পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांड्छब्र এত সরু যে দুই দিকে পায়ের পাশে শেতখানেক করে চেরা না থাকলে হাটতে পারত না । আমাদের দেশে যেমন বাবুদের পাঞ্জাবীর দুটাে পাশ চেরা, এদের মেয়েদের পোষাকও সেই রকম চেরা । কিন্তু চওড়াতে পোষাকগুলি একটা পাঞ্জাবীর প্রায় অৰ্দ্ধেক । এই রকম পোষাক প’রে মেয়েরা ওঠা-বসা করলে মোটেই ভদ্র দেখায় না । যারা মোজা পরে না, তাদের আরও বিশ্রী দেখায় । কুইন রোডে ভ্ৰাম্যমাণ সুন্দরীদের সকলেরই বব-করা চুল, ঠোটে লিপষ্টিক এবং অনেকের পায়ে দারুণ হাই-হিল জুতা। বেশীর ভাগ ময়ের জুতার কিন্তু হিল একেবারেই নেই, নাগরা -জুতার মত চ্যাপ্টা এবং রেশমের কাপড়ে রঙীন রেশমী ফুলতোলা, গড়ন ডেক-গু-এর মত। এখানে দেখলাম ‘ফার দেওয়া ওভার-কোটের ঘটা খুব বেশী । কলকাতায় এক সময় ইংরেজের ভারতীয় রাজধানী ছিল, কিন্তু এখানে ত কোন দিন চৌরঙ্গীর পথে এত হাই-হিল, বর্ড-চুল, লিপষ্টিক এবং ফার-কেট শোভিত বাঙালী মেয়ে দেখা যায় না । সে হিসাবে আমাদের মেয়েদের চেয়ে এদের অনেক বেশী ফিরিঙ্গী-ভাবাপন্ন মনে হয়। ' এ-শহরে পা-বাধা জুতা বোধ হয় আজকাল আর কেউ পরে না। চীন-নন্দিনীদের চুল সব একেবারে সোজা, পালে ঝালর ও পিছনে ছাটা চুল এ-রকম সোজ৷ cলে একেবারেই মানায় না। কচিং দুই-এক জনের কাকড়া চুল চোখে পড়ে। সেগুলি বোধ হয় কলে কাকড়ান । আমাদের দেশে আধুনিক কলকাতার পাড়াতেও এত য়ের ভিড় পথেঘাটে নেই যেমন এণ্ডানে দেখলাম । থে সঙ্গীর হাতের ভিতর হাত গুজে মেয়েরা চলেছে, হাটেলে দল বেঁধে পুরুষ-স্ত্রী খাচ্ছে, দোকানেও দলে দলে -গয়ে । ৭২৩ 5ौनां कश्किम এখানে বড় বড় সাহেবী ধরণের দোকানপাটেও সব নামধাম আইন-কানুন ইংরেজীতে লেখা নয়, ইংরেজীর সঙ্গে সঙ্গে চীনা ভাষাতেও লেখা রয়েছে। আমাদের দেশে খাটি বাঙালীদের ফ্যাশনেবল বাংলা দোকানেও কিন্তু ইংরেজী ছাড়া অন্য অক্ষর দেখা যায় না । কুইনস্ রোড প্রভৃতি রাস্তায় খুব মোটা মোটা থামের উপর ফুটপাথ-ঢাকা বারান্দা । এই থামগুলি নানা রঙের চীনা অক্ষরে একেবারে ছাওয়া, উপরে আড় ভাবেও অনেক চীনা সাইনবোর্ড। তার ফলে সমস্ত পথই বেশ সুচিত্রিত মনে হয়। বড় বড় সিনেমার বিজ্ঞাপনে রাস্তাঘাট কদাকার করে তোলার তুলনায় এই রকম অক্ষরমালায় সজ্জিত পথে যে কতখানি শ্ৰী আছে দেখলেই বোঝা যায় । গহনা কিনতে যাবার আমাদের প্রয়োজন ছিল না, তবু দেখবার জন্য একটা দোকানে গেলাম । গহনার দোকানে জেডের গহনা আর হাতীর দাতের গহনার খুব আধিক্য, রূপা ও সোনারও কিছু দেখা যায়, কিন্তু তার সঙ্গেও নীল সবুজ জাতীয় স্ফটিক গাথা খুব , এদেশে নীল রঙের উপর বোধ হয় লোকের খুব টান। অবশু, আমরা , দুই-তিনটা মাত্র দোকান দেখে মত প্রকাশ করছি ; অন্যত্র আর কি আছে জানি না । হাতীর