পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়! পাহাড় সুবিধা-অসুবিধা, টিকিট কাটা পয়সাকড়ির হিসাব সব মেয়েদের হাতে । ‘বসে’ এ-দেশে দারুণ ভীড়। যদি এক দলের মাহুষ পাশাপাশি না-বসে, তবে নামবার সময় পরস্পরকে খুঁজে এবং টেনে বার করাও শক্ত। গায়ে গায়ে মানুষ ত বসে থাকেই, তার পর দাড়িয়ে হাতল ধরে ঝোলে দু-সারি। ভাগ্যিস দারুন শীত, না হ’লে ভারী ভারী ওভারকোট প’রে অতগুলো মানুষ একটা বন্ধ গাড়ীতে হয়ত সর্দিগন্মি হ’য়ে মরে যেত। আমরা নূতন মানুষ ব’লে কিনা জানি মা, নামবার সময় সৰ্ব্বদাই বিসে’র মেয়েটি আমরা সবাই নমেছি কি না দেখে তবে গাড়ী ছাড়তে দিত। তদুপরি ‘বস’ থেকে নামবার সময় তাদের দেশীয় প্রথায় সৌজন্য জানাতে কখনও ভুলত না । এ-দেশে এই একটা কারণে সৰ্ব্বদা সশঙ্কিত থাকতে হয়। উঠতে বসতে সাম্নে পিছনে ট্রামে বসে, ট্যাক্সিতে ট্রেনে, দোকানে বাজারে সৰ্ব্বত্রই লোকে নমস্কার ও ধন্যবাদ জানাচ্ছে । আমাদের খত অভ্যাস নেই ব’লে অনেক সময় ফিরে তাকাতে ভুলে ধেতাম । শূন্যে দোলানো ট্রেন তারের উপর ঝুলতে ঝুলতে ছুটল । নীচে পড়ে রইল পাহাড়-পৰ্ব্বত, ছোট ছোট ঝরণা, পায়ে-ক্টাট পাকদণ্ডীর মত পথ, চওড়া মোটরের রাস্তা, দাঞ্জিলিঙের মত গভীর খাদ ও পাইন বন, আর মাঝে মাঝে পাহাড়ের গায়ে ছোট ছোট কাঠের বাড়ী ও সমাধিক্ষেত্রে পাথরের স্মৃতিস্তম্ভ। অনেক গাছ পত্রহীন কঙ্কালসার, কিন্তু পাইন ও ফার-জাতীয় বড় বড় গাছে কাট কাটা সবুজ পাতায় ভৰ্ত্তি । মোটের উপর তাই পাহাড়গুলো অনেকটা সবুজ দেখায়। সমাধিক্ষেত্রের স্মৃতিস্তম্ভগুলিতে পাথরের তোরণ, পাথরের আলো, পাথরের ঘট—এই জাতীয় জিনিষ খুব ভারী ক’রে কেটে বসানোই বেশী চোখে পড়ে । শীতের দিন ব’লে খাচাগাড়ীতে বেণী ভীড় ছিল না । বেড়াতে যাবার লোক কম, স্কুলের ছেলে আর কাজের লোকরাই খালি যাওয়া-আসা করছে। মাঝে মাঝে খাচী এসে শূন্যে বাড়ানো প্লাটফৰ্ম্মে থামছিল, লোক ওঠা-নামূার পর দরজা একেবারে বন্ধ হয়ে গেলে তবে চলছিল। রোক্কো ੋੜ মাথায় সবাই নেমে