পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

た5エ -g হিলদ্বর মাথা তুলিল। তাহার মনের ভাব বোঝা কঠিন। কিন্তু, সেই মুহূর্তে সে বুঝিয়াছে, তাহার রূপ, যৌবন, ধনসম্পত্তি গুডমুণ্ডের নিকট অতি তুচ্ছ। তাহার বাহিরের ব্যবহারের কঠিন আবরণের মধ্যে মহৎ কিছু আছে ইহা গুডমুণ্ডকে না দেখাইয়া আজ সে যাইবে না স্থির করিয়াছে । , * “তুমি যদি বল তবে আমার জানিতে ইচ্ছা করে, গুডমুণ্ড, তুমি কি সত্যই চোরাবালির তরুণীকে ভালবাস ?” গুডমুণ্ড অনেক ক্ষণ চুপ করিয়া রহিল, হিলছর বলিয়৷ চলিল—“তুমি যদি হেলগাকে ভালবাসিয়া থাক, তবে এ-কথাও আমি জানি, সেও তোমাকে ভালবাসে । সেই আমার কৰ্ত্তব্য সম্বন্ধে বলিতে আসিয়াছিল যেন আমাদের সম্বন্ধ পুনঃস্থাপিত হয়। সে জানিত যে তুমি নির্দোষ কিন্তু সে তোমাকে ইহা বলে নাই ; আমাকেই প্রথম বলিয়াছে।” গুডমুণ্ড নিম্পলক দৃষ্টিতে হিল জ্বরের দিকে তাকাইয়া বুহিল । “তুমি কি মনে কর, ইহা আমার প্রতি ভালবাসার .লক্ষণ ?” re “সে-সম্বন্ধে তুমি নিশ্চিন্ত থাকিতে পার গুডমুণ্ড । সে-কথা আমি প্রমাণ করিতে পারি। এই সংসারে তাহার মত কেহই তোমাকে ভালবাসিতে পারিবে না।” গুডমুণ্ড ঘরের মধ্যে পদচারণা করিতে করিতে হঠাৎ হিল ঘরের সম্মুখে আসিয়া থামিয়া বলিল—“কিন্তু তুমি, —তুমি সে-কথা আমার নিকট বলিতেছ কেন ?” “আমিও মহত্ত্বে হেলগা হইতে হীন হইয়া থাকিতে फांद्धे न! * “হিলন্ধর, হিলছর, তুমি জান না—কি ভাবে এই মুহূর্ভে তুমি আমার মনকে জয় করিয়াছ। তুমি বুঝিতেছ না, তুমি আমাকে কত সুখী করিয়াছ।” গা পথের ধারে অপেক্ষা করিয়া বসিয়াছিল । দিকে চাহিয়া গালে হাত দিয়া সে বসিয়া আছে। তাহার চোখের fমনে—সে যেন গুডমুণ্ড ও হিলছরকে দেখিতেছে। মিলন-স্বখের কথা সে কল্পনা করিতে ছিল। জাঁজ-স্ত্রই মুহূর্তে তাহাজের মত সুখী কে আছে ? এমন সময় সে দেখিল, নেরবুদার এক জন তৃত্য এই দিকে আসিতেছে। হেলগাকে দেখিয়া লে থামিল“গুডমুণ্ড সম্বন্ধে কি খবর আসিয়াছে, তাহা তুমি { क्त निम्नोछ ।" তরাইয়ের তরুণী b^Nరి —“#s, তাহা শুনিয়াছি s” . —“মুখের সংবাদ । আসল হত্যাকারীকে জেলে পোৱা হইয়াছে।” হেলগা বলিল—“আমি জানিতাম যে, গুডমুণ্ড কখনও হত্যাকারী হইতে পারে না।” তার পর লোকটি নিজের পথে চলিয়া গেল, হেলগা পূর্বের ন্যায় পথের পাশেই বসিয়া রহিল। “এখন তাহা হইলে তাহারা সবই জানে। আমার আর নেরলুদায় গিয়া দেখা করার প্রয়োজন নাই।” নিজেকে তাহার আজ একান্ত পরিত্যক্ত বলিয়া বোধ হইতেছিল। সারাদিন সে বিচিত্র অভিজ্ঞতার মধ্যে যাপন করিয়াছে। এতক্ষণ সে নিজের কথা ভাবিবার অবসর পায় নাই, শুধু কামনা করিয়াtছ যেন গুডমুওহিলদ্বরের বিবাহ সম্পূর্ণ হয়। কিন্তু এখন তাহার মনে হইতে লাগিল, এই সংসারে সে সম্পূর্ণ একা। প্রিয় ব্যক্তির জন্ত কিছু ন-করিতে পারা পরম দুঃখের বিষয়। কিন্তু এখন ত তাহাকে জ্ঞার গুডমুণ্ডের প্রয়োজন নাই ! তাহার শিশুকেও তাহার মা আপনার করিয়া লইয়াছেন, তিনি তাহাকে শিশুর বিন্দুমাত্র যত্ন লইতেও দেন না। তাহার মনে হইল এইবার উঠিয়া ঘরের দিকে যাওয়া উচিত। কিন্তু উচু পথ বাহিয়া যাওয়া তাহার পক্ষে কষ্টকর মনে হইতেছিল। কি করিয়া যে বাড়ী পৌঁছান যায়, তাহার দেহে যেন সামান্ত শক্তিও নাই । হঠাৎ দেখা গেল ষে নেরলুদ হইতে গাড়ী আসিতেছে। হিলদ্বর ও গুডমুণ্ড পাশাপাশি গাড়ীতে বসিয়া আছে— নিশ্চয়ই এখন তাহারা এলবোত্রায় বলিতে যাইতেছে যে তাহাদের মধ্যে শাস্তি স্থাপিত হইয়াছে এবং আগামী কল্য তাহাদের বিবাহ হইবে । হেলগাকে দেখিয়াই তাহারা গাড়ী থামাইল। গুণ্ডমূও ঘোড়ার লাগাম হিলছরের হাতে দিল এবং নিজে লাফ দিয়া গাড়ী হইতে নামিয়া গেল। হিলছর মুথে নত করিয়া হেলগাকে নমস্কার করিয়া গাড়ী হাকাইল । গুডমুণ্ড হেলগার নিকট রহিয়া গেল। সে বলিল— “হেলগা, তুমি যে এখানে, এজন্য আমি বড়ই মুখী। আমার ধারণা ছিল, তোমার সঙ্গে দেখা করিবার জন্তু হয়ত বা আমাকে চোরাবালিতে যাইতে হইবে।” গুডমুণ্ড জোরের সঙ্গে তাড়াতাড়ি কথাগুলি বলিয়াই শক্ত করিয়া হেলগার হাত ধরিল। হেলগা তাহার চোখের মধ্যে স্পষ্টই দেখিতে,পাইল, সে তাহার সম্বন্ধে সমস্তই জানে, এখন ধার তাহার পালাইবার পথ নাই। সমাপ্ত