পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कोछुन्। ৰিবিধ প্রসঙ্গ—আন্তরিত ও রাজবন্দীদের কথা ግፀግ বছ সম্ভানসস্তুতি হয় না। তাহার নন কারণ আলোচনা প্রসঙ্গে বুঝিতে পারিলাম, "সভা” সমাজে সম্ভানসংখ্যা হ্রাসের কৃত্রিম উপায় অবলম্বন ও বিজ্ঞাপনাদির দ্বারা ভtহার প্রচার শরৎচন্দ্র নিন্দনীয় মনে করিতেন । জোড়াসাকোতে রবীন্দ্রনাথের বৈঠকখানার স্বতন্ত্র অট্টালিকা বিচিত্রা নামে পরিচিত। সেখানে আগে মধ্যে মধ্যে সাহিত্যিক আলোচনা হইত। একবার মুসলমানী বাংলা সম্বন্ধে আলোচনা হয়। তাহাতে শরৎবাবুও তাকিয়ার উপর আর্দ্ধশয়ান অবস্থায় এক পায়ের উপর আর এক পা তুলিয়া দিয়া দু-একটা মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছিলেন। তাহ কি, সামান্ত মনে আছে ; কিন্তু ঠিক মনে না-থাকায় লিখিলাম न ! অনশনে হরেন্দ্রনাথ মুনশীর মৃত্যু ঢাকা জেলে প্রায়োপবেশক রাজবন্দী হরেন্দ্রনাথ মুনী নামক যুবকের মৃত্যু হওয়ায় দেশে স্বভাবতই অত্যধিক উত্তেজনার সঞ্চার হইয়াছে। তাহার আত্মীয়স্বজনের সহিত গভীর সমবেদন অমুভূত হইতেছে। কোন ব্যক্তি যে অত্যন্ত প্রিয়, তাহা বুঝাইবার জন্ত প্রাণপ্রিয় প্রাণাধিকপ্রিয় প্রভৃতি শব্দ ব্যবহৃত হয় । এক জন দু-জন নয়, কচিৎ এক অtধ বার নয়, বহু ব্যক্তি যে বহুবার অনশনে প্রাণ ত্যাগ করিবার সঙ্কল্প করে, অতি প্রিয় প্রাণের মায়া ত্যাগ করে, তাহা কম দুঃখে করে না । স্বেচ্ছামু উপবাসী কোন রাজবন্দীর মৃত্যু হইলে সরকারী সাফাইকারীরা সৰ্ব্বসাধারণকে বিশ্বাস করাইতে চান, যে, উপবাসীদের দুঃখের কোন কারণই ছিল না ! ভtহা হইলে তাহারা কি অকারণে প্রাণ দিতে চায় ? তাহারা কি পাগল ? তাহা হইলে তাহাদিগকে মানসিক চিকিৎসালয়ে কেন পাঠান হয় নাই ? সরকারী সাফাই আমরা শুনিতে প্রস্তুত নহি । রাজবন্দীদিগকে মুক্তি না-দেওয়া পৰ্য্যন্ত বঙ্গে শাস্তির সম্ভাবনা কম। মুক্ত না-হওয়া পৰ্য্যস্ত বন্দীরা ধৈৰ্য্যধারণ” করিয়া থাকুন, প্রায়োপবেশন করিবেন না-মহাত্মা গান্ধী ও অন্ত নেতৃবৃন্দ शैशशिरक यहे अशद्रां५ छानाश्शरश्न। बैरव ७ चछ «कन কান প্রদেশে বন্দীরা এই অনুরোধ রক্ষা করিয়াছেন । ভাল করিয়াছেন। নেতাদের এই অনুরোধে আমরাও মনে মনে, সায় দিয়াছি। কিন্তু ইহাও অনুভব করিয়াছি, যে, এইৰূপ অনুরোধ করিবার দায়িত্ব কিরূপ গুরু । আমি ত তাহাদের মুক্তির জন্য কিছুই করিতেছি না ! মার্চে মহাত্মাজী বঙ্গে আসিতে পারেন হরিপুরায় কংগ্রেসের অধিবেশন শেষ হইবার পর, স্বাস্থ্য ভাল থাকিলে, মহাত্মা গান্ধী মার্চ মাসের গোড়ায় বঙ্গদেশে আসিবার ও এখানে আসিয়া রাজবন্দীদের মুক্তির চেষ্টা করিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিয়াছেন—খবরের কাগজে এই সংবাদ প্রকাশিত হইয়াছে । ইহা সুসংবাদ । মহাত্মাঙ্গী আসিলে এবং তাহার চেষ্টায় রাজবন্দ্বীরা মুক্তি পাইলে সাতিশয় আনন্দিত হইব । সংবাদটি পড়িবার পর একটি দুঃখকর অবসাদজনক চিন্তাও মনে উদিত হইয়াছে। বাংলা দেশে এমন দরদী, এমন বিচক্ষণ, ও এমন প্রভাবশালী মানুষ একটিও নাই ধিনি একাগ্রতা, অtশা ও উৎসাহের সহিত বন্দীদের বন্ধনমোচনের চেষ্টায় গবর্ণর ও মন্ত্রীদের সহিত কৰাবাৰ্ত্তা চালাইতে পারেন । অন্তরিত ও রাজবন্দীদের কথা বাংলা দেশে যে-সকল বালক ও যুবক, বালিকা ও যুবতী সন্দেহে বিনাবিচারে অস্তরিত বা বিচারাস্তে কোন রাজনৈতিক অভিযোগে :কারারুদ্ধ হইয়াছে, তাহীদের কথা ভাবিলে মন বিষাদে নিমগ্ন হয় । তাহারা সকলেই বহু দুঃখ ভোগ করিয়াছে, অনেকে বহু অত্যাচার সহ করিয়াছে, কেহ কেহ আত্মহত্যা করিয়াছে, কেহ কেহ সাংঘাতিক পীড়াগ্রস্ত হইয়াছে, কেহ কেহ তাহাতে মারা পড়িয়াছে, অনেকে প্রায়োপবেশন করিয়া স্বেচ্ছায় অনশনের যন্ত্রণ ভোগ করিয়াছে, তাহার মধ্যে দুই এক জনের প্রাণও গিয়াছে। শুধু কি তাহাদের দুঃখ ? তাহীদের আত্মীয়স্বজনদের পরিবারবর্গের কি দুঃখ । অনেক পরিবারের অবলম্বন আশাভরসার স্থল তাহারা ছিল । তাহীদের জুভাবে সেই সব পরিবারের অভাবনীয় দুর্দশা হইয়াছে।