজান নিশ্বাসে গ্রহণ করি ও কাৰ্ব্বনিক এসিড বায়ু প্রশ্বাসের *fs gifysifo i wza azt istas (putrefaction) সময়েও আমজান গৃহীত ও কাৰ্ব্বনিক এসিড বায়ু পরিত্যক্ত হয়। কাজেই ইহা মনে হওয়া স্বাভাবিক যে বায়ুরাশিতে ক্রমে আমজানের অভাব ও কাৰ্ব্বনিক