পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

送2 ষ্ট্র দেশ-বিদেশের কথা ষ্ট্র চীন-জাপান বিরোধ ও ইউরোপীয় রাষ্ট্রবর্গের মতিগতি শ্রীযোগেশচন্দ্র বাগল পাশ্চাত্য লেখকগণ চীন-জাপান সম্বন্ধে বিস্তর পুস্তক-পুস্তি ক্ষা লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। পশ্চিমের সংবাদপত্র ও সাময়িক পত্রে এবিষয় অহরহ লেখা হইয়া থাকে । বাংলা ভাষায় বিদেশী রাষ্ট্রের কখ। আলোচনা সবে মাত্র আরম্ভ হইয়াছে। সঙ্ঘবদ্ধভাবে এবং যথাযথভাবে আস্তুজাতিক সমস্যাগুলি আলোচনার আয়োজন পাশ্চাত্যদেশসমূহে প্রচুর । আমাদের দেশেও এইরূপ আয়োজন একস্তি আবশ্বক । বৎসর দুই পূৰ্ব্বে সরকারী ভাবে এদেশে একটা ইন্টাৰু ব'ল ইনস্টটিউট প্রতিষ্ঠার কথা হয়। এই জন্ম বিলাং গৃকজন বিশেষজ্ঞও আমদানী করা হইয়াছিল। ইগর ফলাফল এসেওঁ সাধারণে জানিতে পারে নাই। পণ্ডিত জৱাহরলাল নেহরুর সভাপতিত্ব-কালে জাতীয় কংগ্রেসের একটি বিদেশ-বিভাগ খেলা হইয়াছে । এই বিভাগ সংবাদপত্রে মাঝে মাঝে সাময়িক আন্তর্জাতিক সমস্যা সম্বন্ধে বিবৃতি প্রকাশ করিয়া থাকেন । কিন্তু এদিকে শিক্ষিত-সাধারণের তেমন দৃষ্টি পড়িয়াছে বলিয়া মনে হয় না। গত আবিসিনিয়া-সমরে ও এগনও অসমাপ্ত স্পেন-বিপ্লবে আন্তর্জাতিক বিষয়গুলির গুরুত্ব কতকটা উপলব্ধি হইয়াছে । কিন্তু বর্তমান চীন-জাপান বিরোধে উক্তরূপ আলোচনা অপরিহার্য্য হইয়। পড়িয়ছে। চীনে জাপানের নিৰ্ম্মম অভিযানে সমগ্র প্রাচ্যবাণী আজ মন্ত্রস্ত । ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাব, সাহিত্য ও সংস্কৃতি থাকিলেও ইহাদের মধ্যে এমন একটা যোগসূত্র রুঠিয়াছে এবং এমন একট। বৈশিষ্ট্য আছে যে, অন্ত হইতে তাঙ্গ অনায়াসে পৃথক করিয়া দেখা যায় । সমগ্ৰ পূৰ্ব্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যেও এইরূপ একটা সংস্কৃতিগত মিল বুহিয়া গিয়াছে । এ-কারণ রাষ্ট্রনৈতিক স্বাধীনতাপরাধীনতার কথা ছাড়িয়া দিলেও পরস্পরের ভিতর একটা গভীর সম্বন্ধবিদ্যমান। আবিমিনিয়া বা স্পেনের দুর্দশায় আমরা সঙ্গামুভূতি জ্ঞাপন করিয়াছি, অনেকটা বিচলিতও হইয়াছি, কিন্তু ইহা মানবতার দিক হইতে । চীন জাপান বিরোধে যে চাঞ্চল্য দেখা গিয়াছে ইহার কারণ পরম্পরের একাত্মবোধের মধ্যে নিহিত এবং এই একাত্মবোধের জন্তই আমরা এক দিন জাপানকে 'প্রাচ্যের নবারুণ' বলিয়া অভিহিত করিয়া’ছলাম। আজ এই চীন-জাপান বিরোধের মধ্যে আত্মহত্যারই সূচনা দেখা যাইতেছে । ौम थाद्ध ग** {९णद्र बांद९ जाबाछादौtफ़्द्र गौणाछूभि श्छ। পণ্ডিয়াছে। ইউরোপের রাষ্ট্রগুলি ছলেবলে তাহার অঙ্গচ্ছেদ করিয়া নিজেদের প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়াইয়া লইয়াছে । চীন সাধারণতন্ত্রের জন্মদাত ডক্টর সান ইয়াং-সেন এইজন্ত “Asia for Asiatics"—এশিয়া ‘এশিয়াবাসীদের জন্য' এই বাণী প্রচার করিয়াছিলেন। তিনি মাধু সম্রাটকে তাড়াইয়া দিয়া চীন হইতে সাম্রাজ্যবাদের উৎস মূলে আঘাত করিতে চাহিয়াছিলেন, কিন্তু ইহার উপাসকগণ ইতিমধ্যেই সেখানে আডড গাড়িয়া ফেলিয়াছিল । পরে মহাসমর আসিল । চীন এই সময় নিরপেক্ষ ছিল । এক জন বিশেষজ্ঞ বলিয়ছেন, চীন এই সময় নিরপেক্ষ থাকিয়া ভাল কাজ করে নাই—আত্মরক্ষার জন্যও তাহাকে মিত্ৰশক্তির পক্ষে দাড়ান উচিত ছিল। জাপান পশ্চিমের সংস্পশে আসিয়া ইতিমধ্যেই কূটনীতি বেশ আযুত্ত করিয়ু ফেলে। সে একাই প্রাচ্য রক্ষা করিতে পাৰ্বিবে মিত্ৰশক্তিকে এট ভরসা দিয়াছিল । মহাসমরের সময়ে জাপান চীনকে কতকগুলি দাবি পূরণ করিবার জন্য চাপ দেয়। এই দাবিগুলি এখন ইতিহাসে 'একবিংশতি দাবি ( Twenty-one demands ) নামে পরিচিত। মিত্রশক্তিবর্গ সম্মত না হওয়ায় তখন এ দাবি পূরণ হয় নাই। তথাপি লোকে বুঝিতে পারিয়াছিল, জাপান শক্তিমান হইলে দুৰ্ব্বল চীনের পক্ষে তাহা কিরূপ মারাত্মক হইবে । মহাসমর আস্তে হেবসর্ণই সন্ধির ফলে জাপান বাস্তবিকই প্রাচ্যে শক্তিমান হষ্টয় উঠে। ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র গত ১৯২১-২২ সনে ওয়াশিংটনে প্রাচ্যে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলির একটি বৈঠক আহবান কৰিয়া নয়শক্তি চুক্তি, চতুঃশক্তি চুক্তি ও নৌ-চুক্তি নামক কতকগুলি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। এই চুক্তিগুলির প্রধান লক্ষ্য হইল প্রাচ্যে জাপানের শক্তি সীমাবদ্ধ করিয়া রাথ । আর একটি উদেশ্বা-চীনের অখণ্ডত্ব স্বীকার এবং চীনে মুক্ত-দ্বার বা 'Open door নীতি প্রচলন। শেষোক্ত উদেখা হইতে বুঝা যায়—চীনের অখণ্ডত্ব স্বীকার করিতে বা ব্যবসা-বাণিজ্যে সকলের সমান অধিকার মানিয়া লইতে জাপান ভবিষ্যতে গররাজি হইতে পারে এমন আশঙ্কাও করা হইয়াছিল । .. ওয়াশিংটন বৈঠকের পর পনর বৎসর অতীত হইয়া গিয়াছে । এই সময়ের মধ্যে জগতে নানা পরিবর্তন আসিয়াছে। মহাসমরের ক্লাস্তি ঝাড়িয়া ফেলিয়ু পশ্চিমের রাষ্ট্রগুলি ‘যুদ্ধ দেহি’ বলিয়া আবার পৰম্পরকে আহ্বান করিতেছে। গত সাভ, বৎসরের ইউরোপীয় বিশৃঙ্খলার মধ্যে জাপান ঐ সব চুক্তি সত্ত্বেও প্রাচ্যে তাহার প্রভাবপ্রতিপত্তি অসম্ভব রকম বাড়াইয়া লইয়াছে। এক দিন বিৰাট রুশ শক্তিকে হাৱাইয় নিয় ক্ষুদ্র জাপান শুধু সমগ্ৰ বিশ্বের বিষয় ७९णाक्न कह्त्व माई, हेप्लेबालीव्र गाबाञ्जावान श्श्८ङ जयज अिीि