পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Պծg প্রবাসী >Nご88 পড়ে, আমিই মাছটা খুজে বার করেছি। মাছ আপনি সবই বহন করিয়া'আনিতেছিল, কারণ ঠাকুরমা ছোট স্বাধবেন ত ?” মেয়েদের হাতে কিছু দিতে চান না। মুখে বলেন, বৃদ্ধ বলিলেন, “না, মিম্বর উপর মাছের ভার, আমি নিরামিষ রাখছি।” বিমল আর কিছু না বলিয়া মুটেকে পয়সা চুকাইয়া দিয়া বাহির হইয়া গেল । - মৃণাল একটু ভয়ে ভয়েই কাজে নামিল । রান্না করার অভ্যাস যে তাহার নাই তাহা নহে, তবে বাহিরের পাচ জন লোক খাইবে, রান্না ভাল না হইলে লজ্জার বিষয় । মামীম সঙ্গে থাকিলে তাহার ভাবনা ছিল না, কিন্তু এখানুে কাহাকেও কিছু জিজ্ঞাসা করিতেও সঙ্কোচ হয়। যাহা হউক এগারটার মধ্যে সে নিজের কাজ সারিয়া ফেলিল, চোখের দৃষ্টিতে ত রায় তাহার ভালই বোধ হইল, এখন খাইতে লোকের মুখে কেমন লাগিবে কে জানে ? - বারোটার মধ্যে নিমন্ত্রিত ব্রাহ্মণের দল আসিয়া পৌছিলেন । পঞ্চানন আসিল তাহাদের মিনিট দশপনর আগে। তাহার পূৰ্ব্বে সে সকালের কাজ সারিতে পারে নাই । বাহিরের ঘরে খাইবার জায়গা হইতে লাগিল । বাড়ীর দুই জন চাকর বীরেনবাবু ও বিমলের তত্বাবধানে কাজ করিতে লাগিল, এবং পঞ্চানন তদারক করিতে লাগিল বিমলকে । সবাইকে বসাইয়া বিমল পঞ্চাননকে জিজ্ঞাসা করিল, “পঞ্চমামা কি এখন বসবে, না পরিবেষণ করবে ?” পঞ্চানন বলিল, “যাতে তোমাদের স্ববিধে, বসতেও আপত্তি নেই, পরিবেষণ করতেও আপত্তি নেই।” বীরেনবাবু বলিলেন, “পষ্ণু ব'সেই যাক, বেলা হয়ে যাচ্ছে, এই ক'জন ত লোক, আমি আর তুমিই দিতে পারব।” 3. বিমল বলিল, “নিশ্চয়, তা হ’লে বসে যাও পঞ্চমামা!” বাড়ীর মেয়ের ঘরের দরজা পৰ্য্যস্ত জিনিষ অগ্রসর করিয়া দিতে লাগিল, এবং বিমলই পরিবেষণ করিতে লাগিল। পঞ্চানন অঙ্গরের দরজার দিকে তীব্র দৃষ্ট রাখিয়া খাইতে লাগিল । মুণাল তরকারি, মাছ, দই, মিষ্টি “ছেলেমানুষ, ফে’লে, দেবে,” আসলে তাহাদের কাপড়চোপড়ের শুদ্ধতা সম্বন্ধে তাহার সন্দেহ যায় না । কাজেই মৃণালই একে একে সব জিনিষ আনিয়া পৌছাইয়া দিতে লাগিল। পঞ্চাননের মুখে বিরক্তির ভাবটা ক্রমে ভাল করিয়াই ফুটিয়া উঠিল, বিমলের সঙ্গে এ-মেয়ের এত কথা বলা কেন ? ইহার শিক্ষা ত ভাল হইতেছে না ? আসলে কথা বা বলিতেছিল বিমলই, মৃণাল শুধু হাসিয়া বা ই-না করিয়াই তাহার উত্তর দিতেছিল। কিন্তু ইহাও পঞ্চাননের চোখে খোচা দিয়া তাহাকে বিরক্তিতে ভরপুর করিয়া তুলিল। খাইতেও সে বেশ ভালবাসে, রান্নাও হইয়াছে নানা রকম, কিন্তু সেদিকে সে মন দিতে পারিতেছে কই ? বিমল একবার ভিতরের দরজার দিকে গিয়া বলিল, “মাছরান্না খুব ভাল হয়েছে, সবাই চেয়ে চেয়ে খাচ্ছে ” মৃণাপ একটু হাসিয়া বলিল, “বাঙালীরা নিরামিষের চেয়ে মাছ এমনিতেই পছন্দ করে বেশী।” পঞ্চানন ভ্র কুঞ্চিত করিয়া মনে মনে বলিল, “এই ত সেদিন ট্রেনে দেখা, এরই মধ্যে গল্পের ঘটা দেখ না ? এ-মেয়েকে নিয়ে বেগ পেতে হবে ।” খাওয়া চুকিয়া গেল। অতিথিদের দক্ষিণা দেওয়া হইল, পঞ্চানন তাহা হইতেও বঞ্চিত হইল না । বেশ গম্ভীর ভাবে ট্যাকে টাকা গুজিতেছে এমন সময় মৃণাল আবার পান হাতে দরজার কাছে আসিয়া দাড়াইল । পঞ্চানন আরও গম্ভীর হইয়া সরিয়া গেল। এ-ব্যাপারটা মৃণালের চোখে না পড়িলেই ভাল ছিল, যা সাহেবী মেজাজের মেয়ে । ইহার পর বাড়ীর ভিতরে ছেলেমেয়ে সকলে থাইতে বসিল, ইহাদের পরিবেষণ করিলেন বীরেনবাবুরম আর স্বরবালা। ইয়ারা সকলকে ন-খাওয়াইয়া খাইবেন না। বৃদ্ধ বলিলেন, “বীরুও এই সঙ্গে বস্থক না, সে আর একলা থাবে কেন বাইরে ?” গহিণী বলিলেন, “হ্যা, ঢের বেলা গেছে, দাদার আর