ੋਗਏ। রক্ষাকবচ
- 34,
ডাক্তারের মোটর আলিয়া বাড়ীর সামনে দাড়াইল । চাকর তাড়াতাড়ি ছুটিয়। গিয় তাহার ব্যাগ নামায়া লইল । সেটা তাঙ্কার বাহিরের রোগী দেখিবার কামরায় রাখিয়, আবার পিছন পিছন ছুটিল ভিতরের ঘরে, কর্তার জুতা খুলিয়া দিল, পোষাক ছাড়াইয়া দিল। অতঃপর হৈমবর্তী আসিয়া স্বামীসেবায়ু মনোনিবেশ করিলেন । কামিনী আর ক্ষেমা জলখাবার সাজাইয়া-গুছাইয়া দিয়া গেলেন, গুহিণী বসিয়া খাওয়ার তত্ত্বাবধান করিতে লাগিলেন । কমললোচন জিজ্ঞাসা করিলেন, “আজ বৌঠাকরুণকে কিছু খাওয়াতে পারলে ?” ংমৰত বলিলেন, “কই আর খেল, কত ধরাধরি করে তবে সংবতের গেলাসটা মুগের কাছে তুলেছিল, তখনই আবার চীৎকাৰ ক'বে কেঁদে শুয়ে পড়ল ৷ থেতে কি আর মুখে রোচে গো, এমন অঁতে ঘাও ভগবান দিলেন । সাতটা • পাচটা না, ঐ একটি ছিল সম্বল”, খলিতে বলিতে তাহার লিঞ্জের গলাও ধরিয়া আসিল । তাহার স্বামী বলিলেন, “বেঁচে থাকতে হ’লে ন-খেলে চলবে নে ? সংসারে থাকতে গেলে এ-সব ठुग्न ।' হৈমবতী বলিলেন, "তা ত বটে, মাচুষে fক মা সইছে বল ? তবু মায়ের মন সহজে মানে ন', এখনও দু-চার দিন সময় লেবে ।” কমললোচন বলিলেন, “পুটু কেমন আছে ?” হৈমবতী বলিলেন, “সে তবু দু-১ার গ্রাস আজ থেয়েছে, মেজগিল্পী নাকি তাকে নিয়ে শীগগিরই তীখ করতে যাবে " কৰ্ত্তা বলিলেন, “তা যাক, ঘুরলে ফিরলে শরীর মন দুই-ই খানিক ভাল থাকবে । ছেলেরা কোথায় ?” হৈমবতী বলিলেন, “বিমঙ্গকে রতন ছাতে নিয়ে গেছে । আর অমল কিছুতেই বাড়ীতে থাকতে চাইল না, তার বন্ধু পরেশের বাড়ী গেছে । বললুম এমন দিনে বেরতে নেই, তা কে কার কথা শোনে ?” অমলের বাবা বলিলেন, “ছেলেটার কবে ষে মতি স্থির হবে তা জানি না। বয়স ত পfচশ পার হ’ল, এখনও কোন দিকে ভিড়ল না। আমি ত চিরকাল বাচব না, এর পর করে খেতে হবে ত ? fবমলকেও দেখবার আর কেউ নেই।” সইতেই হৈমবর্তী বলিলেন, “আমি বলি বিয়েটা দিয়ে দেণ্ডয়ী যাক । ঘাড়ে চাপ পড়লে নিজে থেকেই মতিগতি বদলাবে, ধীর শাস্ত হ’তে শিখবে ” কমললোচন বলিলেন, “দেখ ঘা বোঝ কর, চারি দিকের দেখে শুনে আর এ-সব বিষয়ে উৎসাহ হয় না।” স্বামীকে নিমরাঞ্জী মত দেখিয়া হৈমবতী আরও চাপিয়া ধরিলেন, বলিলেন, “ওসব ভাগ্যের কথা, যার কপালে ধী আছে । আজ আচাৰ্ষ্যি-মশায়কে দুটে রক্ষাকবচের জন্তে ব'লে দিলুম, দুই ছেলের জন্তে । আর পলাশপুরের ঐ মেয়েটি আমার বড় পছন্দ, ওদের বংশে একটুও ধুং নেই। আজও ওদেশে শুর ঠাকুরম, আইমার নামে লোকে নমস্কার করে । এমন সতীলক্ষ্মী ক'ট গুণ্ঠতে আছে ! ও বংশের মেয়ে পয়মস্ত হবে, দেখে নিও । মেয়ের নামও রেখেছে সাবিত্রী । আমাদের ঘরে এমনি মেয়েই দরকার ।” কমললোচন একটু হাসিয়া বলিলেন, “মেয়ের নাম আর ঠাকুরম, দিদিম দেখলেই ত হবে না, আরও অনেক জিনিষ দেখবার অাছে * হৈমবতী বলিলেন, “রূপ আর রূপে ত । ওসব দিকে মজর দিও না বাপু ভগবানের আশীৰ্ব্বাদে আমাদের অভাব কিসের ? অার মেয়ের রং হ্যামবর্ণ হ'লে কি হয়, মুখে ভারি ঐ আছে।” কমললোচন বলিলেন, সিটকবেন ।” হৈমবতী মুখ ঘুরাইয় বলিলেন, “তা আর সিট কবেন না । ফরস: রং নিয়ে ত কতই করলেন, পরের দোর ধীরে পড়ে আছেন !” কওঁ বলিলেন, "চুপ, চুপ, শুনতে পেলে মনে কষ্ট পাবে ” গৃহিণী বলিলেন, “সে যাক গে, এদিকের এ-সব চুকেমুকে গেলে আমি তাহলে লোক পাঠাই পলাশপুরে ? ঠিকঠাক করতে সময় ত লাগবে * কওঁ বলিলেন, “আর কিছু দিন যাকৃ না ? এই এমন দুটো দুর্ঘটনা ঘটে গেল, এখনই আবার বিয়ের ধুম কি বাড়ীতে মানাবে ?” গৃহিণী বলিলেন, “ন গো তুমি আর বাগড় দিও না। এই বিয়েট হয়ে গেলে আমি ষেন একটু নিশ্চিম্ভি হই । “কামিনী-ঠাকরুশ ত নাক