পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b~వసిరి জ্ঞান অর্জন ও চরিত্র গঠন দুঃসাধ্য—অসাধ্য বলিলেও চলে। মানুষের যেটি বাড়িবার বয়স, দেহমনে বাড়িবার আত্মায় বিকশিত হইবার বয়স, সেই বয়সে সক্রিয় রাজYafo torqtaa (active political life-tax ), *বৃষ্টি শীতাতপের মধ্যে পড়া অবাঞ্ছনীয় । এমন অনেক ছাত্রের কথা অনেকে জানেন, যাহার রাজনীতির উন্মাদনায় সৰ্ব্বদা মাতিয়া থাকেন, বড় বড় রাজনৈতিক “রণরব” উচ্চারণ করেন, কিন্তু ভাল ও দরকারী বহি— রাজনৈতিক বহিও, পড়েন না। জীবনের সকল বিভাগেরই জন্য প্রস্তুতির আবশু্যক । রাজনৈতিক জীবন যাপন করিতে হইলেও তাহার প্রস্তুতি আবশ্বক। তাহার জন্যও শাস্ত-সমাহিত ভাব এবং অধ্যয়নাদি চাই । অকালে নেতৃত্বের নেশার প্রলোভনে পড়িলে ছাত্রদের অনিষ্ট হইবার সম্ভাবনাই বেশী । “সবুরে মেওয়া ফলে”। ধৈর্য্যধারণ করিয়া অপেক্ষা করিলে এবং জ্ঞান-অর্জনাদি দ্বারা প্রস্তুত হইলে ছাত্রদের মধ্যে অনেকে ভবিষ্যতে বড় নেতা হইতে পারিবেন। ছাত্রেরা সাৰ্ব্বজনিক রাজনৈতিক বিষয়ে এত মন দেন, তাহা আমরা মন্দ মনে করি না । তাহাদের মধ্যে অনেকে ধে নেতা হইতে চান, তাহাও ভাল। র্তাহারা যাহাতে ভবিষ্যতে সুযোগ্য নেতা হইতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যেই আমরা এত কথা লিখিতেছি । সকল দলের মানুষের, সকল মামুষের জীবনের ও চরিত্রের ভাল দিকটা দেখিতে শিখা অত্যন্ত আবশ্যক । অল্প বয়স হইতে রাজনৈতিক দলাদলিতে মাতিলে, (দৃষ্টাস্তস্বরূপ) দলবিশেষের ব্যক্তিবিশেষের জন্য ভোট সংগ্রহে নিযুক্ত হইয়। অপর দলের নির্বাচনপ্রার্থীর দোষ উদঘাটনে আত্মনিয়োগ করিলে মানসিক নিরপেক্ষত শিক্ষায় ব্যাঘাত জন্মে, স্থিরবুদ্ধিতা জন্মে না । তর্কস্থলে অনেকে বলেন, অন্য দেশের ছাত্রেরা ত সঙ্কট সময়ে যুদ্ধেও ষায় । সত্য । যুদ্ধ আসিলে—তাহ যেরকম যুদ্ধই হউক—আমাদের ছাত্রদিগকেও কেহ আটকাইয়া রাখিতে পারিবে না । কিন্তু যখন কোন রকম যুদ্ধই নাই, তখন নামে-মাত্র ছাত্রত রাখিয়া কাৰ্য্যতঃ ছাত্ৰত ত্যাগে উৎসাহ দেওয়া মন্ত্রচিত। প্রবাসী $sరి83 শ্রমিক ও কৃষক আন্দোলন এবং সমাজতন্ত্রবাদ অন্য অনেক দেশের মত আমাদের দেশে শ্রমিক ও কৃষক আন্দোলনের প্রয়োজন আছে, সমাজতন্ত্রবাদের জ্ঞান বিস্তার আবশ্যক,>এবং সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের কারণ বুঝিতে বেশী আয়াস স্বীকার করিতে হয় না। শ্রমিকদের অবস্থা ভাল নয়, কৃষকদেরও অবস্থা ভাল নয় । তাহার উন্নতি আবশ্যক। কিন্তু মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অনেক লোক নামে মধ্যবিত্ত হইলেও বাস্তবিক লিন্তহীন । তাহাদের বেকার অবস্থা শোচনীয়। তাহাদেরও দুৰ্দ্দশা মেচিন আবশ্বক। অনেক জমিদারও নামে মাত্র জমিদার । আমাদের দেশে খুব ধনী কতকগুলি লোক আছে, সাধারণ রকমের ধনীর সংখ্যা তাহা অপেক্ষা অধিক, সচ্ছল *অবস্থার লোক তাহা অপেক্ষাও সংখ্যায় বেশী ; কিন্তু অধিকাংশ লোকই দরিদ্র । ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে অবস্থার পার্থক্য অত্যন্ত অধিক । এ-অবস্থায় সমাজতন্ত্রবাদ ও সাম্যবাদের প্রচার হওয়া বিন্দুমাত্রও আশ্চয্যের বিক্রয় , নহে । বরং তাহার প্রচার না-হইলে মানুষের ཝཱ་ལཱN། ভাঙিত না । جھنم -۔ সমাজতন্ত্রবাদ ও সাম্যবাদ আন্দোলনের প্রণালী বাংলা দেশে ও ভারতবর্ষের অন্যত্র যে কৃষক ও শ্রমিক আন্দোলন হইতেছে, এবং সমাজতন্ত্রবাদী ও সাম্যবাদীরা যে-আন্দোলন করিতেছেন, তাহা মূলতঃ একজাতীয়। সব প্রচেষ্টাগুলিরই উদ্দেশু ধন উৎপাদন ও বণ্টনের সামাজিক ও রাষ্ট্রক ব্যবস্থার ন্যায়সঙ্গত পরিবর্তন ও তাহার দ্বারা স্থায়ী ভাবে দরিদ্রদের দারিদ্র্যমোচন _এই জন্ত সবগুলির সম্বন্ধে সাধারণ ভাবে দু-একটু কথ। বলা যাইতে পারে। , * ইউরোপে সমাজতন্ত্রবাদ ও সাম্যবাদ প্রধানত: বৃশিয়াতেই রাষ্ট্রের মত বলিয়া গৃহীত হইয়াছে এরং রাষ্ট্র তদনুসারে গঠিত হইয়াছে। ইহার বিরোধী মত ইটালী ও জার্মেনীর রাষ্ট্র গঠিত হইছে, স্পেনেও চেষ্ট্র