পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 סכא জানে, ধানগাছের গোড়ায় খাল বিল পুকুরের জল সেঁচা আর গাছ ব’য়ে ধারাপাত, ফলে এক নয়। ঋগ বেদের ঋষি বৃষ্টিকে অমৃত মনে ক’রতেন। পঞ্জাবে বৃষ্টি অত্যস্ত অল্প হয়, কিন্তু যেটুকু হয় সেটুকু অমৃত। ধান্যাদি শস্যের প্রতি অমৃত । মামুষে নদীর ও কুআর জল পেত। দেখছি, শুষ্ক-বায়ু নীরস-মৃত্তিকা বাকুড়ার ধান্যাদির প্রতিও অমৃত। হঠাৎ মনে হতে পারে জমি দু-বছর প্রায় পতিত ছিল, রৌদ্র ও বায়ুর গুণে মাটি তেজস্কর হয়েছিল। কিন্তু বাকুড়ার মাটি মাটিই নয়। বাঁকুড়া জেলার সব জায়গায় নয়। পূৰ্ব্ব ভাগের মাটি ভাল, কিন্তু তিন ভাগ এইরূপ। মোট বালি, পাথুরে বালি, ছোট কোচ, এই সব মিশিয়ে তাতে শতকে দুই তিন ভাগ মৃত্তি থাকলে যে মাটি হয়, বঁকুড়ার টোংরা জমির মাটি এইরূপ। মুক্তি নাই ; রৌদ্র বায়ু ও বিশ্রামফলও নাই । কোচপাথরকে হাজার রোদ খাও/ক্ট, সে স্ফটিক পাথরই থাকে। কচুর মত দেখতে এই হেতু নাম কোচপাথর। গুড়া ক’রলে খরশাশ বালি হবে। পাথুরে বালি চালের মত বড়। ধারা সর্বদা জুতা পরে’ বেড়ান, তারা এই সুচ্যগ্র বালি ও স্বচ্যগ্র কোচপাথরের উপর দিয়ে ছুপা চলতে পারবেন না । অনেক চাষী ম’ষ দিয়ে লাঙ্গল করে। বড় বড় ম’ষ ; বর্ষ পড়বার কিছুদিন পরে দেখি, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। জমির খরশাণ বালি ও কোণাল কোচপাথরে চলে’ ম'ষের খুরের তলায় ঘা হয়, ম’ষ চ’লতে পারে ন; } বাঁকুড়া জেলার সীমা, চ-অক্ষর উপর নীচে করলে যেমন দেখায়, তেমন । এর পশ্চিমে চ-এর সোজা রেখা, ডাইনের কোণ বর্ধমান জেলায় ঠেকেছে । পশ্চিম ভাগ বিদ্ধ্যাচলের পূর্বপ্রাস্ত । কোথাও মাটির সোসর, কোথাও বা কিছু নীচে পাতা আছে। পর্বতের অসংখ্য শিরা, কোথাও উত্তরদক্ষিণে, কোথাও কোণাচে রয়েছে। কামরাজার যেমন শিরা, পাহাড়েরও তেমন শিরা। সে শিরাই ভেঙ্গেচুরে ভাঙ্গা i::اح ७rरना ** ১৩৪৪ জুৰ গুণ ৩৭গ نامه ইং ১৯৩৪, ৩৫, ৩৬ সালে বাকুড়া নগরে বৃষ্টিমান ডাঙ্গা থাকলে ডহরও থাকবে । পশ্চিমভাগ ডাঙ্গা ও ডহর, ডহর ও ডাঙ্গা । পাতোৎপাত । এখানে ডাঙ্গার নাম তড় ( তট ), আর বাকুড়া জেলার সংস্কুতে হয়েছে । ডহরের নাম সোল ( জোল ) । ডাঙ্গার ঢালু পাশের নাম বাইদ ( পাতী ) । তড়ার ও বাইদের গড়ানি ও ধোমুটি পড়ে' ডহরের কতকটা ভরাট হয়েছে। বাইদের ক্ষেত পরে পরে নেমে নেমে সোলে পড়েছে। যা কিছু ধান হয়, এই সোল জমিতেই হয় । বাইদে আউশ হয়, কিন্তু নাম মাত্র। আর বিস্তীর্ণ তড়া পড়ে' আছে । তাতে কাতিক মাস পর্যন্ত ঘাস দেখতে পাও যায়। বাইদেও তাত। তার পর শুষ্ক মরুভূমি। আমি এই নিস্তেজ মরুভূমিকেই টোংরা ( তুঙ্গ ) জমি বলছি । এ সব জমিতে বৃষ্টিজল দাড়ায় না। বাধ অীলের নীচে দিয়ে নীচের সোলে চলে যায়। সে সঙ্গে মাটিতে যে একটু দ্রাব্য পদার্থ থাকে, যার গুণে ধান হয়, তাও চলে যায় । এ সব জমি কৃষিকমের যোগ্য নয় । অল্পদিন পূর্বেও জঙ্গল ছিল ; এখন লোকে পেটের দায়ে সে জমির বালি ও পাথর কামড়াচ্ছে। এইরূপ জমিরই ধানগাছ ও ফলন দেখে আশ্চর্ষ হয়েছি । সাধারণ বছরে সোল জমিতে যেমন ধান হয়, এই নিস্তেজ পাথুরে বাইদ জমিতেও তেমন হয়েছিল । সে ধান অবশ্য আউশ । কিন্তু কিসের গুণে ? সন ১৩২২ সালে ছুর্ভিক্ষ হয়েছিল। সেই একই কারণ,