পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بصوص ۹ ইহা হইতে অতিআধুনিক বাঙালী সমাজের যে মনোবৃত্তির পরিচয় পাওয়া যায়, তাহা খুব সতেজ এবং সমুদ্রত বলিয়া भtन श्ध्न नाँ । কস্তার দুর্ভাগ্য আশঙ্কা করিয়া বাঙালী পিতামাতা ‘সীতা’ নাম রাখিতে ভয় পান। ইহা হৃদয়ের কোমলতা এবং ভীরুতা উভয়েরই পরিচায়ক । আজকাল দুই-একটি বাড়ীতে এই নামটির চলন দেখিতেছি। কেহ কেহ সংস্কার মানেন না—জনসমাজে ইহা দেখাইবার জগুই এরূপ নাম রাখেন শুনিয়াছি। অবশু, তাহা না-ও হইতে পারে। ইভ', নিভা প্রভৃতি কয়েকটি নামের কোন অর্থ বুঝা ধায় না, কিন্তু সদ্ধান করিলে প্রয়োগের কারণ আবিষ্কার করা কঠিন হইবে না। ইভ শব্দের অর্থ হস্তী। স্ত্রীলিঙ্গে রূপ श्ध्न इंडौ । १द्रिघ्न लझेलांभ ‘श्छा'ई झझेज । किरू उ९मtर् e কোন মাত হস্তিনীবাচক শব্দ দিয়া কন্যাকে অভিহিত করিবেন ? বর্ণসংক্ষেপ ও শ্রভিমাধুর্য হেতু এমন হইতে পারে যে ইভাননী শব্দের দ্বিতীয়াধ বাদ দেওয়া হইয়াছে। প্রবাসী SN988 কিন্তু তাহাতেও সমস্তার সমাধান হয় না, কারণ हेडाम মাতার পছন্দ হইলেও জামাতার তৎপ্রতি বিশেষ অনুরাগ না-ও হইতে পারে। নিভ’ শব্দের অর্থ সদৃশ। অল্প শব্দের সহিত যুক্ত না হইলে ইহার ত প্রয়োগই হয় না। হয়ত বা জ্যেষ্ঠ ভগিনীর নাম বিভা, সাদৃগু এবং অনুপ্রাস বজায় রাখিবার জন্য মধ্যম এবং তৎপরবর্তী দুই ভগিনীর নাম দেওয়া হইয়াছে ‘ইভা’ ও ‘নিভা’। তাহার পর ধীরে ধীরে নিরর্থক হইলেও নামগুলি প্রচলিত হইয়া গিয়াছে। কেহ কেহ অনুমান করেন ‘ইভা’ নামটি ইংরেজী হইতে আসিয়াছে। প্রাচীন সাহিত্যেও এই ধরণের নামের নিদর্শন পাওয়া যায়। ময়নামতীর গানে দেখি রাজা গোবিন্দচন্দ্র এক রাজার দুই কন্যা বিবাহ করিয়াছিলেন। র্তাহাদের এক জনের নাম চন্দন! অপরের নাম ফন্দন । *পদুনার বোন অদ্ভুনা"র নাম লইয়া ভাষাতাত্ত্বিকগণের মতভেদ থাকিতে পারে, কিন্তু ‘চন্দনা’র বোন ফিন্দনা’র কি আর কোনও গতি আছে ? _2_ (2) শ্ৰীমুপ্ৰভা দেবী এসেছিল, চলে গেল, শুধু এইটুকু এতটুকু সে কাহিনী ? তাহা নহে, নহে দুনিবার চিন্তস্রোত রক্তধারে বহে, লক্ষ রূপে উচ্ছলিয়া পূর্ণ করে বুক । কোথায় রাখিব তারে, কোপা তারে রাপি কোথায় লুকাব মোর এ রাঙা স্বপন ! ক্ষণিকের ইন্দ্রধতু, চকিত-মরণ ! তার পরে চিররাঞ্জি পিপাসিত অণপি । আমি কি মানিতে পারি হেন পরাভব ? অনস্তের বুক হ’তে চুরি করি ল’য়ে, -মহাকাল গ্রাস হ’তে রাখিব ছিনায়ে, আমার প্রাণের তলে সে পরাণতম জাগি রবে সঙ্গোপলে, মোর বেদনায় ছায়ার আড়াল গঢ়ি লুকাব তাহায় । মরণ চুমিল আসি নয়নের পাতে শিথিল আলসরাশি মৰ্ম্ম তলে পশে সৰ্ব্বাঙ্গ জড়াল মোর সোহাগ-পরশে ; নিৰ্ভয়ে সপিয়া কর তার দুই হাতে কহিঃ মিনতি করি, “কহ মোরে আয়ি, ওগো মৃত্যু, ওগো রাত্রি, হে রহস্যময়ী । অলক-অর্ণধার পাশে অনাগত কাল ভবিষ্যৎ পথ মোর করেছ আড়াল, তবু করিব না ভয় ; শুধু কহ মোরে, ওই যে বাড়ায়ে বাহু কুটীর-প্রাঙ্গণে, আমার পরাণপ্রিয় অসীম রোদনে আমার অতীত কাল দেয় সিক্ত করি, নূতন জীবনে সে কি পথতরুছায় আবার বাহুর ডোরে বঁধিবে আমায় ?