পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বহির্জগৎ ঐগোপাল হালদার 2 হরিপুরায় এবার কংগ্রেস একটি নূতন প্রস্তাব গ্রহণ করিয়াছে—তাহাতে ভাবী যুদ্ধ ও এই দেশের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ে কংগ্রেস নিজের মতামতের আভাস দিয়াছে। গত দুই-তিন বৎসর যাবৎ ভারতীয় জাতীয় মহাসভার চিস্তাধারায় এই পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাইতেছিল—তাহার দৃষ্টি ভারতের সীমারেখার মধ্যে আর সর্বাংশে আবদ্ধ নাই । এবার জাপানের চীন-অভিযানে ভারতীয় কংগ্রেস চীনাদের সঙ্গে সহানুভূতি প্রকাশ করিয়াছে, আর জানাইয়াছে ভাৰী যুদ্ধে ভারতীয় জাতীয়তাপন্থীরা কোন পথ অবলম্বন করিবে । সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থ-প্রসারে ভারতবাসী কোনরূপ সহায়তা করিবে না,--মোটের উপর ইহাই তাহার বক্তব্য । কংগ্রেসের দৃষ্টি পূৰ্ব্বে এইরূপে আপনার ভৌগোলিক গণ্ডী পার হইতে চাহিত না । কিন্তু দেশের কথা ভাবিতে হইলেই আজ বিদেশের কথাও ভাবিতে হয়—বৰ্ত্তমান কংগ্রেসের এই নীতিবিশ্লেষণে সেই সত্যটিই মুম্পষ্ট বুঝা যায়। এত দিন পরে কংগ্রেস যে নিজের পররাষ্ট্রনীতি স্থির করিবার প্রয়োজন বোধ করিল ইহার কারণ কি ? এই প্রশ্ন এখানে উঠিতে পারে। সংক্ষেপে ইহার উত্তর ঃ ভারতীয় কংগ্রেসের ক্ষেত্রে সমাজতন্ত্রী চিন্তার আত্মপ্রকাশে স্বভাবতই ভারতবাসী শোষিত জাতিদের ভাগ্যের সহিত আপনার ভাগ্যের মুখ্য বা গৌণ সম্পর্ক এখন দেখিতে পাইতেছে । তাই ভারতের স্বাধীনতা-সমস্যাকে সে এক বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সমস্যার পটভূমিকায় দেখিতে শিখিতেছে। তাহা ছাড়; যে-জাতি, সত্যসত্যই পূর্ণস্বাধীনতা আকাঙ্ক্ষা করে তাহার পক্ষে স্বাধীনতা লাভের সহায়ক হিসাবে এবং স্বাধীনতা, আয়ত্ত হইলে তাহা সংরক্ষণের উপায় হিসাবে আপন ভৌগোলিক ও রাষ্ট্রীয় পরিবেশকে সৰ্ব্বক্ষণই তীক্ষদৃষ্টিতে পূৰ্য্যবেক্ষণ করিতে হয়। যেদিন হইতে ভারতবর্ষ পূর্ণ স্বাধীনতায় আস্থা প্রকাশ করিয়াছে সেদিন হইতেই তাহার পররাষ্ট্রনীতি স্থির করিবার প্রয়োজনও উদ্ভূত হইয়াছে। কংগ্রেসের পররাষ্ট্রনীতি কি হইবে তাহ লইয়া মতবিরোধ থাকিতে পারে, কিন্তু বহির্জগৎকে আজ ভারতবর্ষের বুঝিতেই হইবে। কংগ্রেসের দৃষ্টি আন্তর্জাতিক মহাসমস্তার দিকে যে আজ নিপতিত হইয়াছে, ইহা কংগ্রেসের নিজ দায়িত্ববোধের ও ব্যাপকতর দৃষ্টির পরিচায়ক। স্বাধীনতার সঙ্কল্পকে বাস্তব রূপ দিবার জন্ত কংগ্রেসের চিন্ত সচেতন হইয়া উঠিয়াছে, ইহা হইতে ঐক্লপ আশা করা ভুল হইবে কি ? ર 'জগতের অনেকটা জুড়িয়া ব্রিটিশ সাম্রাজ্য, সেই সাম্রাজ্যের কেন্দ্র গ্রেট ব্রিটেন । তাই বহির্জগতের কথা অনেক সময়েই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের কথা, ব্রিটেনের পররাষ্ট্রনীতির কথা। আজ কিন্তু ব্রিটেনের সে গৌরব নাই । তথাপি ভারতবর্ষের পক্ষে এই পররাষ্ট্রনীতিই বিশেষ করিয়া দেখিবার ও বুঝিবার মত। এ-দেশের সরকারী বৈদেশিক নীতি সৰ্ব্বাংশে সেই বিলাতী নীতির ছায়—আর বে-সরকারী পররাষ্ট্র-চিস্তা সেই প্রভাবে বা প্রতিক্রিয়ার দ্বারা গঠিত ও নির্ধারিত। তাই ব্রিটেনের পররাষ্ট্রনীতিই আমাদের বহির্জগৎ পৰ্য্যবেক্ষণের একটি প্রধান দর্শনীয় । t সম্প্রতি ব্রিটিশ বৈদেশিক নীতিতে একটি ছোটখাট बज़ खेळैग्नाइ-भरन इग्न उशत्र श्रीडाख्द्रौ५ अणडेड তাহাতে কতকটা দূর হইল। গত ২১শে ফেব্রুয়ারী মি এ্যান্টনি ইডেন মন্ত্রিমণ্ডলের পর ইতির সহিত একমত হইতে না-পারিয়া ব্রিটিশ পররাষ্ট্র-সচিবের প্ত ত্যাগ করিয়াছেন–র্তাহার স্থলে নিযুক্ত হইলেন লর্ড হলিফ্যাক্স অর্থাৎ ভারতের ভূতপূৰ্ব্ব বড়লাট লর্ড আরইন। ইডেনের সহিত মন্ত্রিমণ্ডলের, বিশেষত প্রধান