পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b-SR 豹 এখানে আমাদের বক্তব্য এই, যে, আমরা দেখিতে পাই, কতকগুলি লোককে যদি করাতশদয়া গাছের গুড়ি । চিরিতে, ধান কাটিতে, ইট বা পাথর ভাঙিতে, মাটি কোপাইতে, কালিকলম কাগজ লইয়া কিছু লেখা"ল করিতে দেওয়া হয়, ( কোনটিই প্রতিভার কাজ নয় ), তাহা হইলে দেখা যায়, একই সময়ের মধ্যে কেহ বেশী কাজ করিয়াছে কেহ কম করিয়াছে, কেহ ভাল করিয়া কাজ করিয়াছে, কেহ তাহা করিতে পারে নাই। যাহারা বেণী ও ভাল কাজ করিয়াছে, তাহাদের পারিশ্রমিক বেশী হওয়া ন্যায়সঙ্গত। তাহারা যদি সদাশয়তা পূৰ্ব্বক বলে, আমরা অপেক্ষাকৃত্ত অক্ষমদের কম শক্তিমানদের চেয়ে বেশী লইব না, আমাদের ভরণপোষণের জন্য যাহা আবশ্যক তাহা আমাদিগকে দিয়া বাকী অপেক্ষাকৃত অক্ষমদের মধ্যে বাটিয়া দাও, তাহ হইলে তাহা এই উৎকৃষ্ট কৰ্ম্মীদের মহত্ব। কিন্তু যাহারা অপেক্ষাকৃত অক্ষম বা কম শক্তিমান তাহারা অপেক্ষাকৃত অধিক শক্তিমানদের ন্যায্য উপার্জনে ভাগ বসাইবার দাবী করিলে তাহা কি ন্যায়সঙ্গত হয় ? মানুষের দৈহিক ও মানসিক শক্তির তারতম্য অনুসারে ধন-উৎপাদনক্ষমতার তারতম্য হওয়া স্বাভাবিক, উপার্জনের তারতম্য হওয়াও স্বাভাবিক। কিন্তু বৰ্ত্তমানে এক জন মানুষ যে-পারিশ্রমিক বা বেতন পায়, আর এক জনের তাহার হাজার দু-হাজার গুণ পাওয়া সাধারণতঃ স্বাভাবিক নহে— অবশু প্রতিভা, বিশেষ-জ্ঞান, বিশেষ দক্ষতার কথা স্বতন্ত্র । ভিন্ন ভিন্ন মামুষের ধন-উৎপাদন ক্ষমতার যেমন তারতম্য আছে, মিতব্যয়িত, সঞ্চয়িত প্রভৃতিরও তেমনি তারতম্য আছে । এই সকল বিষয় বিবেচনা করিলে বুঝা যাইবে, যে, কতক লোকের • ধনশালিতা ও অন্য কতক লোকের দারিদ্র্যের কারণ যে কেবলমাত্র প্রথমোক্ত লোকদের শোষকতা ও প্লবঞ্চকতা এবং শেষোক্ত লোকদের শোষিতত্ব ও বঞ্চিতত্ব, তাহা নহে ; ধৰ্ম্ম-উৎপাদন ও ধন রক্ষা করিবার ক্ষমতার তারতম্যওঁ একটা কারণ। & অতএব, সাম্যবাদের প্রচারকেরা যদি বিত্তহীন ゞつ88 শ্রোতাদের মনে জানিয়া শুনিয়া বা অনভিপ্রেত ভাবেও এই ধারণা জন্মান, যে, অপেক্ষাকৃত বিত্তশালীরা বা তাহাদের পূর্বপুরুষেরা সবাই শোষণ ও বঞ্চনা দ্বারাই সচ্ছলতা পাইয়াছেন, এবং বিত্তহীনেরা বা তাহাদের পূৰ্ব্বপুরুষেরা সবাই শোষিত ও প্রবঞ্চিত বলিয়াই দরিদ্র, তাহা হইলে সে-ধারণা সত্য হইবে না। যদি এরূপ ধারণা জন্মান, যে, পৃথিবীতে কোন রাষ্ট্রে কোন ব্যবস্থ৷ দ্বারা সব মানুষের আয় সমান করিতে ও রাথিতে পারা যায় ও যাইবে, তাহা হইলে সে ধারণাও ভ্রান্ত। যদি কোন রাষ্ট্র এক দিন আইনের জোরে ও গায়ের জোরে সকলের ধন ও আয় সমান :: তাহা হইলে তাহা পরে আবার পূর্ববর্ণিত কারণে অসমান হইয়া যাইবে । রাশিয়ার রাষ্ট্র অনেক চেষ্টা এবং উপদ্রব \ করিয়াও সকলের আয় ও ধন সমান করিতে ও রাখিতে পারে নাই । সাম্যবাদ ব্যক্তিগত সম্পত্তির বিরোধী। কিন্তু সায়-" বাদকেও কিছু ব্যক্তিগত সম্পত্তি মানিতে হয় ওঁ হইবে। প্রত্যেক মানুষ যে কাপড়চোপড় পরে, রাশিয়াতে তাহা তাহার ব্যক্তিগত সম্পত্তি কি না ? ষে-জুতা পরে, তাহা তাহার সম্পত্তি কি না ? যে-কলম দিয়া লেখে, তাহা তাহার সম্পত্তি কি না ? না, রাষ্ট্র বা অন্য কেহ তাহা লইয়া ব্যবহার করিতে পারে ? বোধ হয়, পারে না । সুতরাং কিছু ব্যক্তিগত সম্পত্তি মানিতেই হইবে । ব্যক্তিগত সম্পত্তি জিনিষটাই অন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত বলিলে চলিবে না। খুব কম করিয়াও কিছু ব্যক্তিগত সম্পত্তি মানিতে হইবে, নতুবা মানুষের ভব্যতা রক্ষা করা ও বাচিয় থাকা অসম্ভব। বিচাৰ্য্য ও বিবেচ্য, নূ্যনতম স্ত্যক্তিগতসম্পত্তি কি ? ন্যাষ্য, অধিকতম ব্যক্তিগত ভুক্তিই বা কি “লাঙ্গল, যার, জমী তার” শুনিতেছি, “লাঙ্গৰা যার, ਬੇ’, এইরূপ একটি