পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Պgo iসংশয়ে তাহাদিগকে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াইবার প্রতিবাদ করিয়াছিলাম । বঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় সম্মেলনে কি কি প্রস্তাব হয় নাই প্রদেশের লোকদের মনে যে-ষে কারণে অসন্তোষ ও চাঞ্চল্য আছে, প্রাদেশিক রাষ্ট্রীয় সম্মেলনের প্রস্তাবাবলীতে তাহার কিছু পরিচয় পাওয়া আবশুক । বঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় সম্মেলনের প্রস্তাবাবলীতে মোটের উপর তাহ আছে। কয়েকটি বিষয়ে নাই । যেমন, কংগ্রেস-নেতারা বঙ্গের হিন্দুদের মত জিজ্ঞাসা না-করিয়ু, বস্তুতঃ তাহা অগ্রাহই করিয়া, মিঃ জিন্নার সহিত সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা মানিয়া লইয়া চুক্তি করিতে যাইতেছেন। ইহাতে বাঙালী হিন্দুদের, কংগ্রেসী হিন্দুদেরও, আপত্তি আছে। বিষ্ণুপুর অধিবেশনের আগে দিনাজপুর অধিবেশনে তথাকথিত জিন্না-রাজেন্দ্রপ্রসাদ চুক্তির বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব গৃহীত হইয়াছিল। বিষ্ণুপুর অধিবেশনে সম্মেলন সে দৃঢ়তা কেন দেখাইতে পারিলেন না ? মাধ্যমিক শিক্ষাবিলের খসড়া সম্বন্ধেও বঙ্গে খুব আন্দোলন হইতেছে, যদিও তাহাতে বঙ্গের কংগ্রেস-নেতার যোগ দিতেছেন না। বিষ্ণুপুর সম্মেলনের দশম প্রস্তাবে বলা হইয়াছে, বাংলার বর্তমান মন্ত্রিমণ্ডল কি রাজবন্দী সমস্তায় কি শ্রমিক প্রশ্ন সমাধানে কি শিক্ষানীতিতে কি সাম্প্রদায়িক ব্যাপারে কি প্রজাস্বত্ব আইন সংশোধনে ও অন্তান্ত বিষয়ে এবং আসামের বর্তমান মন্ত্রিমণ্ডল অমুরূপ যে যে বিষয়ে প্রতিক্রিয়াশীল কৰ্ম্মপন্থ গ্রহণ করিয়াছেন এই সম্মেলন তাহার তীব্র নিন্দ করিতেছে ও তাহীদের উপর অনাস্থ জ্ঞাপন করিতেছে । আর একটু খুলিয়া বলিলে ভাল হইত না কি ? ইংরেজ ইংলণ্ডে সাম্প্রদায়িক বিষ চায় না বিলাতী পালেমেন্টের জনসাধারণের প্রতিনিধিদের কক্ষে ( হেীস অব কমন্সে ) কর্ণেল ওয়েজউড জিজ্ঞাসা করেন, देितािं ব্রিটেনের দূত ও মন্ত্রীদের মধ্যে রোমান কাথলিক কয় “জন আছেন । পররাষ্ট্র-সচিব মিঃ এন্টনী ঈভেন এই প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন"। তিনি বলেন ঃ– Members of the diplomatic service are not required at any time to state the church to which they প্রবাসী SN983 袋 belong. Any such enquiry would, in my view, imply a reversion to the standpoint of religious discrimination happily abandoned in this country for over a hundred years.” মি. এণ্টনী ঈডেন বলেন, যে, “দৌত্য ও তদ্বিধ কার্ধ্যে নিযুক্ত ব্রিটিশ কৰ্ম্মচারীদিগকে কখনও বলিতে হয় না ষে র্তাহারা খ্ৰীষ্টিয় ধৰ্ম্মের কোন শাখার লোক । এরূপ কোন প্রশ্ন করা হইলে তাহাতে ইহাই বুঝাইবে যে ধৰ্ম্মসম্প্রদায় অনুসারে বাছবিচারের যে-রীতি স্থথের বিষয় এদেশে শতাধিক বৎসর পূৰ্ব্বে পরিত্যক্ত হইয়াছে তাহাতে আবার ফিরিয়া যাওয়া হইয়াছে।” মিঃ ঈডেন বলিয়াছেন, “ঐ বাছবিচার ইংলণ্ডে শতাধিক বৎসর পূৰ্ব্বে পরিত্যক্ত হইয়াছে, ইহা স্বখের বিষয়।” সেই সঙ্গে তাহার ইহাও বলা উচিত ছিল, “এবং ইহা আরও মুখের বিষয় যে ব্রিটেনে পরিত্যক্ত এই রীতি ত্রিশ বৎসরের অধিক হইল ব্রিটিশ গবষ্মেন্টেরই দ্বারা ভারতবর্ষে প্রবর্তিত হইয়াছে।” ভারতীয় কোন কৰ্ম্মচারীকে সরকারী কাজ করিবার সময় কি বলিতে হয় তিনি কোন ধর্মের লোক ? ভারতবর্ষ সম্পর্কে ভারত-সচিবের কৌন্সিল, প্রিভি কৌন্সিল, বড়লাটের শাসন-পরিষদ, ফেডারেল বিচারালয়, হাইকোর্ট, প্রাদেশিক মন্ত্রিসভা প্রভৃতি হইতে আরম্ভ করিয়া ঝাড়ুদার পৰ্য্যস্ত যত লোক যেখানে সরকারী কাজে নিযুক্ত আছে, সকলের মধ্যেই কোন সম্প্রদায়ের লোক কত, কোন জাতের লোক কত, সেই প্রশ্ন ব্যবস্থাপক সভা-আদিতে পুনঃ পুনঃ উঠিয়া থাকে বা উঠিতে পারে। সরকার-পক্ষের কেহ কখন এরূপ প্রশ্নের উত্তর দিব না বলিতে সাহস করেন না, বরং সরকার আহলাদের সহিত সোৎসাহে উত্তর দেওয়াইয়া থাকেন। কারণ, আমাদিগকে বিশ্বাস করিতেই হইবে, ব্রিটিশের যাহা বিষ, ভারতীয়ের পক্ষে তাহা অমৃত । সুভাষচন্দ্র বস্তুর কংগ্রেসের সভাপতিত্বে বরণ ঐযুক্ত স্বভাষচন্দ্র বস্থ কংগ্রেসের আগামী অধিবেশনে সভাপতি নিৰ্ব্বাচিত হইয়াছেন। যেরূপ যোগ্যতা দেখিয়া কংগ্রেসের সভাপতি নিৰ্ব্বাচন করা হয়, তাহা তাহার যথেষ্ট আছে । কংগ্রেস-নেতাদের মধ্যে এ-পর্ব্যস্ত যাহারা সভাপতি নিৰ্ব্বাচিত হন নাই, তাহাজের মধ্যে তিনি যোগ্যতম । সমুদষ্ট