পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NSBの কথা স্মরণ করিয়া মাথা তাহার আরও নীচু হইতে চলিল । হেমন্ত তাহার অবস্থা দেখিয়া বলিলেন, আচ্ছা তুমি এখন আসে, মা। স্বহাস চলিতে আরম্ভ করিল, স্বরম পোড়ারমুখী আবার এমন কাদার পথেও তাঁহাকে আলতা পরাইয়ু দিয়াছে । হেমন্ত জলচৌকীতে বসিয়া তামাক খাইতেছিলেন, ছোটবোঁয়ের দিকে চাহিয়, একবার ধূম উদগীরণ করিয়৷ পরম স্নেহে বলিলেন, মা লক্ষ্মী ত অামাগারে বাড়ী বাধাই পড়িছেন মেজবেী—আমাগারে আবার ভাবনা কি ? মেজবোঁয়ের মুখ ভার হইয়া উঠিল, স্বহাস মুখ না ফিরাইয়াও তাহা বুঝিতে পারিল--ত উঠুক,—ভাস্বরের স্নেহে তাহার চিত্ত ভরিয়া উঠিয়াছে । রান্নাঘরে যাইতে যাইতে সে শুনিতে পাইল ভাস্কর জিজ্ঞাসা করিতেছেন,— সে পাগলাড়' আসবি কবে –কিছু জান ? —কেডা জানে । —চিঠিপত্তর ল্যাখে নি কোন ? —তাই বা জানবো কেমন ক’রে আমি ? —থিয়েটার হচ্ছে না গায়ে ? -छ्रे । সুহাস একটা প্রাণখোল। হাসি শুনিতে পাইল,--তা’লি আর না আসে পারতিছেন না বাছাধন ! স্বহাসের মনটার কোথায় যেন একটু স্বপ্তি হুইতেছিল : অস্তত: একটি লোক এ-বাড়ীতে তাহার পক্ষে বলিয় বোধ হইতেছে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা কাদা-ভরা উঠানেই আনন্দে নৃত্য করিয়া বেড়াইতেছে। তাহাদের নূতন কাপড় আসিয়াছে। মাণিক পিছন হইতে স্বহাসের গলা জড়াইয়া ধরিয়া বলিল, কাকীম, কাকাবাবু আসপি কবে ? কাকাবাবু থিয়েটার করবি নে এবার ? মুহাস তাহাকে কোলে লইয় তাহার গালটা একবার টিপিয়া দিল । উষা রান্নাঘরের বারান্দার এক পাশে বসিয়া চুল বাধিতেছিল, দাতের এক পাশ দিয়া চুলের ফিতা কামড়াইয়া ধরিয়া আর এক পাশ দিয়া কহিল, কাকীমা তোমার একথান খাস বুটিদার আইছে,-নীল রঙের। আমার একখানা জাইছে চাপ রঙের। বড় কাকাবাৰু প্রবাসী ১৩৪৪ বললেন—তোর ছোট কাকার রং ফরসা—তার নীল রঙে মানাবি ভাল । এক জন তাহাকে এমন করিয়া আদর করে মনে মনে— স্বহাসের আনন্দে কাল্লা পায়—fচরদুঃখিনী সে, আজ কত দিন পরে তাহার বাপের কথা মনে পড়ে । ভাস্বরের এমন স্নেহ পাইয়াছে সে, মেঞ্জবোঁয়ের সকল অপরাধ সে ক্ষম করে, সকালের সকল গ্লানি ভুলিয়া যায়। মেজবোঁয়ের রাগ আর তেমন নাই, সুতরাং এবেল আর সে জিদ করিয়া রাধিতে যাইবে না, সুতরাং মহাস রাত্রের রান্নার জোগাড় করিতে উঠিবে, এমন সময় এক জন ভিখারী একই কাদা মাখিয়া “হরেকৃষ্ণ ” বলিয়া উঠামে দাড়াঈল । নীচের কাপড় তার উঠাইয় গোজ, সুতরাং কাদা ধুইবার প্রয়োজন বোধ ন করিয়াহ কোমংে সে বেহালায় টান দিল,—-চারি দিক হঠতে ছ লেপিকে ছুটিয়া আসিল । বৈরাগী বেহালায় স্বর দিয়া ধfরল— -ওয়ে ছিঙ্গেম সথ । বড়বে। পশ্চিমের ঘরের বারান হইতে বলিয়। বরোগী-ঠাকুর শোন ! বৈরাগী থামিল । —এ্যাটুট আগমনী গাও দেখি । বৈরাগী বলিল, মা ঠাওরুন, তালি এক ঘটি জল অা: একখান! অসিম বুলি । উষার চুল বাধ হইয়াছিল, সে এক ঘটি জল আর একটা ছোট জলচৌকী আনিয়া দিল । বৈরাগী পা ধুইয়। আসনে বসিয়া চক্ষু মুদ্রিত কfরয় বেহালার সঙ্গে গাহিল— গিরিবপ্ন হে, এঃ ত শরৎ আইল, &মারে আনিবে কবে রূপে তাই বলে বলে হেম শিশির বসত্ব, গ্রীষ্ম বংশগরি অv পঞ্চ ঋতুতে পঞ্চভূ-প্রায় হয়েছিলাম—- দৈৰ্ম্মেতে পাইব কণ্যে, প্রাণ ছিল সেই চপ্তে হেরিয়ে হইব ধন্তে সেই শ্ৰীমুখ মণ্ডল । গিরিকর হে-এ -- বৈরাগীর গলা ভাল, গায়ও খুব দরদ দিয়া, গুনিয়া বয়স্কের চোখের জল মুছিল । স্বহাস উঠিয় রান্নাঘরে গেল । সেদিন রাত্রে মুহাসকে উত্তরের ঘরে গুইতে হইল,—