পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*\లS প্রবাসী SN988 সোনা ও রূপ। গ্রাস করে, অন্ত দেশকে তাহা দেয় না ; অর্থাৎ ভারতবর্ষ হইতে রপ্তানী পণ্যদ্রব্যের বিনিময়ে এই দেশ সেনি ও রূপা পায়, কিন্তু সেই সব দেশ হইতে কোন জিনিষ কিনিবার নিমিত্ত তাহাদিগকে সোনা রূপ দেয় না। ভারতবর্ষের এই যে বস্থবিধ পণ্যশিল্প তাহা ঈষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর আমলে কোম্পানী নিজের রাষ্ট্রীয় শক্তির স্বায়বিরুদ্ধ অপব্যবহার দ্বারা নষ্ট করে।* পরাধীন ভারতে ভারতীয়দের নিজস্ব শিল্প-বাণিজ্য কিছুই বাড়িতে পারে না এমন নয়। কিন্তু যেমন রাষ্ট্রীয় শক্তির অপব্যবহার দ্বারা ভারতের শিল্পবাণিজ্য নষ্ট করা হইয়াছিল, সেইরূপ রাষ্ট্ৰীয় শক্তির স্বপ্রয়োগ দ্বারাই তাহার পুনরুদ্ধার সাধিত হইতে পারে। এই জন্য আমাদিগকে চূড়ান্ত রাষ্ট্রীয় শক্তি লাভ করিতে হইবে, অর্থাৎ পূর্ণস্বরাজ লাভ করিতে হইবে, এবং ভারতীয় শিল্পবাণিজ্যের পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পুর্ণস্বরাজলন্ধ রাষ্ট্রীয় শক্তির প্রয়োগ করিতে হইবে । পূর্ণস্বরাজ আমাদের জন্মস্বত্ব ও বটেই। কি কি কারণে তাহা আবগুক এবং আমরা যে পূর্ণস্বরাজের যোগ্য তাহাও এই বক্তৃতায় বলা হইয়াছিল। অবশু, এই যোগ্যতা আপেক্ষিক। কোন জাতিই পূর্ণস্বরাজের সম্পূর্ণ যোগ্য নহে, কোন জাতিই সম্পূর্ণ অযোগ্যও নহে। আমি যখন বিষ্ণুপুরের প্রদর্শনী দেখিলাম, তখনও সকল জিনিষ আসিয়া পৌছে নাই, সকল জিনিষ সাজান হয় নাই। যাহা আসিয়াছিল ও সাজান হইয়াছিল, তাহা দেখিয়া প্রীত হইয়াছিলাম। স্বাস্থ্য-প্রদর্শনীর নানাবিধ চিত্র এবং নানা রোগে মৃত্যুর হার প্রভৃতি প্রদর্শক নক্সাগুলি বুঝাইয়া দিবার উপযুক্ত জ্ঞানবান ব্যাখ্যাতারা ছিলেন। যে-সকল পুরুষ ও নারী র্তাহাজের ব্যাখ্যা শুনিয়াছেন, তাহারা উপকৃত হইয়াছেন। আমাদের দেশে অধিকাংশ লোক নিরক্ষর । অধিকাংশ পঠনক্ষম হইলে—৬৭ বৎসরের অধিকবয়স্ক সকলে পঠনক্ষম হইলে—এইরূপ চিত্র ও নক্সা বিশিষ্ট পত্রী, পুস্তিকা ও পুস্তক

  • “British goods were forced upon her (India) without paying any duty ; and the foreign manufacturer employed the arm of political injustice to keep down and ultimately strangle a competitor with whom he could not have contended on equal terms.”— The History of British India, by Horace Hayman Wilson, vol. i. p. 385.

দেশের সমুদয় নগর ও পল্লীগ্রামে প্রচারিত হইতে পারিত এবং তাহার দ্বারা স্বাস্থ্য সম্বন্ধে সকলের জ্ঞান বাড়িতে পারিত। প্রদর্শনীতে মহিলাদের নানাবিধ কারুকার্য্য রাখা হইয়াছিল। তাহদের শিল্পনৈপুণ্যের ইহা প্রমাণ। এই শিল্পনৈপুণ্য কি প্রকারে উপার্জনের উপায় হইতে পারে, তাহা দেশসেবকদের চিস্তনীয়। বিষ্ণুপুরের রেশমশিল্প বিষ্ণুপুরে প্রস্তুত মহিলাদের রেশমী শাড়ী যত রকম রাখা হইয়াছিল, তাহার পাড়গুলি অতি চমৎকার, কাপড়ের জমিও উৎকৃষ্ট। পুরুষদের পরিচ্ছদের জন্য পুরু ও মিহি উৎকৃষ্ট রেশমী কাপড়ের থানও দেখিলাম । বিষ্ণুপুরের মল্লভূম লোহার কারখানা বিষ্ণুপুরের প্রদর্শনী দেখিতে গিয়া সেখানে যত রকম ংবাদ পাইলাম, তাহার মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষা উৎসাহজনক সংবাদ এই ধে, জ্যাকাণ্ড তাতের অমুরূপ তাত বিষ্ণুপুরেই নিৰ্ম্মিত হইতেছে—নিৰ্ম্মাণ করিতেছেন "মল্লভূম আইরন ফ্যাক্টরী” (মল্লভূম লোহার কারখানা)। জ্যাকার্ড এক জন ফরাসী যন্থ-উদ্ভাবক ছিলেন। তাহার জীবিতকাল ১৭৫২ হইতে ১৮৩৪ খ্ৰীষ্টাব । তাহার উদ্ভাবিত র্তীতে রেশমী শাড়ীর নান। প্রকার নক্সার ও রঙের উৎকৃষ্ট পাড় বোনা যায় । বিষ্ণুপুরে যাহার এইরূপ তাত নিৰ্ম্মাণ করিতেছেন তাহার বলিতেছেন— বিজ্ঞান-পরিচালিত আধুনিক যন্ত্রযুগে আমাদের দেশীয় কুটারশিল্প অনেক ধ্বংস হইয়াছে ; কতকগুলি বা মরণের পথে । এমতাবস্থায় কুটায়-শিল্পকে আণ্ড মরণের মুখ হইতে রক্ষা করিতে হইলে বৃহৎ যন্ত্রের প্রতিযোগিতায় কুটার-শিল্পের উপযোগী যন্ত্রই বিশেষ উপযোগী। ইহাতে কৰ্ম্মের উৎকর্ষ ও তৎপরতা বৃদ্ধি পায়, অথচ শিল্পিগণ শ্ৰম-অভাবে বেকার-সংখ্যা বৃদ্ধি করে না । এই সমস্ত ভাবিয়া আমরা এই বিষ্ণুপুরের কয়েক জন শিল্পী সমবেত ভাবে “भझछूभ आहेदन शाढ़ेद्रौ* मांभ निद्रा खाक७ cशशिन (फॅष्ठिन আধুনিক কল ) তৈয়ারীর একটি কারখানা আজ কয়েক বৎসর যাবৎ চালাইয়া আসিতেছি । আমাদের কারখানার নিজস্ব মেশিন ( ভাত-কল) আগু বিদেশী মেশিন অপেক্ষ কাৰ্য্যকারিতায় কোন অংশে নুনি নহে। বিষ্ণুপুর, সোনামুখী প্রভৃত্তি রেশম-ষ্ঠাত বহল