পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পোক্কো পাহাড় এমন বাঙালী কোবে শহরে মাত্র এক জনকেই দেখা গেল। ছাত্র ধরণের আরও দু-এক জন বোধ হয় আছেন শুনেছি, কিন্তু তাদের আমি দেখি নি । দাস মহাশয় এখানকার বহুকালের বাসিন্দী, ২০২২ বৎসর জাপানেই আছেন । " তার কথা আগেই জানতাম । টেলিফোনে আমাদের খবর পেয়ে তিনিও অল্পক্ষণের মধ্যেই এসে পড়লেন। তার সাহায্য না পেলে জাপানে কিছু দেখাশুনা করা আমাদের শক্ত হত, কারণ আমরা ভাষাও জানি না, পথঘাটও জানি না। অবশ্য, পথঘাটের চেয়ে ভাষাটাই বেশী প্রয়োজনীয়, কারণ ভাষা না জানলে খাদ্য, পানীয়, পথঘাট কোন কিছুরই খোজ করা যায় না। খাওয়া দাওয়ার পর হোটেলের বরফের মত ঠাণ্ডা শয়নকক্ষে গিয়ে থানিক বিশ্রাম ক’রে আমরা বেড়াতে বেরোব ঠিক হ’ল। কিন্তু একটা এতটুকু বৈদ্যুতিক ছিটারে ঘর মোটেই গরম হয় না দেখে শোবার চেষ্টা ছেড়েই দিলাম। যেখানে জানালা দিয়ে এক টুকরা রোয় এসে ঘরের ভিতর পড়েছে লেইখানে একটা চেয়ার টেনে পায়ের কাছে لإج سمسجلا و جز হিটারটা রেখে নুতন' দেশের পথঘাট বাড়ীঘর দেখতে লাগলাম। খুব কাছাকাছি সব ছোট ছোট বাড়ী, উপরে কালো টালি দিয়ে ঢাকা, দেয়াল কাঠের, বাঁশের কঞ্চির কিংবা গাছের বাকলের । ভিতরের দেয়ালগুলি কাগজ ছাড়া আর কিছু নয়। কোথাও সুচিত্রিত মোটা কাগজ চার পাশে সরু কালে ফ্রেম দিয়ে বাধানো, কোথাও বা ছয়-সাত ইঞ্চি দূরে দূরে চৌখুপির মত সরু সরু কাঠের খোপ কেটে ট্রেসিং পেপারের মত পাতলা কাগজ দিয়ে খোপগুলি ঢাকা। মাহুষ ইঢ়ি গেড়ে বসলে তার চোখ যতখানি উপরে আসে এই পাতলা কাগজের দেয়ালের ঠিক সেইখানে দুটি করে কাচ বসানো থাকে, বাহিরটা দেখবার জন্য। কোন কোন দেয়ালে ঐখানটার সবটাই কাচের হয়। জাপানীরা মেজের উপর হাটু গেড়েই বসে, কাজই কাচগুলির উচ্চতা এই মাপের । ঘরের ষেদিকে বেণী আক্র দরকার কিংবা কথাবার্তা শোনা যাওয়া বাঞ্ছনীয় নয়, সেই দিকেই মনে হল মোটা কাগজের দেয়ালগুলি থাকে, আর বাকী সব