পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՊծԱ, প্রবাসী N988 কুরিতে সাহস করিবে না। স্বয়ম্বরার যুগ বহুকাল কাটিয়া গিয়াছে । দুঃখের বিষয় স্বকিয়া স্ত্রীটে পৌঁছিয়া সে বাড়ীতে পুরুষ মানুষ এক জনও দেখিতে পাইল না। বৃদ্ধ বাহিরে জাসিয়া তাহাকে খবর দিলেন যে জামাই এখনও ফেরেন নাই, ছেলে বিমলকে লইয়া মিলুকে বোর্ডিঙে পৌছাইয়া দিতে গিয়াছে এবং বাড়ীর অন্ত ছেলেরা খেলিতে চলিয়া গিয়াছে । পঞ্চাননের গা জলিয়া গেল। কোনমতে আর দুইচারটা কথা বলিয়া সে তাড়াতাড়ি চলিয়া গেল । বাড়ী ফিরিতে তখনই ইচ্ছা করিল না। দুপুর বেলা বা গুরুভোজন গিয়াছে, রাত্রে আর রান্না-খাওয়ার হাঙ্গাম করিবে না সে স্থিরই করিয়াছিল । ফলাহার করিলেই হইবে নিতান্ত যদি ক্ষুধ পায়। তাহার যোগাড় বাড়ীতে সৰ্ব্বদাই থাকে । হেদুয়ার ধারে বেঞ্চিতে বসিয় সে অনেক ভাবনা ভাবিয়া লইল । বিবাহ করিবার বয়স তাহার হইয়াছে। ইচ্ছারও কিছুমাত্র অভাব নাই। পারিবারিক অবস্থার উন্নতিও যদি এই সূত্রে খানিকটা হইয়া যায় ত সোনায় লোহাগা। মেয়ের বংশ এবং শিক্ষাদীক্ষাই যে একমাত্র দেখিবার ইহা সে জোর গলায় প্রচার করে বটে, তাই বলিয়া মেয়ে স্বন্দরী হইলে বা ধনবতী হইলে যে কিছু আপত্তির কারণ আছে তাহ ত নয় ? সকল দিক্ দিয়াই মৃণালকে স্থপাত্রী বলা চলে। জ্যাঠাইমার মতে মেয়ের বয়স অত্যন্ত বেশী, তা পঞ্চাননের ইহাতে বাস্তবিক সুপিত্তি কিছু নাই, বরং খুকী মানুষ করার দায় হইতে অব্যাহতি পাইবে । দাদার বউ দাদাকে যেরকম জালাতন করিয়াছিল, সেই রকম করিলে ত পঞ্চাননের মত বদমেজাজী মামুষের ঘরে টেকাই দায় হইবে। তাহার চেয়ে বয়স্থ বধুই ভাল। একটু চাপ দিলে মল্পিক-মহাশয় হাজার টাকা পণ যে না দিতে পারেন তাঁহ পঞ্চাননের মনে হয় না। সব চেয়ে বড় কথা যে মৃণালকে তাহার. পছন্দ হইয়াছে। নিজের কাছে স্বীকার করিতে ত আপত্তি; ? ইতিপূৰ্ব্বে তাহার যেछब्र*ि विशtrछद्र अचक একটিতেও মেয়ে বিশেষ পছন্দ মত নয়। এইখানে বিবাহ হইলে পঞ্চানন খুনী হয়, কিন্তু মেয়েটিকে আর বেশী মেমসাহেবী করিতে দিলে পরে নিষ্ঠাবান হিন্দু গৃহস্থের ঘরে তাহার মানাইয়া চলা শক্ত হইবে। কিন্তু মল্পিক-মহাশয়কে এ বিষয়ে কি ভাবে সাবধান করা যায় ? জ্যাঠামশায়, জ্যাঠাইমা সেকেলে করিয়া বিবাহই ভাঙিয়া দিবেন। মল্পিক-মহাশয়কে সে নিজে লিখিতে পারে না, সেটা শিষ্টাচার-বহির্ভূত হইবে । মৃণালকে জানানো ত অসম্ভব। কি তাহা হইলে করা বায় ? বিমূলেকে কিছু বলিতে গেলে ঝগড়াঝণটি বাধিয়া ব্যাপারটা বিত্র না হইয়া দাড়ায়। দাদার বৌটার বুদ্ধিশুদ্ধি কিছু কম, কিন্তু আর উপায় না দেখিলে তাহারই সাহায্য লইতে হইবে । ঠাণ্ডা পড়িতে আরম্ভ করিয়াছে দেখিয়া পঞ্চানন গায়ে র্যাপার জড়াইয়া উঠিয়া দাড়াইল। বোর্ডিঙের দোতলাটা এখান হইতে দেখা যায়, সেদিকে একবার ভাল করিয়া তাকাইয়া দেখিল । কিন্তু মানুষ চেনা ত যায় না ? পঞ্চানন আস্তে আস্তে বাড়ী ফিরিয়া আসিল । রাত্রেও খানিকক্ষণ ভাবিয়া অবশেষে কাগজ কলম লইয়া বাড়ীতে চিঠি লিখিতে বসিল । চিঠিখানা লেখা হইল বৌদিদিকে । সে যেন সময়মত মল্লিক-গৃহিণীকে একটু জানাইয়া দেয় যে খুব বেশী, আধুনিক ও শিক্ষিতা মেয়ে পঞ্চাননের পছন্দ নয়। এমনিতে মৃণালকে যে তাহার মনে ধরিয়াছে তাহার ইঙ্গিত করিতে আপত্তি নাই । ( ১৬ ) শীতের খটখটে রোদ, এমন সময় ঘরে ঢুকিতে বড় ইচ্ছা হয় না। রোদে পিঠ পাতিয়া বসিয়া থাকিতে বড় আরাম। কিন্তু মল্পিক-গৃহিণী কাজের মানুষ, আরাম করিবার সময় তাহার বড় কম। বাড়ীর সব কাজ এক হাতে করিতে হয়। রাধী আগে শুধু বাসন মাজিত, এখন ছেলেমেয়ে সামলানোর কাজও তাহাকে কিছু কিছু করিতে श्ब्र, नां श्हेरल खे*ांब्र माहे । cथांक श्रनखद मभि*िh