b-tూR শিক্ষিত মাত্ৰ স্বাধীনতায় বঙ্কিত থাকিতে ক্ষীদের কোন কাজই লোকে মুনজরে দেখিতে পারিবে না। অন্তরিত ও রাজনৈতিক বন্দীদিগকে মন্ত্রীদের নিজেদের স্বার্থেই ও নিজেদের শাস্তির জন্য কেন খালাস দেওয়া উচিত, তাহা বলিলাম। সৰ্ব্বসাধারণের পক্ষ হইতে কিছু গত সংখ্যায় বলিয়াছিলাম। এখন আর দু-একটা কথা বলিয়া শেষ করি। দেশের কল্যাণকর কাজে মন দিতে হইলে উত্তেজনা হইতে নিস্কৃতি পাওয়া আবশ্বক, শাস্তি আবশ্বক। ইহা ঠিক বটে যে, অন্য বহু দেশের মত বাংলা দেশের দুঃখ বহুবিধ অভাব অনেক, অনিষ্টকর নানা প্রথা, ट्रैौठिमैौडि এখানে বিদ্যমান, ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা প্রভৃতি লাগিয়াই আছে । সুতরাং আদর্শ অবস্থায় উপনীত হইতে হইলে আমাদিগকে ক্রমাগত আন্দোলন চালাইতে হইবে । কিন্তু অনেক আন্দোলন আছে যাহাতে উত্তেজনার উদ্রেক হয় না। রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির নিমিত্ত যে আন্দোলন হইতেছে তাহা উত্তেজনাবিহীন আন্দোলন নহে। ইহার অবসান আবশ্বক। বাংলা দেশে এই সম্পর্কে স্বেরূপ আন্দোলন হইতেছে, অন্য কোন প্রদেশে সেরূপ আন্দোলন না-হওয়ায় অন্ত কোন কোন প্রদেশ তাহাদের শক্তি ও সময় নিজ নিজ উন্নতির জন্য নিয়োগ করিতে পারিতেছে । o গত ত্রিশ বৎসরেরও অধিক কাল বাংলা দেশে উত্তেজনাপূর্ণ কোন-না-কোন আন্দোলন লাগিয়াই আছে। তাহার ফলে বাংলা দেশ যে-শক্তি ও সময় “গঠনমূলক” কল্যাণকর কার্য্যে নিয়োগ করিতে পারিত, তাহা করিতে পারে নাই ; অন্য অনেক প্রদেশ পারিয়াছে এবং তাহার ফলে অগ্রসর হইয়াছে, এবং বাংলা দেশ পশ্চাতে পড়িয়া থাকিতেছে। এই জন্ত সৰ্ব্বসাধারণের কল্যাণার্থ উত্তেজনাপূর্ণ আন্দোলনের অবসান আবশ্বক। * কিন্তু ষে অবাঞ্ছনীয় অবস্থার প্রতিকারের জন্য এই আন্দোলন ইতেছে, সেই অবস্থা বিদ্যমান থাকিতে আন্দোলন থামিতে পারে নু এবং আন্দোলন থামান উচিত হইবে না, বরং তাহা উত্তরোত্তর প্রবলতর ভাবে চালাইতে হইবে। - to .প্রবাসী e বাংলা দেশে বর্তমান সময়ে যে উত্তেজনাপূর্ণ আন্দোলন চলিতেছে এবং গত ত্রিশ বৎসরেরও অধিক কাল যে-সব উত্তেজনাপূর্ণ আন্দোলন চলিয়াছিল, তাহার অনভিপ্রেত অন্যতম কৃফল এই হইয়াছিল ও হইতেছে ষে, বাঙালু হাজার হাজার ছাত্র যুবজনোচিত উৎসাহে তাহাতে যোগ দিয়াছিল ও দিতেছে, এবং তাহাতে তাহাদের পঠদ্দশার যে প্রধান কাজ শাস্ত ও ধীর ভাবে জ্ঞান অর্জন ও চরিত্রগঠন তাহাতে বাধা পড়িয়াছিল ও পড়িতেছে । উত্তেজনাবশে অনেকে বিপথগামীও হইয়াছিল । অন্য অনেক প্রদেশে এইরূপ উত্তেজনাপূর্ণ আন্দোলন বঙ্গের মত প্রবল আকারে ও দীর্ঘ কাল ধরিয়া তথাকার ছাত্রেরা জ্ঞান অর্জন ও চরিত্রগঠনে অধিক শক্তি ও সময় দিতে পারিয়াছে। অতএব বঙ্গের অবস্থাবৈগুণ্য দূরীভূত হওয়া একান্ত আবশ্বক। , ব্রহ্মদেশে বিদ্রোহী কয়েদীর মুক্তি ব্ৰহ্মদেশে দীর্ঘকাল ধরিয়া সশস্ত্র বিদ্রোহ চলিয়াছিল ; তাহাতে বিদ্রোহীদের সৈনিকই বেশী হতাহত হইয়াছিল বটে, কিন্তু ব্রিটিশ গবষ্মেন্টের সৈনিকদের মধ্যেও হতাহত অনেক হইয়াছিল । বিদ্রোহান্তে অনেক ব্রহ্মদেশীয় বিদ্রোহী কারারুদ্ধ হইয়াছিল । সম্প্রতি তাহাদের সকলকে খালাস দিতে তথাকার মন্ত্রিমণ্ডল সঙ্কল্প করেন। সম্ভবতঃ এত দিনে সবাই খালাস পাইয়াছে। বাঙালী অস্তরিত ও রাজনৈতিক বন্দীরা কি ব্ৰহ্মদেশীয় ঐ মানুষগুলির চেয়েও ভীষণ ? আগ্ৰা-অযোধ্যা ও বিহারে রাজনৈতিক বন্দী খালাৰু প্রবাসীর এই সংখ্যা বাহির হইবার আগ্রা অযোধ্যা ও বিহারের সমুদয় রাজনৈতিক বীর-মুক্তি হইয়া^ষাইবে । “তাহাদের মধ্যে এমনু লোকও ছিল বিচারাস্তে যাহাদের ষাবজ্জীবন নিৰ্ব্বাসনদও পৰ্য্যস্ত হইয়াছিল। t f N, বঙ্গের ਬੋਜਿੱਥੇ রাজনৈতিক বন্দীর কি আগ্রা
