পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষাঢ় বিবিধ প্রসঙ্গ-পঞ্জাবে জলসেচনের ব্যয় 8○○ কংগ্রেসনেতারা যাহাই বলুন, কংগ্রেসের প্রতি মুসলমানদের মনের ভাব কিছুই বদলায় নাই—যদিও ছাত্রশ্রেণীর কতকগুলি ভাবপ্রবণ সরলচিত্ত যুবা মুসলমান, সংসারের অভিজ্ঞতা না-থাকায়, স্বাধীনতার উন্মত্ত ধারণার প্রভাবে কংগ্রেসের দিকে আকৃষ্ট হইতেছে। তাহার পর সৰ্ব মোহাম্মদ য়াকুব বলিতেছেন – “Since the advent of Mr. Gandhi the Congress has become satur" col with Hindu culture, Hindu ‘ivilisation and li indu sentiments. In the present 'ircumstances the Moslems will find it difficult to sign the Congress creed, but we are prepared to collaborate on terms of equality 'o-operate and with any political organisation in the country which aims at the elevation of our status to that of equal pariner in the British Commonwealth of

  • izations by constitutional means,”- Reuter

তাৎপর্ঘ । কংগ্রেসের কার্য্যক্ষেত্রে গান্ধীজীর আবির্ভাবের পর ঈষ্টতে কংগ্রেস ঠিন সংস্কৃতি হিন্দু সভ্যতা ও হিন্দু ভাবধারায় ভরপুর ঠইয়াছে । বৰ্ত্তমান অবস্থায় মুসলমানদের কংগ্রেসের মতসমূহ গ্রহণ কর; কঠিল । কিন্তু যে-কোন রাষ্ট্রায় দল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে ভারতবর্মকে অন্যান্স অংশের সমান মৰ্যাদাবিশিষ্ট অংশীদার করিতে আইনানুগ উপায়ে চেষ্টা করিবে, আমরা তাঙ্গার অন্য সভ্যদের সমান গণিত হইলে সহযোগিতা করিয়া সহশ্ৰমী ইষ্টতে প্রস্বত ।" সৰ্ব মোহাম্মদ যাহাই বলুন, প্রকৃত কথা এই, যে, গান্ধীজী কংগ্রেসনেতা হইবার পর হইতে কংগ্রেসের মুসলমান-অনুরাগ বাড়িয়ছে। মুসলমানদিগকে কংগ্রেসনেতারা খুশি করিবার অত্যধিক চেষ্টা করায় হিন্দু মহাসভার কোন কোন নেতা ংগ্রেসকে হিন্দুবিরোধী পৰ্য্যস্ত বলিয়াছে। আমরা এই অভিযোগ সত্য মনে করি না। কিন্তু ইহা সত্য, যে, মুসলমানদিগকে খুশি করিবার জন্য কংগ্রেস গণতান্ত্রিক ও স্বাঞ্জাতিক নীতির বিপরীত আচরণ করিয়া সাম্প্রদায়িক বাটোয়ার সম্বন্ধে অ-গ্রহণ ও অ-বর্জন রূপ সিদ্ধাস্ত প্রকাশ করিয়াছিলেন । সৰ্ব মোহাম্মদ য়াকুব এখন ফেকারণে গান্ধীপ্রভাবিত ও গান্ধীচালিত কংগ্রেসে মুসলমানের যোগ দিতে পারে না বলিতেছেন তাহা সত্য ন হইলেও সত্য বলিয়া মানিয়া লইয়া জিজ্ঞাসা করি, কংগ্রেসে গান্ধীজীর আবির্ভাবের আগে তাহাতে মুসলমানেরা কেন যোগ দেন নাই ? কেন অতি অল্প সংখ্যায় যোগ দিয়াছিলেন ? এখন মুসলমানেরা যেরূপ ●やーン" রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারেন তিনি বলিতেছেন, ভারতীয় জাতীয় উদারনৈতিক সংঘ ঠিক সেইরূপ দল। তাহাতে সকল ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের লোক যোগ দিতে পারে, এবং তাহাতে মুসলমানকে বা অন্য কোন ধৰ্ম্মাবলম্বী লোককে হিন্দুদের চেয়ে বা অন্য কোন ধৰ্ম্মের লোকদের চেয়ে নিকৃষ্ট মনে করা হয় না; সকলকে সমান ও সমনাগরিক মনে করিয়া সমান অধিকার দেওয়া হয় । ( কংগ্রেসেও সকল ধৰ্ম্মের লোকদের মৰ্য্যাদা ও অধিকার সমান । ) উদারনৈতিক সংঘে মুসলমানের কেন যোগ দেন নাই ? প্রকৃত কথা এই, যে, সৰ্ব মোহাম্মদ য়াকুবের মত মুসলমান নেতারা নিজেদের প্রতি ও নিজেদের সম্প্রদায়ের প্রতি গবন্মেন্টের অনুগ্রহ বজায় রাখিতে চান । এই জন্য র্তাহারা এমন কোন রাষ্ট্ৰীয় প্রচেষ্ট ও আন্দোলনের সহিত যুক্ত হইতে চান না, ইংরেজ আমলাতন্ত্রের ক্ষমতা হ্রাস এবং ভারতবর্ষের উপর ব্রিটেনের প্রভুত্ব হাস যাহার লক্ষ্য । পঞ্জাবে জলসেচনের জন্য আবার নয় কোটি টাকা ব্যয় ১৯৩৩-৩৪ সাল পর্য্যন্ত কুষিক্ষেত্রে জলসেচনের জন্য লাভজনক (productive , কৃত্রিম খাল খননে মাম্রাজে ১৪,৭০,০২,৩৬৭ টাকা, বোম্বাইয়ে ২৬,৬২,৮২,৬৮৮ টাকা, বঙ্গে ১,১০,৩৭,০৫৩ টাকা, আগ্ৰা-অযোধ্যায় ২২,১৮,২০,৯৬৯ টাকা, এবং পঞ্জাবে ৩৩,৭০,৫৭,০৬৭ টাকা মূলধন ব্যয়িত হইয়াছিল। তাহার পর ঐ উদেখে আরও কত মূলধন অন্যত্র ব্যয় করা হইয়াছে, তাহার হিসাব এখনও বাহির হয় নাই। কিন্তু ইহা জানি, বঙ্গে এমন কিছু ব্যয় হয় নাই যাহাতে বাংলা দেশ জলসেচনবিষয়ে উল্লিখিত প্রদেশগুলির অতি সামান্তরূপেও সমসুবিধাভাগী হইয়াছে মনে করিতে পারে। অথচ বঙ্গের বহু জেলায়—বাকুড়া, মেদিনীপুর, বীরভূম প্রভৃতিতে—জলের অভাব খুবই অনুভূত হয়। বঙ্গের প্রতি সুনজরের অভাবের নানা কারণ আছে। সবগুলি জানি না, যাহা অম্বুমান করি তাহাও বলা সহজ নয়। একটা কারণ এই ধারণা, বাংলা জলের দেশ, নদীর দেশ। সে কথাটা পূৰ্ব্ববঙ্গের কয়েকটি জেলার পক্ষে সত্য, অধিকাংশ জেলার পক্ষে সত্য নহে। আর একটি কারণ, ব্রিটেনের,