পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ግ8bo প্রবাসী సిw988 ইহাই কি সব ? এই সকল বালক-বালিকাদের অনেকের মধ্যে; যুবক যুবতীদের অনেকের মধ্যে, এমন বস্তু ছিল ৰাহ অঙ্ক দেশে ভিন্ন অবস্থায় তাহাদিগকে দেশের গৌরব সমাজের পরম হিতকারী করিতে পারিত। বাংলা দেশ এই সম্ভাবিত কল্যাণ, এই সম্ভাবিত গৌরব হইতে বঞ্চিত হইয়াছে । এতগুলি নবীন জীবনের ব্যর্থতা অন্য আরও অধিকসংখ্যক নবীন জীবনে ভয়ত্রাস ও অবসাদ আনিয়াছে— ইহাও গুরুতর ক্ষতি । হইতে পারে, তাহারা কেহ কেহ বিপথগামী হইয়াছিল, দোষ করিয়াছিল । ধিনি কখনও বিপথগামী হন নাই, কোন দোষ করেন নাই, তিনিই তাহাদিগের কেবল নিমাই করিতে পারেন। আমরা ভাবিব, তাহার বিপথগামী হইয়া থাকিবে, দোষ করিয়া থাকিবে, কিন্তু তাহার প্রায়শ্চিত্তও ত করিয়াছে । আর, তাহারা ব্যক্তিগত লাভের আকাজক্ষায় ত বিপথগামী হয় নাই । আমাদের স্বাধীনতালিপা। কি তাহীদের মত দুৰ্দ্দমনীয়, আমাদের স্বদেশানুরাগ fক তাহাদের মত প্রবল ? আমরা অন্য কারণে কি কখনও বিপথগামী হই না, দোষ করি না ? তাহীদের দোষক্ষালন করিবার নিমিত্ত, দোষটা দোষ মহে বলিবার নিমিত্ত, এত কথা বলিতেছি না। শাস্তি তাহাদের হইয়া গিয়াছে, প্রায়শ্চিত্ত হইয়াছে, এখন তাহদের যতটুকু শক্তি আছে, তাহা তাহদের পরিবারবর্গের, সমাজের, দেশের সেবায় নিযুক্ত হউক, এই আকাঙ্ক্ষায় বলিতেছি। আর, যাহার কোন দোষই করে নাই, কেবল সন্দেহে যাহারা দত্তিত হইয়াছে, তাহাদের অকারণ শাস্তির সমাপ্তি ত বহু পূর্বেই হওয়া উচিত ছিল ; অন্ততঃ এখন হউক । কৃষ্ণনগরে বঙ্গীয় সাহিত্যসম্মেলনের অধিবেশন এই বৎসর বঙ্গীয় সাহিত্যসম্মেলনের অধিবেশন কৃষ্ণনগরে হইতেছে। নদীয়া জেলা বাংলা-সাহিত্যের একটি পীঠস্থান । ষে বৈষ্ণব সাহিত্য বাংলা-সাহিত্যের অন্ততম সম্পদ ও গৌরব, তাহার উদ্ভব ধিনি ব্যতিরেকে হইত না, সেই শ্রীচৈতন্তের সহিত নদীয়ার নাম জড়িত। কৃত্তিবাস, ভারতচন্দ্র, দ্বিজেন্দ্রলাল নদীয়া জেলার অধিবাসী ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ তাহার বহু কবিতা ও গল্প নদীয়া জেলায় লিখিয়াছিলেন। বাংলাসাহিত্যের সহিত লেখকরুপে র্যাহাঁদের সাক্ষাৎ সম্পর্ক ছিল না, অদ্বৈতাচাৰ্য্য, বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী, রামতনু লাহিড়ী প্রভৃতি এরূপ পুণাত্মারা এই জেলা অলঙ্কত করিয়াছিলেন । মনোমোহন ঘোষ, লালমোহন ঘোষ, উমেশচন্দ্র দত্ত প্রভৃতি কৃষ্ণনগরের মানুষ । সাহিত্যিকবৃন্দের সমাগমে এই নগর কয়েক দিন আনন্দমুখর হইবে। - “স্বাধীনতা-দিবস’ আমেরিকার স্বাধীনতা-দিবস বলিলে যাহা বুঝায়, ভারতবর্ষের স্বাধীনতা-দিবস বলিলে তাহা বুঝায় না— ভবিষ্যতে বুঝাইতে পারে। ভারতবর্ষে এখন স্বাধীনতা দিবস বলিতে বুঝায় সেই দিবস যে-দিবস ভারতবর্ষের নেতৃস্থানীয় কতকগুলি লোক পূর্ণস্বাধীনতাকেই ভারতবর্ষের কাম্য বলিয়া ঘোষণা করিয়াছিলেন । স্বাধীনতা আমরা কত টুকু পাইয়াছি, তাহার বিচার আমরা এখানে করিব না। কিন্তু সামান্য যে এক টুকু লাভ হইয়াছে, স্বাধীনতা-দিবসের নানা সভায় উচ্চারিত ঘোষণাবাক্য হইতে তাহার আভাস পাওয়া গিয়াছে। ইংরেজশাসনের যে-সকল দোষ স্পষ্ট ভাষায় বলিয়া আগে আগে বহু সংবাদপত্র ও সম্পাদক দণ্ডিত হইয়াছেন বা অন্ততঃ ধমক খাইয়াছেন, স্বাধীনতা-দিবসের ঘোষণা-বাক্যে তাহার প্রধান দেযগুলি সংক্ষেপে স্পষ্ট ভাষায় নিবিষ্ট থাকিলেও তাহার প্রকাগু ব্যবহার নিষিদ্ধ হয় নাই, শত শত গ্রাম-নগরে তাহার আবৃত্তি হইয়াছে। লাভ এই টুকু।