পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b-03 t ‘जीवन-cब्रभू शक्ल चांद्र कि cशषी याघ्र ? किख्, ९३ “silkon tassel of my pursu"an ore and Mato; উপমাটি অনুবাদে ত্যাগ কর হইল কেন ?—shkon tasgol ত পাপড়ি নয়, রেণুর সঙ্গেও* পাপড়ির , সম্পর্ক নাই। কেবল দল পিয়ার ও গুলবাগিচা’র জোরেই ফিটুজি রপ্ত এই ফার্সী কবিকে আধুনিক যুরোপীয় কাব্য সাহিত্যে নব জন্ম ও অমরত দান করিতে পারেন নাই। কাস্তিবাবু বইখানির নামটিকেও ফাসী করিতে গিয়া (ফিউজিরাল্ড তাহ করেন নাই ) ফাসীয়ানাই করিয়াছেন— বানান ঠিক হয় নাই। কাস্তিবাবুর অনুবাদ ইংরেজীতে যাহাকে বলে pretty pretty- তাহাই হইয়াছে ; স্থানে স্থানে দুই-একটি শ্লোক বা এক অtধ পংক্তি যে চমক লাগায় ন! এমন নহে ; তথাপি আর একটু সাধনা ও সাহিত্যিক নিষ্ঠ থাকিলে কান্তিবাবুল হাতেই এগুলি যেমন হইতে পারিত তাহ হয় নাই, ইহাই বলতে গিয়া প্রসঙ্গ দীর্ঘ হইয়া পড়িল । দ্বিতীয় কাব্যথানির সম্বন্ধে অধিক কিছু বলবার নাই হাফিজের কবিতা সম্মুখে না থাকায় বলবার উপায়ও নাই। তথাপি পরিচয় স্বরূপ অমর ভাল লাগিয়াছে, এমন কয়েক পংক্তি উদ্ধত করিয়া কোনও রূপে কৰ্ত্তব্য শেষ করিলাম । শতেক নরক ভুগতে রাজি ধূম্ৰ অন্ধকারে, বিশ্বজগৎ চুর হয়ে যাক ভাগ্য-জ তার ভারে, অজিতে মোর পেশ করেছি অনিচ্ছটি পুর। — ভণ্ড সাথে চলতে না হয় মুরাই হ’তে ধর। (১৬) গালের পাশের তিলটি কালো আছেই না হয় আঁকা, তারির তরে গৰ্ব্ব এত—মুখ ফিরিয়ে থাক ? তিলটি তোমার শুনলে পরে করবে নাকি মাফ ?— অমারি এক গোপন দঠির একটি ক্ষুদ্র ছাপ | (২২) শ্ৰীমোহিতলাল মজুমদার হাস্য কৌতুক—প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ। শ্ৰীমুনীন্দ্রনাথ দেব দ্বিবেদী প্রণীত এবং কলিকাতা, ২০৪ কর্ণওয়ালিস স্ট্রট হইতে শ্ৰীগুরু লাইব্রেরী কর্তৃক প্রকাশিত। মূল্য যথাক্রমে পাচ আন ও ছয় অীনা ৷ বই দুখানিতে বর্ণমালা হইতে যুক্তাক্ষর বানান পৰ্য্যস্ত সমস্তই আছে । ছেলেদের প্রথমপাঠ্য পুস্তক যত সরস হয় ততই ভাল । চিত্র ও পদ্য দয়া গ্রন্থকার সেই সরসতা অনিবার চেষ্টা করিয়াছেন । প্রচ্ছদপটের ছবি দুইটি কৌতুকপ্রদ, ভিতরের গুলিও সুচিত্রিত। দ্বিতীয় ভাগে গল্পছলে কয়েকটি কৌতুক কবিতাও আছে । "করল', চলল, বানানকে জটিল করিয়া ক’ৰ্বল', 'চলল করিবার কোন কারণ নাই, বিশেষতঃ শিশুপাঠ্য পুস্তকে । বই দুখানির ছবি, ছাপা ও কৌতুক কবিতা ছেলেদের মনোরঞ্জন করিতে পরিবে, আশা করা যায় । শ্রীশৈলেন্দ্রকৃষ্ণ লাহ। বিদ্যালয়ে প্রাথমিক ধমশ্বিক্ষা–ক্ৰমং স্বামী সমাধিপ্রকাশ আরণ্য। প্রকাশক—শ্ৰীমৎ মণীন্দ্র ব্রহ্মচারী, বহরপুর, জিলা ফরিদপুর'। মূল্য দশ আনা । কাপড়ে বাধাই, চৌদ্দ আন । ধর্মশিক্ষার অভাবে মানুষ যে অমানুষ হয়, এবং পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবে আমাদের বিদ্যালয়ে যে ধ্রুমশিক্ষার ব্যবস্থা নাই, তাহা প্রবাসী SNー83 প্রতিপন্ন করিয়া শাস্ত্রজ্ঞ লেখক ক্রটিসংশোধনের উপায় সম্বন্ধে উপদেশ করিতেছেন। লেখক ছাত্রসমাজের দুৰ্দশাবষয়ে চেতন, এবং দুর্দশ! দূরীকরণে সচেষ্ট। পুস্তকপাঠে তাহার শাস্ত্রজ্ঞ তী, মমঞ্জত এবং প্রোণবত্তার পরিচয় পাওয়া যায় । প্রাথমিক ধমশিক্ষার অভিনক ব্যবস্থা করিয়! গবর্ণমেণ্টও তাহার মতের পোষকতা করিয়াছেন । লেখকের রচনাশৈলী গম্ভীর, তাহার অন্যান্য গ্রন্থের আশুপ্রকাশন বাঞ্ছনীয়। উপদেশ ভাল, সে-সম্বন্ধে সন্দেহ নাই ; কিন্তু বিদ্যালয়ে ধর্মশিক্ষার বিরুদ্ধে যে আপত্তি আছে, ধমশিক্ষায় উৎসাহী মহাজনের। তাহা বিশেষভাবে বিবেচনা করিলে ভাল হয় । প্রথমতঃ, লেখক মহাশয় যেমন বলিয়াছেন, "আপনি আচরি ধম” সভারে শিখান’। তিনি ইহা বিলক্ষণ জানেন যে যাহারা নিজের ধৰ্মজীবন যাপন করেন না উহাদের উপর ধর্মশিক্ষার ভার দিলে সকলই ব্যর্থ হুইবে ; অষ্ঠ শিক্ষায়ু যেমন তেমন, ধর্মশিক্ষক শুদ্ধ সংযত মমাজ্ঞ না হইলে শিক্ষা যে নিতান্ত প্রহসন হইয়া দাড়াইবে, সে কথা কি আমাদের শিক্ষাসংঙ্গারকেরা ভাবিয়া দেখেন নাই ? রবিবাসরীয় নীতিবিদ্যালয়গুলির কয়টি আজ বর্তমান, কয়টি বা পূর্ণতেজে বর্তমান । তত্ত্ববিদ্যামন্দির শুধু তত্ত্বজ্ঞানী বা তত্ত্বজিজ্ঞাস্বদের সাহায্যেই গঠিত ও পরিচালিত হইতে পারে। তবে বক্তৃতা নয়, কার্যতঃ চাই। দ্বিতীয়তঃ, কঠোরভাবে ব্ৰহ্মচৰ্যসাধনার কথা বিদ্যালয়ের মধ্যে বলিয়া, বিদ্যালয়ের সীমানার বাহিরেই যদি ইন্দ্রিয়বিলাসের প্রচুর উপকরণ রাখিয়া দিই তবে তাহাতে প্রকৃত ধর্মশিক্ষার কতটুকু অমুকূলতা করিবে? আমাদের শিক্ষালয়ের পরিকল্পনা শুধু নয়, তাহীর সংস্থিতি এবং সঙ্গে সঙ্গে পারিপাখিকের প্রকৃতিও যে , বদলাইতে হই,ব, ন হইলে গোড়া কাটিয়। আগায় জল দি৩েছি বই ত নয় ! তৃতীয়তঃ, প্রাথমিক ধমশিক্ষার ভার শুধু বিদ্যালয়ের উপর দিলে চলবে কেন ? পরিবারেরও ত একটা কতব্য আছে, পিতামতা পাড়াপ্রতিবেশী এ সকলের প্রভাৱ আছে, সে প্রভাব যদি বিদ্যমাণ না থাকে তাহা হইলে বিদ্যালয়ের ধর্মশিক্ষা তেমন কাজ করিতে পারে না । চতুর্থত, ব্রহ্মচর্যকে ইন্দ্রিয়গত ব্যাপারে আবদ্ধ না রাখিয় তাহার অস্তুতি পরম বিষয়ে পরামুরক্তির উপর জোর না দিলে দেখা যায়, উহা ধোপে টেকে না। লেখক মহাশয় যেমন খোলাখুলি ভাবে বলিয়াছেন, তেমনই ভাবে বিষয়ের আলোচনা চাই, ইন্দ্রিয়গত জীবনের পরিবজনে নহে, উহার সংযমেই ভোগের পরিপুতি— একথা স্পষ্ট করিয়া বুঝিবার ও বুঝাইবার দিন আসিয়াছে। পঞ্চমতঃ, ‘বিদ্যালয়ে প্রাথমিক ধমশিক্ষা’কে কেহ যেন 'প্রথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মশিক্ষা বলিয়া ভুল না করেন। অনেকে করেন দেখিতেছি বলিয়াই একথা লিখিলাম । * , আজকাল ধমশিক্ষার ধুয়া খুবই শুনিতে পাই, কিন্তু শি দুপ্রাপ্য। শিক্ষাপুস্তক লিখিলে চলবে না, গীতা বাইবেল ধৰ্ম্মপদ পড়াইলে ছাত্রদের উপর অযথা অত্যাচারই হইবে, অবস্থাপঠ্য’ বা অবগুশক্ষণীয় বলি নিৰ্দেশ করলেও ফল হইবে না, ম’ভাল জিনিষ, কিন্তু তাহার শিক্ষা অত সহজ নয় যত আমাদের সংস্কারকের। মনে করেন ; তাই এত কথা বলিতে হইল। & ঐপ্রিয়রঞ্জন সেন