পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র 伞 শহীদের দ্বারা কোনও নুতন সামাজিক প্রথা অথবা ধৰ্ম্মমত বা ধৰ্ম্মানুষ্ঠনের প্রবর্তন অথবা পুরাতন প্রথা বা মত বা অনুষ্ঠানের আমূল সংস্কার সাধিত হওয়ায় তাহারা নিজ নিজ সমাজকে উন্নতির পথে সমধিক বেগে অগ্রসর হইতে সাহায্য করিয়াছেন । কচিং কখনও আদিম-সমাজে ও কোনও কোনও ব্যক্তি সবিশেষ একা গ্রচিত্ততার বলে নিমেষের জন্যও বিজ্ঞানময় কোষের ক্ষণিক প্রভা বা চমক ( flash ) অনুভব করেন ; এবং নিজের জাতি বা সমাজকে (কানও প্রচলিত কুরীতির দাসত্ব হইতে মুক্ত করেন বা সমাজে কোনও নূতন হিতকর রীতি প্রবর্তন করেন। এইরূপ ব্যক্তি দেবাবিষ্ট (God-inspired) ও দেবামুগুহাঁত বলিয়া পরিগণিত হন, ও মহাপুরুষরূপে সন্মানিত হন। সাধারণতঃ আদিম-জাতিদের প্রধান ( পাহান ) বা দলপতির ঐৰূপ অসাধারণ শক্তি দেখা যায় না। তবে তাহারা içRT (47 (Tifft? Ti spirit-possessed KH | সমাজ-নেতার উদ্ভব প্রথমে এই প্রধান ( ‘পাহান’ ) বা পুরোহিতের কার্য্য ছিল সমাজের ঋদ্ধি বা সৰ্ব্বাঙ্গীণ কুশলের জন্য ধৰ্ম্মামুণ্ঠানে ময়িকত্ব । আল্লায়তন আদিম সমাজগুলিতে পরস্পরের সহযোগিতাজনিত শুঙ্খলম ও এক প্রকার স্বায়ত্তশাসন বৰ্ত্তমান ছিল । সকলেই সম্মিলিত হইয়া প্রধান ও বয়োবৃদ্ধদের পরিচালকতায় প্রচলিত রীত্যনুসারে বিবাদiদর মীমাংসা ও জনহিতকর অনুষ্ঠান করিত। যজ্ঞকৰ্ত্ত। পুরোহিত বা প্রধান ( পাহান ) সমাজের প্রতিনিধি-স্বরূপ ‘রাজা বলিয়া গণ্য হইতেন । এখনও ছোটনাগপুরের মুণ্ড, ওঁরাও প্রভৃতি জাতির তাহাদের গ্রামপুরোহিতকে “পাহান-রাজা” আখ্যা প্রদান করে । আদিম-সমাজে পুরোহিতের প্রধান কাৰ্য্য ছিল স্বদলের বা স্বগ্রামের প্রাণশক্তির পোষণ ও প্রাণশক্তিবিরোধী অশুভ-শক্তির প্রতিযেধ। তাই অাদিতে তিনি ছিলেন একদিকে যজ্ঞকৰ্ত্তা পুরোহিত অপর দিকে শান্তিরক্ষক রাজা এবং রণ-নেতা (War-lord ) । আদিম জাতিদের বিশ্বাস সমাজের কল্যাণ ও সৌভাগ্য নির্ভর করে এই প্রধান বা “পাহানরাজা”র শক্তি ও যোগ্যতার উপর। গ্রামের ও সমাজের جسم 8 هة ↔ ՊՆՏ কোনও বিপদ ঘটিলে এই রাজার অক্ষমতায়, অযোগ্যতায়, বা অবহেলায় ঘটিয়াছে এইরূপ নির্দেশ করা হয় । কোনও ওঁরাও বা মুণ্ড গ্রামে বারংবার অনাবৃষ্টি, দুর্ভিক্ষ বা মহামারী ইহলে গ্রাম-পাহানের ক্রটি বা অযোগ্যতার জন্য ঘটিতেছে মনে করিয়া কখনও কখনও তাহাকে পদচ্যুত করা হয় । আমাদের মধ্যে এখনও সমাজের বা দেশের বিশেষ কোন অমঙ্গল ঘটিলে রাজার দোষে ঘটিয়াছে, এবং কোনও কল্যাণ বা সৌভাগ্য ঘটিলে রাজার পুণ্যে হইয়াছে, এরূপ ধারণা বদ্ধমূল আছে । বাংলা প্রবচন -“ধন্য রাজা গুপুণ্য দেশ, যদি বর্ষে মাধের শেয” ও উড়িয়া প্রবচন - , “যদি বরষে মাঘের শেষ', ধন্য সে রাজা ধন্য সে দেশ' ", .এইরূপ বিশ্বাসেরই পরিচায়ক । সমাজের আদিতে একই ব্যক্তি হোতা বা ধৰ্ম্মনেতা, যুদ্ধনেতা ও রাষ্ট্রনেতা ছিলেন। ক্রমে গোত্র বা গোষ্ঠী হইতে “জাতির’ ( tribe ) ও গ্রামসঙ্ঘ হইতে “রাষ্ট্রে”'র ( State ) উদ্ভব হইল। সমাজের প্রসার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দৈব-ক্রিয়া ছাড়া, শাসন, যুদ্ধ, বিচার-কাৰ্য্য প্রভূতি অন্যান্য কায্যে নেতৃত্ব করিবার জন্য সহকারী বা দ্বিতীয় নেতার প্রয়োজন হহল । ধৰ্ম্মনেতা বা “পাহান-রাজা” মম্বতত্ত্ব পূজাহুষ্ঠান প্রভৃতি কায্যে ব্যাপৃত থাকা প্রযুক্ত শাসন ও যুদ্ধ প্রভৃতি বা বৈষয়িক ( secular ) কায্যের নেতৃত্বের জন্য প্রতিনিধি (মুণ্ডা’ বা ‘মণ্ডল’ ও ‘মাহাতো’ ব৷ ‘মহৎ’ ) মনোনীত হইল। এখনও কোনও কোনও মুণ্ড গ্রামে একই ব্যক্তি মুণ্ডা’র ও পাহানের অর্থাৎ রাজার ও পুরোহিতের কায্য নির্বাহ করে। যেখানে ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় নেতৃত্ব ও শাসনকাৰ্য্য এবং যুদ্ধাদির নেতৃত্বের ক্রমে বিভাগ ঘটিয়াছে, সেখানে অনেক স্থলেই ক্রমুেL যুদ্ধনেতা ও রাষ্ট্রনেতা, প্রধান নেতার বা ‘রাজা’র পদে উন্নীত, ও ধৰ্ম্মনেতা দ্বিতীয় স্থানে অবনমিত হইয়াছেন । রাজশক্তির অভিব্যক্তি . যেমন আদিতে প্রত্যেক ক্ষুদ্র দলের নেতাকে কেন্দ্র করিয়া গ্রাম গঠিত হইত, তেমনই রাজার আবাসের অথবা ধৰ্ম্মানুষ্ঠানের কেন্দ্রের চতুর্দিকে জলসংখ্যা ঘনীভূত হইয়া নগর বা পুর’ গঠিত হইল। মূলপ্রধানের পদ দুই ভাগে