পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88○প্রবাসী SN وهي التي سوي 畿 দিকে চৌখুপি কাটা সরু কাঠের ফ্রেমে পাতলা হোটেলের ঘর থেকে দেখলাম পথে জাপানী রিা কুগিজের দেয়াল। এই দেয়ালগুলির আরও একটি রঙীন কিমোনোর উপর সাদা এপ্রন পরে কাঠের জুতা বিশেফত্ব আছে যে এরা সবাই দরকার মত সরে যেতে পারে । এদেশে ঘরের অলিদি দরজ প্রায় নেই। সব দেয়ালই দরজা মনে হয়, যখন যেটাকে প্রয়োজন পাশের দিকে ঠেলে আর এক দেয়ালের গায়ে রেখে দেওয়া যায়। দরজা সামনে পিছনে খোলে না ব’লে দরজা খোলার জন্য এদেশে বাড়ীর খানিকটা ক’রে স্থান অপব্যয় বেঁচে যায়। ঘরের দরজা দেয়াল, আলমারির দরজা, সবই পাশের দিকে সরে আর একটা দেয়ালের অথবা দরজার গায়ে মিলিয়ে যায়। ঘরের মেজেগুলি । থাটের গদির মত পুরু পুরু যাদুরের গদি দিয়ে ঢাকা। : মাছুরের গদি বসাবার জন্ত ঘুরের মেঝেতে সেই মাপের গৰ্ত্ত করা থাকে, বছরে একবার গদিগুলি তুলে গৰ্ত্তটা পরিষ্কার করা হয় শুনলাম। এদেশে ঘরের মাপ'বলার নিয়ম কয় হাত বা কয় গজ লম্ব চওড়া বলে নয়, কয় মাছুরের ঘর তাই উল্লেখ করে । চার মাছুরের ঘর, ছয় মাছুরের ঘর—এই সব সাধারণ ঘরের মাপ। এক-একটা মাদুর লম্বায় সাত-আট ফুট ও চওড়ায় দু-আড়াই ফুট । সুতরাং এ-দেশে ঘর অধিকাংশই এক-শত স্কোয়ার-ফুটের চেয়ে ছোট হয়। বাহিরে তাকিয়ে দেখলাম সব বাড়ীই এই রকম দাহ পদার্থে তৈরি নয়। অনেক প্রকাও প্রকাও বাড়ী পথে দেখেছি, এখনও দেখলাম, তারা কেউ আট-তলা, কেউ দশ-তল—সব আগাগোড়া কংক্রিটে তৈরি । ছোট পাক বাড়ীও আছে। এই সব বাড়ী আজকাল খুব তৈরি হচ্ছে। তের বংসর আগে ভীষণ ভূমিকম্পের সময় জাপানে যে প্রলয় অগ্নিকাণ্ড হয়েছিল, তার পর থেকে এ-দেশের অনেক শহরেই নিয়ম হয়েছে যে কাঠের বাড়ী ভেঙেচুরে গেলে তার জায়গায় সব পাকা বাড়ী করতে হবে । আগুনের হাত থেকে নিস্কৃতি অনেকটা পাওয়া যাবে বটে, কিন্তু এতে জাপানের আসল চেহারাই বদলে যাবে। জাপান দেখতে দেখতে আমেরিকা হয়ে উঠবে। ইতিমধ্যেই জাপানের ওসাকা শহর দেখে অনেক আমেরিকা-ফেরৎ লোক বলেন, এ একেবারে আমেরিকান শহর হয়ে গিয়েছে। পায়ে দিয়ে খট্‌খটু ক’রে বেড়াচ্ছে। একটি পাশী মহিলা লাল শাড়ী প’রে বাগান-ঘেরা ছোট একটি বাড়ীতে ঢুক্ছেন, নাকছবি-পরা একটি সিন্ধী মেয়ে ফ্রক প’রে একলাই কোথায় যেন চলেছে, দেখে নিজেকে একেবারে নিঃসঙ্গ মনে হ’ল না। পথে মানুষ বেশী নেই, কোলাহল একেবারেই নেই। কোবের থেকে তিন-হাজার ফুট উপরে রোকোসান নামক একটা পাহাড় এখানকার দ্রষ্টব্যের মধ্যে । গরম কালে এখানে লোকের ভীড় হয় দারুণ। আমরা শীতের দিনে এসেছি, কাজেই শীতেই পাহাড় দেখতে যাব ঠিক হ’ল। পথে দু-বার বা বদলে যেতে হবে । আগে এখানে মোটরে ক’রে যেতে হ’ত, যেতে লাগত সাড়ে-তিন ঘণ্টা সময় । কিন্তু জাপানীরা সৌন্দৰ্য্যপ্রিয় এবং সেখীন জাত, কাজেই তাদের দেশের যত beauty spot ( সুন্দর জাগ ) আছে সবগুলিকে তারা যথাসাধ্য সুগম্য ও, মুরক্ষিত ক’রে তুল্ছে। এখন এই দীর্ঘ পথ শূন্যে ঞ্চোলান বৈদ্যুতিক খাচায় ক’রে এগার-মিনিটে পৌছে যাওয়া যায় । পথে বেরিয়ে আমরা বস্ত ধরণাম । প্রাচীন চিত্রের চুড়া থোপা ও রঙীন পাখা ফেলে জাপানী মেয়েরা যে কৰ্ম্মক্ষেত্রে নেমেছে তা বাইরে প। দিয়েই বোঝা গেল । যাত্রীদের মধ্যে অৰ্দ্ধেক মেয়ে এবং বসের কনডাক্টার বিলাতী ইউনিফরম্পর কাধে ব্যাগ হাস্তমুখী একটি জাপানী মেয়ে । যত বার গাড়ী থামছে সে তড়াক ক’রে নেমে দাড়াচ্ছে, সব যাত্রীর ওঠা-নামা, সকলের টিকিট নেওয়া দেওয়া হ’য়ে গেলে তবে সে উঠে গাড়ী ছাড়তে দিচ্ছে । বিদেশী কি অথৰ্ব্ব মানুষ দেখলে ওই ছোট্ট মানুষটি আবার তাকে ধরে তুলছে। বদ্‌ চলুতে চলুতে কাউকে উঠতে কি নামতে দেখলাম না। এই বস্ রদলে আর একটায় চড়ে দেখলাম সেখানেও একটি মেয়েই এই কাজে রয়েছে , ঝোলান গাড়ীর টিকিট কিনলাম, তাও মেয়েদের কাছে । • ক্রমে বুঝলাম এ-সব কাজ মেয়েদেরই একচেটিয়া । পুরুষেরা গাড়ী চালিয়েই খালাস, যাত্রীদের