পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

న8 প্রবণসী $Nరి83 রহিল না, তও, আরম্ভ হইতেই আমার অভিপ্রায় জানে। লতাবিত্তানে চুরি করিয়া আমাদের দেখিয়াছিল। কিন্তু এত দিন প্রকাশ করে নাই কেন ? আমাকে লইয়া খেলা করিতেছিল ? অসিতে অসি লাগিয়া স্ফ লিঙ্গ ঠিকরাইয় পড়িতে লাগিল। কিন্তু আশ্চৰ্য্য বুদ্ধের কৌশল, সে একপদ হটিল না। আমি যোদ্ধ, অসিচালনাই আমার জীবন, আমি তাহার অসি-নৈপুণ্যের সম্মুখে বিষহীন উরগের ন্যায় নিবাঁধ্য হইয়! পড়িলাম। অপ্রত্যাশিতের বিস্ময় আমাকে আরও অভিভূত করিয়া ফেলিল । অকস্মাৎ বজ্ৰ-নির্দোষের মত তণ্ডুর স্বর আমার কর্ণে আসিল,—‘অহিদত্ত রঙ্কুল, শক-লম্পট, এইবার নিজ অসির ধার নিঞ্জবক্ষে পরীক্ষা কর—” তার পর—কি যেন একটা ঘটিয়া গেল । অবাক হইয়া নিজের দিকে তাকাইলাম । দেখিলাম, অসির বঁাকা ফলক আমার বক্ষপঞ্জরে প্রোথিত হইয়া আছে ! তণ্ডু আমার পঞ্জর হইতে অসি টানিয়া বাহির করিয়া লইল । আমি মাটিতে পড়িয়া গেলাম। একট তীব্র দৈহিক যন্ত্রণ যেন আমার চেতনাকে দেহু হঠতে বিচ্ছিন্ন করিয়া দিল । আর কোনও ক্লেশ অঙ্গভব করিলাম না । স্বপ্নাচ্ছন্নের মভ অহুভব করিলাম, তণ্ডু কর্কশ উল্লাসে বলিতেছে, ‘অহিদত্ত রঞ্জুল, রল্লা তোমাকে বধ করে নাই, বধ করিয়াছে তণ্ডু—তণ্ডু—তণ্ডু—” 觀 囊 豪 আমার দেহটার সহিত আমার যেন একটা দ্বন্দ্ব চলিতেছে । সে আমাকে ধরিয়া রাখিবার চেষ্টা করিতেছে, আমি বায়ুচীন কার-কূপে আবদ্ধ বন্দীর মত প্রাণপণে মুক্ত হষ্টবার জন্য ছটফট কfরতেছি । এই টানাটানি ক্রমে অসহ্য হইয়া উঠিল। তার পর হঠাৎ মুক্তিলাভ করিলাম । প্রথমটা কিছুই ধারণা করিতে পারিলাম না। তণ্ডর যন্ত্ৰগৃহে আমি দাড়াইয়া আছি, আমার পায়ের কাছে একট বলিষ্ঠ রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়িয়া আছে । আর, তণ্ড, ঘরের কোণে খনিত্ৰ দিয়া গৰ্ত্ত খুঁড়িতেছে এবং ভয়ার্ক্স চোথে বার-বার মৃতদেহটার পানে ফিরিয়া তাকাইতেছে। ক্রমে মনন শক্তি ফিরিয়া আসিল । বুঝিলাম, তণ্ডু আমাকে হত্যা করিয়াছে। কিন্তু আশ্চৰ্য্য ! আমি ত মরি নাই ! ঠিক পূর্বের মতই বাচিয়া আছি । অনিৰ্ব্বচনায় বিস্ময় ও হর্ষে মন ভরিয়া উঠিল । অনুভব করিলাম, আরও কয়েক জন ঘরের মধ্যে আসিয়া দাড়াইয়াছে। তাহাদের মধ্যে কাহাকেও চিনিলাম, কাহাকেও বা চিনিতে পারিলাম না । এক জন আমার কাছে আসিয়া মুদুহাস্তে বলিল, ‘চল, এখানে থাকিয়া আর লাভ নাই ।” রল্লার কথা মনে পড়িয় গেল। মুহূৰ্ত্তমধ্যে তাহার নিকটে গিয় দাড়াইলাম । একটি বদ্ধ কক্ষে ক্ষুদ্র গবাক্ষপথে সে বাহিরের দিকে চাহিয়া আছে ; শুষ্ক চোথে ছুরির ঝলক, ক্ষণে ক্ষণে তীক্ষ দশনে অধর দংশল করিতেছে । তাহাকে দেখিয়, তাহার অত্যন্ত কাছে দাড়াইয়াও কিন্তু আমার লেশ মাত্র বিকার জন্মিল না । সেই তপ লালসা-ফেনিল উন্মত্তত আর নাই । দেহের সঙ্গে দেই-জাত আবিলতাও যেন ঝরিয়া গিয়াছে । অতঃপর আমার নুতন জীবন আরম্ভ হল। পাখিব সময়ের প্রায় দুই সহস্র বর্ষব্যাপী এই জীবন পুঙ্খাশুপুঙ্খরুপে বর্ণনা করা সহজ নয় । আমার স্বপ্নে আমি এই দু-হাজার বংসরের জীবন বোধ হয় দুই ঘণ্ট বা আরও অল্প সময়ের মধ্যে যাপন করিয়াছিলাম ; কিন্তু তাহ বর্ণনা করিতে গেলে দুই হাজার পৃষ্ঠাতেও কুলাইবে না। জীবিত মানুষ স্থান এবং কালের আশ্রয়ে নিক্সের সত্তাকে প্রকট করে । কিন্তু প্রেতলোকে আত্মার স্থিতি কেবল কালের মধ্যে । নিরবয়ব বলিয়া বোধ করি তাহার স্থানের 2ुङ्गेट इग्न ठ! । শরীর নাই ; তাই রোগ কামনা ক্ষুধা তৃষ্ণাও নাই । দেহ-বোধ প্রথম কিছু দিন থাকে, ক্রমে ক্ষয় হইয়া যায় । গতির অবাধ স্বচ্ছন্দতা আছে, অভিলাষমাত্রেই যেখানে ইচ্ছা যাওয়া যায়। সূর্য্যের জলন্ত অগ্নি-বাপের মধ্যে প্রবেশ করিয়াছি, লেশমাত্র তাপ অনুভব করি নাই । শৈত্যউত্তাপের একান্ত অভাবই এ রাজ্যের স্বাভাবিক অবস্থা । এখানকার কালের গতিও পার্থিব কালের গতি হইতে পুথক । পৃথিবীর এক অহোরাত্রে এখানে এক অহোরাত্র