পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপানের পুষ্পোৎসব ঐচারুবালা মিত্র জাপানকে ‘ল্যাণ্ড অব ফ্লাওয়াস’ বা ফুলের রাজ্য বলা হয়। কারণ বার মাসঙ্গ এখানে কোন-না-কোন ফুল ফুটে দেশটাকে আলো করে রাখে। এসব ফুল যে শুধু লোকের বাগানে ফোটে তা নয়, মাঠে-ঘাটে, বনে-জঙ্গলে, পাহাড়ে-পৰ্ব্বতে, রাস্তার দু-ধারে, নদীর দু-তীরে এক-এক ঋতুতে এক-এক রকম ফুল ফুটে দেশটাকে ফুলের রাজ্য ক'রে তোলে । একএকটি জায়গা বিশেষ বিশেষ ফুলের জন্য বিখ্যাত। প্রতি মাসে যথন যেখানে ফুল ফোটে জাপানীর সুন্দর স্বন্দর পোষাক প'রে দলে দলে সেখানে যায় ফুলের উৎসবে । ১লা জাটুয়ারি এদেব নববর্ষের উৎসব । এই সময় প্রচও শীতে কোন গাছে ফুল ফোটে নী, দু-একটি গাছ ছাড়া কোন গাছে পাঙ থাকে মা ! সেজন্য তার ফুলের বদলে বঁাশ ও পাঠ নগছি কলাগাছের মত দরজার দু-পাশে লাগিয়ে বাড়ীঘর সাজায় । জাপানে পাইনগাছ দীর্ঘজীবন ও সৌভাগ্যের KKS BB BBBB BBS DDD gCC BBB BB BBB ও সাধু ব্যবহারের সহিত তুলনা করা হয়। নববর্ষে প্রত্যেক বাড়ীতে বামন-জা শুধু পাহন, বঁাশ ও প্লামগাছ চীনেমাটির BLLLL BSBD BBBS M BBBB SKkS BBBDS g মথসেী ভাগ্য-সম্পদের প্রতীক। এই গাছগুলি এক হাত দেড় হাতের বেশী লম্ব হয় না, সামান্ত মাটিতে অনেক দিন পধ্যস্ত জীবিত থাকে এবং সেই বামন প্লামগাছে কিছুদিন পরে স্বন্দর ফুল ফোটে । ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এদের আসল ফুলের উৎসব আরম্ভ হয় । এই সময় প্লামফুল ফোটে, শুকনে ডালে হঠাৎ এক দিন স্বন্দর শাদা ফুলগুলি ফুটে চারি দিক আলোকিত করে। দুরন্ত শীতে যখন চাfর দিক বরফে ঢাকা, সেই সময় এই ফুল ফোটে ব'লে একে বলেছে সাহস ও অধ্যবসায়ের প্রতীক । এই সকল গুণ ষেন পায় এই আশা ক'রে জাপানে অনেক মেয়ের নাম রাখে ‘উমে' অর্থাৎ প্লামফুল। সমূজের في مسسatbr ধারে আতামী বলে স্থান প্লামফুলের শোভার জন্তে বিখ্যাত ; ছুটির দিনে সবাই প্লামফুলের উংসব করতে সেখানে যায়। টোকিওর কামাইদোভে সিণ্টে মন্দিরে অনেক কালের পুরনো প্লামগাছকে সযত্নে এমন ভাবে তৈরি করেছে যে, মাটিতে লতার মত একে-বেঁকে গিয়েছে, সাপের মত দেখতে মনে হয় । কতকগুলি গাছের ডালপাল থানিকট লতিয়ে খানিকট। উপর দিকে মাথ উচু করে আছে, সেজন্য তাদের নাম দিয়েছে অৰ্দ্ধশায়িত ড্রাগন । তার পর মার্চ মাসে পীঠস্কুল—এ হচ্ছে শাস্থি, সৌম্য, নম্রতা, বিনয় ও সৌজন্তের প্রতীক । এই মাসে হিনী-মাংহুরী’ ব। মেয়েদের ফুলের উৎসব হয় ; পাঁsফুলের সঙ্গে এছ উংসবের সম্বন্ধ ঘনিষ্ট । জাপানী মেয়েদের পুতুলের উৎসব পাচফুল ছাড়া সুসম্পন্ন হয় না, মেয়ের নিজের জীবনেও এই ফুলের মত শাস্ত, নম্র ও বিনয়ী হবার কামনা কঃে । এপ্রিল মাস আসে চেরাফুলের ঐশ্বৰ্য্যসম্ভার নিয়ে । চেরৗফুল ছাড়া জাপানকে কল্পন, করা যায় ন; ; জাপানের আর একটি নাম তাই চেরাল্যাও । পৃথিবীর কোথাও চেরাফুলের এ রকম সৌন্দধ্য দেখা যায় না । দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার দর্শক জাপানে আসে শুধু এই চেরীফুলের সৌন্দৰ্য্য উপভোগ করতে । এখানে যত বিভিন্ন জাতের চেরীগাছ আছে, অন্ত কোন দেশে সে রকম দেখতে পাওয়া যায় না। পাহাড়েপৰ্ব্বতে, বনে-জঙ্গলে চেষ্ট্রীর বন ত আছেই, তাছাড়া যাতে সকলে সব জায়গায় এই ফুল ফুটভে দেখে আনন্দ লাভ করতে পারে, সেজন্ত বহুকাল থেকে এর এই চেরী গাছ শহরের মধ্যে, রাস্তার দু-ধারে, বাগানে, পার্কে, মন্দিরের চত্বরে, নদীর দু-ধারে সারি করে পুতে দ্বিয়েছে। নানা উপায়ে ফুলগুলিকে আরও স্বম্বর করবার, নানা জাতের স্থল স্বাক্ট কৰাৰ চেষ্ট করেছে। এৰ টােকিও,