পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫెస్చి এই সময় যেন আমার কথার প্রতিধ্বনি করিয়া লতাবিতানের বাহিরে কিযুদূরে কর্কশ কণ্ঠে আহবান আসিল,—‘রল্লা— রল্লা—’ উৎকণ্ঠ হইয়া রল্ল! শুনিল ; তার পর হাত ছাড়াইয়া লইল । আমার মুখের দিকে চাহিয়া এক অদ্ভুত হাসি তাহার কিংশুকফুল্ল অধরে থেলিয় গেল। সে বলিল, “আমার মদনোৎসব শেষ হইয়াছে । আমি গৃহে চলিলাম।” ‘গৃহে চলিলে!—যে ডাকিল সে কে ?’ রল্লা আবার নিদাঘ-বিদ্যুতের মত হাসিল, “আমার— ভৰ্ত্ত ।” অকস্মাং মুদগরাঘাতের মত প্রচণ্ড আঘাত পাইয়। যেন বিমূঢ় হইয়া গেলাম—‘ভৰ্ত্ত। — রপ্পা লতাবিতানের দ্বারের দিকে চলিল । যাইতে গ্রীব। ফিরাইয়া বলিল, “আমার ভৰ্ত্তাকে দেখিবে ? লতার অন্তরালে লুকাইয়া দেখিতে পার । তীক্ষু বঙ্কিম হাসিয়া রল্লা সহসা অদৃশ্ব হইয় গেল । মূঢ়বং কিছুক্ষণ দাড়াইয়া রহিলাম ; তার পর লতামগুপের পত্রাস্তরাল সরাইয়া বাহিরে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলাম। রল্ল। আর তণ্ডু মুখোমুণী দাড়াইয়া আছে। বৃদ্ধ তণ্ডুর সৰ্প চক্ষু সন্দেহে প্রখর ; রল্লার রক্তাধরে বিচিত্র হাসি। তণ্ডু কর্কশকণ্ঠে বলিল, “উৎসব শেষ হইয়াছে, গৃহে চল । রল্লা ক্লাস্তিবিজড়িত ভঙ্গীতে দুই বাহু উৰ্দ্ধে তুলিয়া দেহের আলস্য দূর করিল, তার পর বলিল, ‘চল ? তজু একবার লতাবিতানের দিকে কুটিল দৃষ্টিপাত করিল, একবার যেন একটু দ্বিধা করিল, তার পর বুদ্ধ ভল্লুকের মত বিপরীত মুখে চলিতে আরম্ভ করিল। রল্লা মন্থর পদে তাহার পশ্চাতে চলিল । যাইতে যাইতে রল্লা একবার নিজের কবরীতে হাত দিল ; কবরী হইতে একটি রক্ত কুরুবক খসিয়া মাটিতে পড়িল । * আমি বাহিরে আসিয়া কুরুবকটি তুলিয়া লইলাম। রক্স। তখন দূরে চলিয়া গিয়াছে, দূর হইতে ফিরিয়া চাহিল। প্রদোষের ছায়ামান আলোক যেন তাহার সর্বাঙ্গ নিঃশব লঙ্কেত করিয়া আমাকে ডাকিল । ঘষ্টিভে প্রবাসী sNジB3 আমি দূরে থাকিয় তাহার অনুসরণ করিলাম। জনাকী নগরীর বহু সঙ্কীর্ণ পথ অতিক্রম করিয়৷ অবশেষে রল্লা নগর প্রান্তের এই দীন গৃহের অভ্যস্তরে অদৃশু হইয়া গেল দেখিলাম, গৃহের প্রাচীরে দুইটি অসি চিত্রিত রহিয়াছে। তার পর মানা ছুতা করিয়া অসিধাবক তখুব গু:ে আসিয়াছি। অধীর দুনিবার অস্তরে স্থির হইয়া বসিয় স্বযোগের প্রতীক্ষা করিয়াfছ তণ্ডর যন্ত্রাগারের পশ্চাতে তাহার বাসগৃহ ; সেখানে রল্লা আছে, দূর হইতে কচিং তাহার নুপুরশিয়ন শুনিয়া চমকিয়; উঠিয়াf ; চোখে মুখে উগ্ৰ কামনা হয়ত প্রকাশ হুহয়। পড়িয়াছে । তণ্ডু কুটিল বক্র কটাক্ষে আমাকে নিরীক্ষণ করিয়াছে । কিন্তু রল্লাকে BBB BB BBBS BBBS BB BBB BBB S তণ্ডুৰ কর্কশ মীরস কণ্ঠস্বরে স্মৃতিতন্দ্র ভাfঙয়: সচেতন হহয়! দেখিলাম, সে শীর্ণ অঙ্গুলির প্রাস্তে অসির ধার পরীক্ষা করিতেছে, আর কে-হীন ভ্র উত্থিত করিয়া শুষ্ক স্বরে কহিতেছে--"অসির ধার তার বনিতার গেল । হামার লক্ত। পরের জন্য, কি বলেন পত্তি-নায়ুক ? বলিলাম,—“আসির ধাপ বটে । বনিতার লজ্জার কথা বলিতে পারি না, আমি অনুg ' ‘আমি বলিতে পারি, আমি অনুঢ় মহি-- তা হা—’ তণ্ডুর ওষ্ঠাধর তৃষ্ণাৰ্ক বায়সের মত বিভক্ত হইয় গেল— “কিন্তু আপনি যদি অনুঢ়, তবে এত ভস্ময় ইহঁয়; কাহার ধ্যান করিতেছিলেন ? পূরস্ত্রীর ? আকস্মিক প্রশ্নে নির্যাক হঠয়া গেলাম, সহস্য উত্তর জোগাইল না। তণ্ডু কি সত্যই আমার মনের অভিপ্রায় বুঝিতে পারিয়াছে ? আত্মসম্বরণ করিয়া তাচ্ছিল্যভরে বলিলাম—“কাহারও ধ্যান করি নাই, তোমার শিল্প-নৈপুণ্য দেখিতেছিলাম ।’ বিকৃত হাস্য করিয়া তণ্ডু পুনশ্চ অসি অঙ্গার মধ্যে প্রোথিত করিল, বলিল—‘অহিদত্ত রঙ্কুল, আপনি স্বন্দর যুবাপুরুষ, এই দীন অসিধাবকের কারু-নৈপুণ্য দেখিয়া আপনার কি লাভ হইবে ? বরং নগর-উষ্ঠানে গমন করুন, সেখানে বঙ্ক রসিক নগর-নায়িকার কলা-নৈপুণ্য উপভোগ করিতে পারিবেন। আমার মনে একটু ক্রোধের সঞ্চার হইল। এই হীন