পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাটির বাসা ঐসীতা দেবী ( > t ) এই বাড়ীতে আসিয়া মৃণাল যেন হাফ ছাড়িয়া বাচিল । বোর্ডিং জিনিষটা তাহার ধাতে একেবারেই সন্থ হয় না, এত কাল বাস করিয়াও সহিয়া যায় নাই । ভগবান জন্মের পরেই তাহার ঘর ভাঙিয়া দিয়াছিলেন, তাই যেন ঘরের প্রতি তাহার হৃদয়ের এমন অদম্য টান। ভবিষ্যতের দিকে চাহিয়াও সে একটি সুন্দর পল্লীনীড় ছাড়া কিছুই দেখিতে পায় না, অথচ সেই ঘর বঁাধার সঙ্গী হিসাবে কাহাকে সে পাইবে সে জানে না, বেশী ভাবিতে গেলেই তাহার বুক কঁাপিয় উঠে। অজানা ভয়, অজানা পুলকের দোলায় তাহার মন ছলিতে থাকে । বীরেনবাবুর মায়ের কাজ করার চেয়ে গল্প করার *দিকে ঝোক ছিল বেশী । তবে গৃহিণী স্বরবালার তাড়ায় কাজও কিছু কিছু হইতে লাগিল । তাহার বাড়ীতে দশটা মানুষ খাইতে আসিবে, কিছু ক্রটি হইলে লজ্জা র্তাহারই হইবে, মাসীমাকে ত আর কেহ চেনে না ? কাজেই চাল-ডাল বাছ, মশলা বাছ, স্বপারি কাটা ইত্যাদি গল্পের ফঁাকে ফাকে, হইতে লাগিল। বিকালের দিকে পঞ্চানন আর বিমল দু-জনেই আসিয়া পৌছিল, এবং ফর্দ লইয়া বাজার করিতে যাত্রা করিল। কোথায় কোথায় শুদ্ধ জিনিষ পাওয়া যায় তাহ দেখাইয়া দিবার ভার লইল পঞ্চানন, দরদপ্তর করিয়া কিনিতে হইল বিমলকে । বীরেনবাবু স্বধু পয়সা গণিয়া দিলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে ঘুরিতে লাগিলেন। কাকামুটের মাথায় জিনিষপত্র চাপাইয়া সন্ধ্যার পর তিন জন ফিরিয়া আলিল। মাছ সকালে কিনিতে হইবে, কাজেই বিমলের অার একবার আসা অনিবার্ধ্য। পঞ্চানন জু কুঞ্চিত করিয়া বলিল, “সাড়ে ন’টা দশটার আগে আমি ' আসতে পারব না।” বীরেনবাৰু কাতর ভাবে বলিলেন, “তাই এস অগত্য। وھب سمbھ? বিমল, বাবা, মাছটা তাহলে তুমিই একটু দেখে শুনে কিনে দিও।” রাত্রি বারোটা পৰ্য্যস্ত জাগিয়া মেয়েরা তরকারি কুটিল আর পান সাজিল। ছোট দুই মেয়ে রেবা আর সেবা কাজ যত করুক বা না-ই করুক, কাজের অজুহাতে পরের দিন স্কুল কামাই করিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইয়া রহিল। তাহারাও সমানে রাত জাগিতে প্রস্তুত ছিল; তবে দশটার পর স্বরবালা তাড়া দিয়া তাহাজের গুইতে পাঠাইয়া দিলেন। মৃণাল বৃদ্ধার সঙ্গে এক বিছানায় গুইয়া রাতটা কোনমতে কাটাইয়া দিল । ভোর হইতে-না-হইতে সকলকে উঠিতে হইল। স্নান না করিয়া আজ রান্নাঘরে যাইবার উপায় নাই । মৃণালের জন্ত স্বরবালা তাড়াতাড়ি গরম জলের ব্যবস্থা করিয়া দিলেন, বৃদ্ধ অবশু তাহার জন্য অপেক্ষা করিলেন না । স্বানের পর রান্নাঘরে গিয়া কে আমিষ রাখিবে কে নিরামিষ রাধিবে তাহার আলোচনা চলিল । শেষে মৃণাল লইল আমিষের ভার, বীরেনবাবুর মা ও গৃহিণী মিলিয়া বাকী সব করিবেন স্থির হইল । মাছও দেখিতে দেখিতে আসিয়া পড়িল। মুটের সঙ্গে সঙ্গে বিমলও ভিতর-বাড়ীতে ঢুকিয়া আসিল । বীরেনবাৰু চীৎকার করিয়া বলিলেন, “মা, মাছ খুব খাস পাওয়া গেছে।” বাড়ীর সব মেয়ে এক জোটে মাছ দেখিতে বাহির হইয়া আসিল । মৃণালও পিছনে দাড়াইয়া উকি মারিয়া দেখিল, সত্যই বেশ ভাল মাছ, একেবারে টাটুকা । বিমল জিজ্ঞাসা করিল, “মাছ দেখে খুলী হয়েছেন ত ঠাকুরমা ?” बूक वणि८णन, “ठा चांद्र श्व ना डोहे, ऋन्मद्र चिनिष এনেছ ” 輸 বিমল বলিল, “আচ্ছা, মুড়োটা যেন আমার পাতে