পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कोङ्खुन्। বিবিধ প্রসঙ্গ-বিষ্ণুপুরে প্রদর্শনী כלפאף কিন্তু লোক মজুত আছে, খুজে ধার করতে হবে । কিন্তু অনন্তকৰ্ম্মা সেবকদের সকলের ত যথেষ্ট সঙ্গতি নাই। কেহ কেহ একেবারেই নিঃসম্বল । তাহাদের ও তাহাদের পরিবারবর্গের দিন-গুজরান কি প্রকারে হইবে ? এ-বিষয়ে যতীন্দ্রবাবু বলেন— কংগ্রেস থেকে বেতনভুকৃ সেবক নিয়োগের ব্যবস্থা হোক । সেবকের পক্ষে দরকার মত বেতন গ্রহণে অপমানবোধ প্রচ্ছন্ন দস্তুজনিত অপরাধ। গবন্মেন্টের চাকরি করে দেশকে পরাধীন রাখার সহায়তায় বেতন নিলে যদি অপমান না হয়, তো নিজের দেশ স্বাধীন করার উদ্যমের প্রতীক কংগ্রেসের হাত থেকে নিজের নিতাস্ত প্রয়োজনীয় ব্যয়স্বরূপ বেতন গ্রহণ কখনও অপমানকর তু'তে পারে না । আমাদেরও মনে হয়, অনন্তকৰ্ম্ম সেবক যথেষ্টসংখ্যক পাইতে হইলে তাহীদের ভরণপোষণের ব্যয় দেওয়া আবগুক । ইহা দেওয়া ও লওয়া নিন্দনীয় নহে। কিন্তু ইহাতেও সাবধানতার প্রয়োজন আছে। দারিদ্র্য এরূপ ব্যাপক হইয়াছে, শিক্ষিত লোকদের মধ্যে বেকারের সংখ্যা এত অধিক, যে, সামান্ত গ্রাসাচ্ছাদনের বিনিময়ে এমন অনেকে কাজ করিতে রাজী হইতে পারেন র্যাহারা হয়ত দেশসেবার প্রেরণা অন্তরে অনুভব করেন নাই। তবে, এক বার কাজে লাগিলে এমন লোকও মজিতে পারেন । “গবন্মেণ্টের চাকরি করে দেশকে পরাধীন রাখার সহায়তা” এখানে একটা অবাস্তর কথা বলি । ঐযুক্ত যতীন্দ্রমোহন রায় তাহার অভিভাষণে বলিয়াছেন, “গবন্মেন্টের চাকরি করে দেশকে পরাধীন রাখার সহায়তায় বেতন নিলে" ইত্যাদি । সরকারী চাকরি করিলে সাক্ষাৎ বা পরোক্ষ ভাবে দেশকে পরাধীন রাখিবার সহায়তা করা ই, ইহা সত্য কথা। ইহাও সভ্য, যে, সরকারী কৰ্ম্মচারীমিগের মধ্যে ধিনি ঘৃত কৰ্ত্তব্যপরায়ণ, সৎ ও কাৰ্য্যদক্ষ তাহার দ্বারা এই সহায়তা তত বেশী পরিমাণে করা হয় । কারণ, এইরূপ লোকদের কাজের দ্বারা প্রমাণিত হয়, যে, ইংরেজ রাজত্ব ভাল, অর্থাৎ দেশটা পরাধীন থাকা মন্দ নয়। কিন্তু কৰ্ত্তব্যপরায়ণ, সং, কার্ধ্যদক্ষ ভারতীয় সরকারী কর্মচারীদিগের অমুকূলেও দু-একটা কথা বলিবার আছে। তাহাদের কাজের দ্বারা ইহা প্রমাণিত হয়, যে, ভারতীয় লোকের রাষ্ট্রীয় নানাবিধ ছোট বড় কাজ করিতে সমর্থ। । ইহা সত্য, যে, স্বরাজ সকল দেশের সকল জাতির জন্মস্বত্ব । কিন্তু বিদেশী শাসকেরা বলুক বা না-বলুক, মনে করে, যে, ধেমন অকৰ্ম্মণ্য জমিদারদের জন্য কোর্ট অব ওয়ার্ডস্ আবগুক, সেইরূপ অকৰ্ম্মণ্য জাতিদের জন্ম বিদেশী শাসন আবশুক । ভারতীয় সরকারী কৰ্ম্মচারীদের কাজের দ্বারা প্রমাণ হয়, যে, জামরা অকৰ্ম্মণ্য মহি। এবং দেশের হিতও তাহারা কিছু করেন । ইহাও বিবেচনা করা উচিত, যে, পরোক্ষভাবে যাহাই ঘটুক, সরকারী কৰ্ম্মচারী মাত্রেই যে দেশের পরাধীনত চান, ইহা সত্য নহে। আমরা জানি র্তাহারা অনেকে পরাধীনতার বেদন হাড়ে হাড়ে অমুভব করেন । র্তাহীদের কাহারও কাহারও ঐতিহাসিক বহি ( যেমন রমেশচন্দ্র দত্তের, বামনদাস বসুর ) এবং কাহারও কাহারও ঐতিহাসিক উপন্যাস নাটক কবিতা গান ( যেমন বঙ্কিমচন্দ্রের, ভূদেবের, চণ্ডীচরণ সেনের, রমেশচন্দ্র দত্তের, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ) পরাধীনতাবেদনার ও স্বাধীনতালিপ্তসার উদ্রেক করে । বিষ্ণুপুরে প্রদর্শনী বিষ্ণুপুরে রাষ্ট্রীয় সম্মেলনের আনুষঙ্গিক যে প্রদর্শনী হইয়াছিল, তাহার উল্লেখ করিয়াছি। প্রবাসীর সম্পাদক বাঁকুড় জেলার ( বোধ হয় ) বুদ্ধতম সাংবাদিক বলিয়া র্তাহাকে এই প্রদর্শনীর দ্বার উন্মোচন করিতে বলা হইয়|ছিল। এই কাজটি করিবার পর তাহাকে একটি বক্তৃত৷ করিতে হইয়াছিল। আমরা এই বক্তৃতায় ইংরেজদের লেখা ইংরেজী বহি হইতে প্রমাণ উদ্ধৃত করিয়া দেখাইমাছিলাম, যে, প্রাচীন কালে ভারতবর্ষ শুধু কৃষিজীবী কৃষিপ্রধান দেশ ছিল না, পণ্যশিল্পের ও নানা পণ্যদ্রব্যের জন্যও ইহা বিখ্যাত ছিল । সভ্য মামুষের জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহের জন্য যাহা কিছু আবশুক, ভারতবর্ষেই তাহ বা তাহার অধিকাংশ উৎপন্ন ও প্রস্তুত হইত। সেকালকার সভ্য পাশ্চাত্য জগতের অভিযোগ এই ছিল, যে, ভারতবর্ষ অন্ত দেশ হইতে আগত