পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సారిధి ক্রমাগত হারিবার আর্থিক সামর্থ্য চীনের থাকে ( যেমন লোকবল নিশ্চিত আছে দেখা যাইতেছে), তাহা হইলে অর্থের অনটনেই জাপানকে হয়ত পরাস্ত হইতে হইবে । এ-পর্য্যন্ত কোন শক্তিশালী দেশ চীনের সাহায্য নিশ্চয় করিবে এরূপ বুঝা যাইতেছে না । কৃষ্ণনগরে বঙ্গীয় সাহিত্য-সম্মেলন ৰঙ্গীয়-সাহিত্য-সম্মেলনের একবিংশ অধিবেশন কৃষ্ণনগরে মুনিৰ্ব্বাহিত হইয়া গিয়াছে । তাহার সঙ্গে একটি সাহিত্যিক প্রদর্শনীও ছিল । কৃষ্ণনগরে সাহিত্যকে যতগুলি শাখায় বিভক্ত করা হইয়াছিল, তদপেক্ষা আরও বেশী শাখায় বিভক্ত করা যাইতে পারে। কিন্তু শাখা বেশী হইলে শ্রোতা কমিয়া আসে এবং মূল বৃক্ষটির অস্তিত্ব শাখায় ঢাকা পড়িয়া যায়। পরবর্তী অধিবেশন কুমিল্লায় হইবে । সেখানকার উদ্যোক্তাগণ ইহা বিবেচনা করিবেন। কৃষ্ণনগরে যতগুলি শাখা হইয়াছিল, তাহা তথাকার কর্তৃপক্ষ করিয়াছিলেন, না বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষং করিয়া দিয়াছিলেন, জানি না । সম্মেলনে পঠিত অভিভাষণগুলির উৎকর্ষ সাধারণতঃ যেরূপ হইয়া থাকে, তাহা অপেক্ষা কম হয় নাই । কোন কোনটিতে ইংরেজী বাক্য ও শব্দ যাহা ছিল তাহার বাংলা সব জায়গায় দেওয়া হয় নাই । সবগুলিতেই যে ইংরেজী ছিল, তাহা নহে । যেমন, ঐযুক্ত হরিদাস ভট্টাচার্য্যের অভিভাষণটিতে ছিল না, এবং ঐযুক্ত অপর্ণা দেবীর “পদাবলী-সাহিত্য” সম্বন্ধীয় অভিভাষণটিতে ত থাকিবার কথাই নয়। ডক্টর কুদরংএ-খোদার বৈজ্ঞানিক অভিভাষণটিতেও ইংরেজীর বুকনি ছিল না। অনেক শ্রোতাই ইংরেজী জানেন । কিন্তু অল্পসংখ্যক বাংলানবীশ ও ইংরেজীতে কম অগ্রসর মহিলা ও ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার প্রতি দৃষ্টিপাত অনাবশ্যক নহে | 蟻 - সভাস্থ সকলের শুনিরার স্থবিধা সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক হইয়াছিল ঐযুক্ত অপর্ণা দেবীর অভিভাষণটি । তাঁহার কণ্ঠ যেমন মধুর সেইরূপ উচ্চ। , সংস্কৃতের উচ্চারণে প্রৰণসী SN988 তিনি মনোযোগী হইলে তাহার পাঠ নিখুত হইবে। কৃষ্ণনগরের অভ্যর্থনা-সমিতির সমুদয় বন্দোবস্ত উংকৃষ্ট হইয়াছিল। একটি আলোচনা কতকটা আদালতের বিচারের আকার ধারণ করিয়াছিল, কিন্তু অভিযুক্ত পক্ষকে ডাকা ও তাহার বক্তব্য শুনা হয় নাই- যদিও তাহার উপর গুরুতর দোষারোপ করা হইয়াছিল। ইহাতে অবশ্য অভ্যর্থনা-সমিতির কোন হাত ছিল না । “বঙ্গীয় সাহিত্য-সম্মেলন পরিচালন-সমিতি"র নিয়মবলী স্থরিবেচিত । ইহার পঞ্চদশ নিয়মে বলা হইয়াছে, "এই সম্মিলনে বর্তমান কোন ধৰ্ম্ম, সমাজ ও রাজনীতি সম্বন্ধে আলোচনা হইবে না।” আমরা যত দূর জানি, এই নিয়ম কৃষ্ণনগরে পালিত হইয়াছিল। কেবল দুইটি অভিভাষণে বর্তমান সমাজের ও বর্তমান একটি ধৰ্ম্মের “আলোচনা” হইয়াছিল বলিয়া আমাদের সন্দেহ হইয়াছে। ------ মুর্শিদাবাদে হিন্দু মুসলমানের মিলনচেস্ট। বঙ্গের মুসলমান সমাজে আভিজাত্যে মুর্শিদাবাদের নবাব বাহাদুরের স্থান সকলের উপরে। সমগ্র દુઃ বর্ষের মুসলমান সমাজেও এ-বিষয়ে তাহার স্থান উচ্চতমের মধ্যে। তিনি কোন রকমের চাকরিপ্রার্থীও নহেন। এই জন্য, তাহার নেতৃত্বে মুর্শিদাবাদে যে হিন্দু-মুসলমানের মিলনের চেষ্ট হইয়াছিল, তাহার অকপটতা সম্বন্ধে কোন সন্দেহ হয় না। এই মিলনসভায় যে কোন চুক্তি বা সৰ্ত্তের কথা উঠে নাই, ইহাও এই চেষ্টার অভিসন্ধিশুন্যতার একটি প্রমাণ । এইরূপ চেষ্টা ফলবতী হইলে মুখের বিষয় হইবে । <=om-o বিহারে বাঙালী বিহারে বাঙালীকে অতিষ্ঠ করিবার চেষ্টা অনেক বৎসর হইতেই হইতেছে। নূতন ভারতশাসন-আইন অনুসারে কংগ্রেসীরা মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করিবার পর এই চেষ্টা প্রবলতর হইতেছে। কারণ, এই মন্ত্রীষ্ম ভোটের জোরে মন্বিত্ব পাইয়াছেন, এবং অধিকাংশ\ভোটদাতা বিহারী ; তাহাদিগকে খুশি করিতে হইবে s অন্তবিধ যোগ্যতায় বিহারের অতিক্রম করিতে ন-পারিয়া, তাহার যে বাঙালী কেবল এই