পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰযুক্ত সুভাষচন্দ্র বসু o কংগ্রেস-সভাপতির মধ্যে তিনি কনিষ্ঠতম। দেশের কাজ করিতে গিয় স্বাৰ্থত্যাগ ও দুঃখবরণও তিনি খুব করিয়াছেন । বাংলা দেশ হইতে পনর বৎসর কেহ সভাপতি নিৰ্ব্বাচিত হন নাই। এখন এক জন বাঙালী নিৰ্বাচিত হওয়ায় ভারতীয় রাষ্ট্রনীতিক্ষেত্রের নানা গ্ৰঃ ওঁ সমস্যা সম্বন্ধে এক জন বাঙালী নেতা কি ভাবেন তাহা ব্যক্তি হইবার সুযোগ হইল। বাংলা দেশের বিশেষ কবিধা কতকগুলি সমস্যা আছে । সে-বিষয়েও কিছু বলিবার ইযোগ হইতে পারে। সেগুলি সম্বন্ধে সব কথা বলা উইখি পক্ষে সুবিধাজনক হইবে কি না এখন বলা যায় শী। বঙ্গের রাজবন্দী ও অস্তরিতদের কথা সম্ভবত: শণা সেই বলা যাইবে । বঙ্গে শিক্ষণসঙ্কোচনের যে *“১ষ্ট, স্বাজাতিক রাষ্ট্রনীতি অনুসারে না-হক অপচেষ্টা, * মন্ত্রিমণ্ডলীর দ্বারা হইতেছে, তাহারও উল্লেখ ইভ বাবু সম্ভবতঃ করিতে পারিবেন। . তবে এই * 3 ৰে হিন্দুদিগকে খাটো করিবার জন্য হইতেছে, উঠি বলা স্থবিধাজনক না হইতে পারে। কারণ, কংগ্রেস বিবিধ প্রসঙ্গ-কংগ্রেস ও ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র গঠন Պ8Տ রাষ্ট্রনীতির একটা অলিখিত নিয়ম আছে বলিয়া অসুমিত হইয়াছে, যে, হিন্দুদের সপক্ষে স্তায্য কোন কথা বলাও নিষিদ্ধ। বঙ্গের হিন্দুদের মত না লইয়া তথাকথিত জিন্না-রাজেন্দ্রপ্রসাদ চুক্তি কায়েম করিবার যে চেষ্টা করা হইতেছে, তাহার প্রতিবাদ বিষ্ণুপুরের রাষ্ট্রীয় সম্মেলন করেন নাই । সুভাষ বাবুও সম্ভবত: করিবেন না—যদিও বঙ্গীয় রাষ্ট্ৰীয় সম্মেলনের দিনাজপুর অধিবেশনে এই তথাকথিত চুক্তির দৃঢ় প্রতিবাদ ইয়াছিল। ব্যক্তিগত বলিদানওঁ ব্যক্তির স্বেচ্ছাপ্রস্তুত বা সম্মতি অনুসারে হইলে, তবে কোন কথা উঠে না। একটা লোকসমষ্টিকে বলি দিতে হইলে সেই সমষ্টির সম্মতি লওয়া অনাবশ্বক কি না, বিবেচ্য। মনে রাখিতে হইবে, ষে, বঙ্গীয় হিন্দুদিগকে বলি দেওয়া হইলে তাহা ভারতীয় হিন্দুদিগকে বলি দেওয়ার পূৰ্ব্বাভাষ হইবে । সমষ্টিকে বলি দিবার অধিকার কাহারও নাই ; শক্তিও নাই । কংগ্রেস ও ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র গঠন কংগ্রেসের আগামী অধিবেশনে কি কি প্রস্তাব আলোচিত ও নিৰ্দ্ধারিত হইবে, কংগ্রেসকাৰ্য্যনিৰ্ব্বাহক কমীটির প্রস্তাবগুলি হইতে তাহার আভাস পাওয়৷ যাইতেছে। ভারতশাসন-আইনে ভারতীয় ফেডারেশ্বন অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র গঠনের যেরূপ ব্যবস্থা আছে, কংগ্রেস তাহার বিরোধী—যদিও কংগ্রেস যুক্তরাষ্ট্র গঠনের বিরোধী নহেন, বরং সমগ্র ভারতবর্ষকে একটি রাষ্ট্রে পরিণত করিতে চান । আমাদেরও মত ঐরুপ। গণতান্ত্রিক রীতিতে যুক্তরাষ্ট্রগঠন প্রার্থনীম্ব । ংগ্রেস ভারতশাসন-আইনের ব্যবস্থাটার সম্পূর্ণ বিরুদ্ধতা করিতে চান, এবং কন্সটিটিউয়েণ্ট এসেমরীর ( গণ-পরিষদের ) দ্বারা যুক্তরাষ্ট্রবিধি ও ভারতশাসনের অক্ষান্ত বিধি রচনা করাইতে চান। মান্দ্রাজের ব্যবস্থাপক সম্ভীর উভয় কক্ষে একটু ভিন্ন রকমের প্রস্তাব” গৃহীত হইয়াছে। ঐ সভা ভারতশাসন-আইনের যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থার অনুপযোগিঙা ঘোষণা করিয়াছেন। বলা হইয়াছে, যে, ঐ ব্যবস্থা যেন জোর করিয়া ভারতবর্ষের উপর চাপান নী