পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ হুইটম্যান S్చsh গয়ে শুই উৎকট বৈরাগ্য-পথের মায়াবাদী পথিক ; যুক্তির [ামে অতীক্রিয়কে করি অবিশ্বাস এবং বিশ্বাসের নামে বজ্ঞানকে করি অশ্রদ্ধা ; সেই জন্যই ত এত বিদ্বেষ, এত মসহিষ্ণুতা, এত অনুদারতা, এত বিষোদগীরণ, এত হানাহানি, Iাক্যের এত ঝড় এবং তর্কের এত ধূলি । হুইটম্যান বললেন— I have no chair, uo church, no philosophy. কোন বিশেষ ধর্থের অথবা দর্শনের ধ্বজা উড়িয়ে আমি আসি নি । কারণ যা সত্য তাকে ত কোন একটা বিশেষ মতের ঔীর মধ্যে সীমাবদ্ধ করা যায় না । কোন অধ্যাপক, কোন ধযাজক, কোন দার্শনিক, কোন পুথি সত্যের সঙ্গে আমাদের রিচয় করিয়ে দিতে অক্ষম । তাকে জানা যায় অমৃভূতির গগ দিয়ে, অস্তরের দৃষ্টি দিয়ে। সেই দৃষ্টি দিয়ে আমরা যা ত্য ব'লে জানি তার সঙ্গে শাস্ত্রের মিল নাও থাকতে পারে । ইটম্যান বললেম, প্রশ্নের জবাব দিতে আমি আসি নি, গমি এসেছি মাতৃযের মনে প্রশ্নের পর প্রশ্ন জাগাতে । শ্নের জবাব দেবে তারাই গুরুগিরি যাদের ব্যবসা । Not i not anyone else ran travel that road for you. o su rmus trav el it for yourse lí. সাতোয় পখে তোমার হয়ে আর কেউ চলবে —অসম্ভব । তোমাকেই চলতে হবে তোমার লিঞ্জের ক্টোরে । ఇRa জানি, এই স্বাধীনচেতা কবি পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে আর এক প্রাস্ত পধাস্ত অগণিত মামুষের মনে এমন সব মারাত্মক প্রশ্নের তরঙ্গ তুলেছেন যার উত্তর নেই পুথির পাতায়, সমাজপতিদের রসনাম, রাষ্ট্রপতিদের তৈরি আইনের গ্রন্থে, মুনীতি-প্রচারকদের বাধা বুলির মধ্যে । এই সব প্রশ্ন জাগাবার জন্য কবিকে জীবিতকালে কম ক্ষতি স্বীকার করতে হয় নি! Leares of Grass 82.4 row প্রকাশিত হ’ল তখন আমেরিকা তার শ্রেষ্ঠ কবিকে কোন সম্মানই দান করে নি । এমাসন প্রথম আবিষ্কার করলেন কবির অসামান্ত প্রতিভাকে । সাহিত্যের ইতিহাসে যুগান্তর এনেছে যাদের লেখনী, তাদের অনেককেই প্রথম জীবনে সহ করতে হয়েছে দুঃসহ ক্ষতি আর লাঞ্ছনা । এর কারণ আছে । সমাজের দশের মতের যা প্রতিধ্বনি তাকে আইডিয়া বলা ঠিক নয় । আইডিয়ার মধ্যে থাকবে আগুনের শিখা যা জীর্ণকে পুড়িয়ে দিয়ে ঘটাবে নূতনের আবির্ভাব ۹ سسیون আইডিয়ার মধ্যে থাকবে কালবোশেখার ঝড় যা পুরাতনকে ঝরিয়ে আনবে নববসন্তের গরিমা। ধে আইডিয়া মিথ্যার আর অস্বন্দরের বুকে ভীতির শিহরণ আনতে না পারে, যার আবির্ভাবে অত্যাচারী ডরিয়ে না ওঠে এবং ক্রীতদাসের বুকে আননের শিহরণ না জাগে—সে ত অগ্নিস্ফূলিঙ্গ নয়, সে ত গতানুগতিকের ভশ্ববিশেষ ! প্রথম শ্রেণীর যারা ভাবুক, তাদের সাহিত্য এই আইডিয়ারই বাহন । বহুর মধ্যে যে একাকী, অরণ্যে দ্বার রোদন, তারই কণ্ঠে বাজে অনাগত ভবিষ্যতের বিজয়শস্থ ষ্টে ওয়ান্ট হুইটম্যানের কবিতায় এই নূতনের জয়ধ্বনি। নবযৌবনের অগ্রদূত তিনি। তার সহচর ধারা তাদের কটিদেশে পিস্তল আর কুঠার, তাদের দেহে অটুট স্বাস্থ্য অার মনে অসীম সাহস, তাদের চোখে বিদ্যুতের শিখা আর মুখে দৃঢ়তার ছাপ, আরাম আর গতানুগতিকতাকে তারা পশ্চাতে এসেছে ফেলে, তাদের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষেরে অনাহার আর দারিদ্র্য, শত্রুর ক্রফুটি আর মৃত্যুর ছায়। নবজগতের এই নিভীক উদার কবিকে শ্রদ্ধ করতে শিখেছে ধারা, তাদের সংখ্য দিনে দিনে বেড়ে চলেছে, কারণ জগৎ অভিজ্ঞত এগিয়ে চলেছে যে আদর্শের পানে সে আদর্শ সাম্যের আদর্শ, স্বাধীনতার আদর্শ, প্রেমের আদশ, মৈত্রীর আদর্শ, ঐক্যের আদর্শ। হুইটম্যানের মত আর কোন কবি এমন আবেগ-ভর কণ্ঠে এই চিরজী আদর্শের জয়গান গেয়েছেন ? ভেবেছিলাম এইখানে এসেই প্রবন্ধের উপসংহার করব। কিন্তু হুইটম্যানের কবিতার আসল বিষয়বস্তুটিই আমাদের আলোচনার বাহিরে থেকে গেছে । এই বিষয়বস্তুটি হ’ল মাতুৰ—সাধারণ পথের মামুধ । ফরাসী চিত্রশিল্পী দমিয়ের (Daulnier) ছবির আলোচনা-প্রসঙ্গে সমালোচক লিখেছেন, He was content to possess the street and to ওয়ান্ট হুইটম্যামের সম্পর্কেও ঠিক এই কথা অসঙ্কোচে আমরা ব্যবহার করতে পাৰি । র্যারা পণ্ডিত, যারা ঐশ্বৰ্ষাশালী, যারা আভিজাত্যগৰ্ব্বে গৰ্ব্বিত, যারা পীরামীডের চুড়ায় আসীন,-হুইটম্যান তাদের কবি নন। পথের মানুষ যারা, যার কাঠ কাটে আর হাল চযে, মাছ ধরে আর নৌকা বায়, শিকার করে o conquer the future.