পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র_ৰিবিধ প্রসঙ্গ—বঙ্গের রাজনৈতিক বন্দীদের মুর্কি কেন আৰখ্যক যাহা করিয়াছেন ও করিতে जानििडइक्र एठांश्चाद्रि खन!। আমরা কৃতজ্ঞ। কিন্তু কংগ্রেস ত তাহাকে পাঠান নাই, তিনি নিজে আসিতেছেন। কংগ্রেসী মন্ত্রীরা নিজের নিজের প্রদেশের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করিতেছেন, বঙ্গের জন্য কিছু করেন নাই, করিবার ༣༽་སོ། ། ། ། ། ། নাই। এই জন্যই ত বলি, ভারতীয় মহাজাতির যে একতা ও একপ্রাণত বাড়িতেছিল, ভারতশাসন-আইন বহু পরিমাণে তাহা নষ্ট করিয়াছে । কংগ্রেসী মন্ত্রীরা নিজ নিজ প্রদেশে যাহা করিয়াছেন, তাহা আইনপ্রদত্ত নিজেদের ও নিজেদের দলের শক্তির উপর নির্ভর করিয়া করিয়াছেন। গবক্সেণ্ট কংগ্রেসী কথা না শুনিলে তাহারা গবষ্মেণ্টকে নানা সুবিধায় ফেলিতে পারিতেন। মহাত্মা গান্ধী যাহা করিতে আসিতেছেন, তাহা অন্য প্রকারের চেষ্টা । তিনি বঙ্গের গবর্ণর ও মন্ত্রীদের কৰ্ত্তব্য বুদ্ধি ও দয়ার উদ্রেক করিয়া যাহা করিতে পারেন করিবেন। তাহার কথা না •শুনিলে তাহারা কোন অসুবিধায় পড়িবেন ন, বঙ্গের বা yান্ত কোন প্রদেশের কোন মন্ত্রী পদত্যাগ করিবেন না, অসহযোগ আন্দোলনের পুনরারম্ভ হইবে না। অতএব, কংগ্রেস বঙ্গের দুঃখে সমদুঃখভাগী নহেন। মহাত্মা গান্ধীর কথা স্বতন্ত্র, তিনি সমদুঃখভাগী । বঙ্গের রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি কেন আবশ্বক . ফাস্তুনের প্রবাসীর বিবিধ প্রসঙ্গে ৭৪৭-৭৪৮ পৃষ্ঠায় আমরা অন্তরিত ও রাজনৈতিক বন্দীদের সম্বন্ধে যাহা লিখিয়াছি, তাহা হইতে আমরা তাহাদের মুক্তি কেন চাই, }r তথ্য অনেকটা বুঝা যাইক্সে অন্য কারণও আছে । তাহ বালবার"াগে আrমুণ্ড দু-একটা কথা বলা আবশ্যক। জিমিতিক বন্দীদের মধ্যে যাহারা বলপ্রয়োগে হিংসাতে বিশ্বাস করিত, তাহারাও এখন°সে বিশ্বাসতু্যাগ করিয়াছে ৮. সুতরাং তাহাদিগকে ছাড়িয়া দিলে সন্ত্রাসনবার্মের পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনা নাই। ইংরেজীতে কয়েদীদের অস্থতাপের বিশ্বাসযোগ্যতার বিরুদ্ধে একটা কথা t چسر سb চলিত আছে বটে; কিন্তু এক্ষেত্রে, যে-সব রাজনৈতিক বন্দী খালাস পাইবে, তাহারা চিহ্নিত হইয়া থাকিবে, কিছু ঘটিলে পুলিস আগেই তাহাদিগকে ধরিবে ; এবং তাহারা সৰ্ব্বসাধারণের কোন সহানুভূতি পাইবে না। ইহা বিবেচনা করিলে, তাহদের মুক্তি বিপংসস্কুল মনে হয় না। গত সংখ্যার ৭৪৭-৭৪৮ পৃষ্ঠায় যাহা লিথিয়াছি ও উপরে যাহা লিখিলাম, মন্ত্রীরা তাহা বিবেচনা করিলে তাহাদের বিবেচনার জন্য আরও দু-একটা কথা বলা যাহতে পারে। o বঙ্গের কোন উপকারই বঙ্গের কোন মন্ত্রী করিতে চান না, আমরা এরূপ মনে করি না। তাহার বহু অন্তরিত ও বন্দীকে যে খালাস দিয়াছেন, ইহার প্রশংসা তাহারা পান নাই এই জন্য, যে, অনেককে থালাস দিতে এখনও বাকী আছে । তাহারা যে এক-এক জনের বিষয় বিবেচনা করিয়া ক্রমে ক্রমে অনেককে খালাস দিয়াছেন ও পরে দিবেন বলিয়াছেন, ইহার জন্যও তাহাদের নিন্দ অনেক কাগজে হইয়াছে—যদিও কংগ্রেসী মন্ত্রীরাও প্রত্যেক বন্দীর বিষয় ব্যক্তিগতভাবে বিবেচনা করিয়৷ ক্রমে ক্রমে সকলকে খালাস দিয়াছেন, দিতেছেন ও দিবেন। অবশ্য, ইহা সত্য, যে, কংগ্রেসী প্রদেশগুলিতে রাজনৈতিক বন্দীদের সংখ্যা কম, বঙ্গে বেশী । কিন্তু বঙ্গের মন্ত্রীরা একটু শীঘ্র শীঘ্র প্রত্যেক বন্দীর বিষয় বিবেচনা করিয়া তাহাদিগকে খালাস দিলেই বঙ্গে ও কংগ্রেসী প্রদেশগুলিতে এ-বিষয়ে কোন প্রভেদ থাকিবে না এবং বঙ্গের মন্ত্রীদিগকে এই সম্পর্কে আর নিন্দাও সহ করিতে হইবে না । নিন্দিত হওয়া কাহারও পক্ষে মুখকর নহে। নিন্দিত হওয়াতে কোন বাহাদুরিও নাই। অন্তরিত ও রাজনৈতিক বন্দীদিগকে ছাড়িয়া দিতেই হইবে—দু-দিন আগে বা দু-দিন পরে। এবং আগে দিলে কোন বিপদ নাই, বরং মন্ত্রীর সুস্থচিত্তে দেশহিতকর নানা কাজে মন দিতে পারিবেন ও সেরূপ কাজ করিলে প্রশংসাও পাইবেন । অতএR. রাজনৈতিক দুখভোগীদিগকে ছাড়িয়া দেওয়াই মন্ত্রীদের পক্ষে স্ববুদ্ধির কাজ হইবে . মহাত্মা গান্ধীর কথা শুনিয়া পরে ছাড়িবার পরিবর্কে তাহ শুমবার আগে ছাড়িয়া দিলে মন্ত্রীরা অধিক স্বশস্বী হইবেন। দেশের এতগুলি সমৰ্থ