পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سواج) جه প্রবাসী ১৩৪৪ যে, যেমন স্বাভাবিক ( instinctive ) যৌনপ্রবৃত্তি হইতে পারিবারিক জীবনের উদ্ভব হইয়াছে, তেমনই প্রাণশক্তির রক্ষণ, পোষণ ও বৰ্দ্ধন কল্পে পুরাতন প্রস্তর যুগের অস্থত; শেষার্দ্ধে আদিম-মানবের অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনের—এবং সকলের ভিত্তিস্বরূপ ধৰ্ম্মজীবনের --মূল পত্তন হইয়াছে । সেই ভিত্তির ক্রমিক প্রসারণ ও সংস্করণ সাধিত হইয়া তাঙ্গর উপরই বর্তমান সভ্য জাতিদের সভ্যতা-সৌধ গড়িয়া উঠিয়াছে । সমাজ-সংগঠনের সূত্রপাত মানব-সভ্যতার শৈশব যুগে জীবনের সাফল্যের আদর্শ ছিল প্রাণশক্তির পূর্ণতা । মানবের প্রধান কাম্য ছিল, খাদ্যের সচ্ছলতা, বংশবিস্তার, শারীরিক স্বাস্ত্য ও স্বাচ্ছন্য এবং তজনিত মৃগ, সন্তোম ও ফুর্তি। পাদ্য সংগ্রহের জন্য ও আপ্লিব্যাধি এলং হিংস্র পশ্বাদির ও অন্যান্য শত্রুর কবল তষ্টতে আত্মরক্ষার প্রচেষ্টায় একমাত্র ব্যক্তিগত উদ্যম ও শক্তির অক্ষপযোগিতা ও নিফলত পুনঃ পুনঃ উপলব্ধি করিয়া আদি মানব পরস্পরের সহায়তা খুজিল এবং পরস্পর-সম্বদ্ধ কয়েকটি পরিবার দলবদ্ধ হইয়া মৃগয়া দ্বারা পাদ্যাদি অন্বেষণে ও আত্মরক্ষায় ব্যাপৃত হইল । এইরূপ একাধিক দল একত্র সম্মিলিত হইয় এক বা একাধিক মনোনীত দলপতির নেতৃত্বে প্রাণশক্তির রক্ষণ, পোষণ ও বৰ্দ্ধনের প্রয়াসে পরস্পরের সহযোগিতা দ্বারা ও দৈবশক্রির আমন্থণ করিয়া গাড়াসমস্যার আংশিক সমাধান করিল। পরস্পরের সহযোগিতায় কোনও কার্যা করিতে গেলেই কেবল নেতার প্রয়োজন তাহী নহে, প্রথা বা নিয়ম এবং বাধাবন্ধ বা বিধি-নিয়মের প্রয়োজন হয়। এইরূপে আদিম-জাতিদের মধ্যেই প্রথমে সমাজ ও সমাজপতি এবং শাসনতন্ধের ও আইনকান্তনের সূত্রপাত হয় । আর ধৰ্ম্মভাব অর্থাৎ অজ্ঞাত অসীম শক্তির উপর নির্ভরতা মানব-হৃদয়ে অস্তর্নিহিত থাকুক বা মাই থাকুক বাহ প্রকৃতির প্রতিকূলতার প্রতিক্রিয়া-স্বরূপই ইহাদের মধ্যে উহার প্রথম স্ফুরণ ও উদ্দীপন দেখা যায়। যখন আদিম-মানব দেখিল যে তাহার ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত প্রয়াস ও সসীম 1. తె ক্ষমতা কোনও অজ্ঞাত ও অজ্ঞেয় অসীম শক্তিদ্বারা বার-বার পরাহত হইতেছে তখন সে খুজিল সেই অসীম অজ্ঞাতের সহায়তা । হয়ত আদি-মানব স্বপ্লেক্ট আত্মার পৃথক সন্তা ও আধ্যাত্মিক জগতের ও পরলোকের প্রথম আভাস প্রাপ্ত হইয়াছিল। কোনও কোনও পণ্ডিত মনে করেন, শিশুর মনে পিতার অপরিসীম ক্ষমতার ধারণা হইতেই আদিম-মানবের সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ধারণার উদ্ভব হয় । এইরূপে আদিম-মানব সমাজে সৰ্ব্ববিধ অমঙ্গল দূরীকরণ ও অশুভ প্রভাবের প্রতিযেধ এবং কল্যাণপ্রদ প্রভাব ও ঈপ্সিত খাদ্যাদির আহরণ করিবার প্রচেষ্টাতেই যাদু বা মম্বতন্ত্র এবং নানাবিধ অনুষ্ঠানের প্রথম স্বত্রপাত দেখা যায়। আমাদের গচি-টিকটিকি প্রভৃতির বাধা ও পঞ্জিকা-নির্দিষ্ট ও মেয়েলী শাস্বনির্দিষ্ট আরও অন্যান্স নানা প্রকার বিধিনিষেধ সমাজের আদিম অবস্থার “Trostoff" or Primitive tabooএর স্মারক তুর্ততে পারে । আদি-মানবের অন্তষ্ঠানের প্রথম পরিচয় পাওয়াযায় প্রাগৈতিহাসিক কালের পুরাতন প্রস্তর-সূগের কতকগুলি গিরি গুচাগাত্রে অঙ্কিত চিলে । মধ্যইউরোপ, স্পেন ও ফ্রান্স দেশের কয়েকটি গিরিগুচায় এবং ভারতের মধ্যপ্রদেশে রায়গড় রাজ্যের সিঙ্গানপুর গ্রামের একটি গিরিগুহায় ও হোসেঙ্গীবাদের নিকট একটি পাহাড়ের গাত্রে এবং উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের মির্জাপুর জেলার লিথুনিয়া প্রভৃতি কয়েকটি গিরিগাত্রে অনেকগুলি সুন্দর, জীবন্ত, রঙীন মূৰ্ত্তি অঙ্কিত আছে । ইহার মধ্যে কতকগুলি চিত্রে শিকারীদলের তীরধতুক কিংবা লগুড় হস্তে বিবিধ পশুপালের পশ্চাদ্ধাবনের জীবস্ত রঙীন প্রতিচ্ছবি আছে। এইগুলির উদ্বেগু সম্ভবতঃ অন্তকরণমূলক যাদুদ্বারা ( imitative magic ) মৃগয়া অনায়াসলভ্য কর । সিঙ্গানপুরের চিত্রসম্বলিত গুহার নিকটে ভূগর্ভে কয়েকটি পুরাতন প্রস্তর-যুগের শেষাদ্ধের ( Upper Period-aặ--Aurignacion argstofā কুঠারের অমুরূপ) কুঠারফলক পাইয়াছিলাম। সেজন্য ঐ গুহাচিত্রগুলির জন্মকাল অন্যন দশ সহস্ৰ বৎসরের পূর্বের বলিয়া গণ্য করা যাইতে পারে। মির্জাপুর জেলার গিরি Palæolithic