পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ঞ্জণৰe পুনরুদ্ধার ও রঙ্গ আততাৰী জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ छाद्रा इहtउ भांद्रिरव, नडूव नरश् । আগু কোন দেশের সাহায্য ব্যতিরেকে চীনে ও জাপানে গুণয়সঙ্গত সৰ্ত্তে সন্ধি হইলে সকলের চেয়ে ভাল হয় । আমাদের প্রতিবাদ মিথ্যা হইল অনেক মাস পূৰ্ব্বে যখন লর্ড জেটল্যাও বলিয়াছিলেন, ভারতীয় নেতারা যদিও এখন নূতন ভারতশাসন আইনটি অগ্রহণীয় বলিতেছেন তথাপি তাহারা উহা গ্রহণ করিবেন ৪ তদনুসারে দেশের কাজ চালাইবেন, তখন আমরা তাহার কথার প্রতিবাদ করিয়াছিলাম। কিন্তু তাহার কথাই সত্য হইল। রাজনীতিব্যাপারীদের মানসিক বিবর্তন তিনি আমাদের চেয়ে ভাল বুঝেন । নিষিদ্ধ পুস্তক—সেকালের ও একালের একটা ধারণা চলিত অাছে, এবং তাহার সমর্থক শাস্ত্রবচনও আছে শুনিয়াছি, যে, শূদ্র ও নারীদের বেদ শ্রবণ ও অধ্যয়ন নিষিদ্ধ। পুথিতে ও-রকম নিষেধ থাকিলেও, বাস্তবিকই কোন কালে প্রত্যেক নারী ও প্রত্যেক শূত্র বেঙ্গ শ্রবণে ও অধ্যয়নে বঞ্চিত ছিল কি না জানি না । একালে ত ও-নিষেধের কোন মানেই নাই । কারণ, বেদ ছাপা হইয়া গিয়াছে ; যে-কেহ কিনিয়া বা সাধারণ লাইব্রেরীতে গিয়া তাহা বা তাহার অনুবাদ পড়িতে পারে। বেদের জ্ঞান কেন দ্বিজদের মধ্যে আবদ্ধ রাখিবার চেষ্ট হইয়াছিল, তাহার কারণ আলোচনা করিব না । কেবল দ্বিজদের বিরুদ্ধে একটা ধে স্বার্থপরতাপ্রস্বত অভিসদ্ধি আরোপ করা হুইত, এবং হয়ত এখনও হয়, তাহারই উল্লেখ মাত্র করিব—তাহার সপক্ষে বা বিপক্ষে কিছু বলিব না। সে অভিসন্ধিটা এই, ষে, বেদ জানিলে মাতুবগুল। বড় হয়, অতএব শূদ্র ও নারীদিগকে বড় হুইবার সেই উপায় হইতে বঞ্চিত রাখা চাই ! আজকাল আমাদের গবষ্মেন্ট কোন কোন ইংরেজী বহি ভারতবর্ষে আপিতে দেন না, তাহা আনা নিষিদ্ধ । যদি হঠাৎ আসিয়া পড়ে, তাহ হইলে গবন্মেস্ট তাহ জানিতে পারিলে যেখানে পান বাজেয়াপ্ত করেন । ইহার কারণ কি ? ধরিয়া লওয়া যাক, সেকালের দ্বিজের অদ্বিজ ওঁ নারীর পাছে মানুষ হইয়া যায় সেই জগুই তাহাদিগকে বেদের জ্ঞানে বঞ্চিত রাখিতেন । একালে কিন্তু যে-সব ইংরেজী বহি গবন্মেটি "নিষিদ্ধ” পৰ্য্যায়ে ফেলেন, সেগুলি ত বেদ নয়—যদিও বেদ ছাড়া অস্ত বহি পড়িয়াও লোকে মামুঘ ইয়। এবং আমরা পাছে মানুষ হইয়া যাই সে ডয়ে গবন্মেটি সেগুলি নিষিদ্ধ কেন করিতে যাইবেন ? সরকার বাহাদুরের বিবিধ প্রসঙ্গ—নিষিদ্ধ পুষ্টঙ্ক—সেকালের ও একালের ఆa:ND যদি এরূপ অভিপ্রায় থাকিত যে জামরা যেন মাহুষ নHাই, তাহা হইলে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল, পাঠশালা, ১৯ee সালের ভারতশাসন আইন—এসব ত কিছুই হইতে দিতেন না। তাহা হইলে এই সকল বহি ভারতবর্ষে কেন "নিষিদ্ধ" হয় ? বহিগুলা পাঠকদের পক্ষে অনিষ্টকর ? যদি তাহাই হয়, তাহা হইলে সেগুলা ত ইংরেজ পাঠকদের পক্ষেও অনিষ্টকর। কিন্তু ইংলণ্ডে ত সেগুলা নিষিদ্ধ নয় । যেঅনিষ্ট হইতে ইংরেজ গবক্সেণ্ট জামাদিগকে রক্ষা করিতে চান, সে-অনিষ্ট হইতে নিজেদের জাতভাই ইংরেজদিগকে রক্ষা করিতে চান না, তাহা ত হইতে পারে না। তাহা হইলে বোধ হয় বহিগুলা “নিষিদ্ধ” করা হয় এই আশঙ্কায় যে তাহ পড়িয়া আমরা গবয়েণ্টট উন্টাইয়া দিতে বা তাহার আমূল পরিবর্তন করিতে চেষ্টা করিব। ই, এটা একটা ব্রিটিশ গবন্মেন্টের ভাবিবার কথা বটে। কিন্তু এখানেও একটা খটকা বাধিতেছে। গবক্সেণ্ট উন্টাইয়া দিবার বা অস্তুতঃ তাহার আমূল পরিবর্তন করিবার শক্তি আমাদের চেয়ে ব্রিটেনের লোকদের বেশী আছে ; এবং তাহা করিবার পালেমেন্টারী আইনসঙ্গত ক্ষমতা আমাদের কিছুই নাই, ব্রিটেনের লোকদেরই আছে । সুতরাং কোন বহি পড়িয়া পাঠকদের যদি ভারতবর্ষের গবন্মেটি বদলাইবার ইচ্ছা জন্মে, এবং এরূপ পরিবর্তন ঘদি গবন্মেন্টের মতে অবাঞ্চনীয় হয়, তাহা হইলে বহিখানা ভারতবর্ষের চেয়ে ইংলণ্ডেই "নিষিদ্ধ" বেশী হওয়া উচিত। এই যুক্তির বিরুদ্ধে এই কথা বলা হইতে পারে, ইংরেজ পাঠক কেন ভারতবর্ষে ব্রিটিশ গবন্মেন্টের উচ্ছেদ বা পরিবর্তন চাহিবে ? তাহার উত্তরে প্রশ্ন করা যাইতে পারে, সব ইংরেজই কি সাম্রাজ্যবাদী ? যাহা হউক, এ নিষ্ফল আলোচনা এখানেই শেষ করি । যে-কারণে এত কথা লিখিলাম, তাহ। এই, যে, রেজিস্থান্ড রেমন্ডস্ নামক এক জন ইংরেজের লেখা “The White Sahibs of India" (“ভারতবর্ষের শ্বেত সাহেবান") নামক একখানা বহির এদেশে আগমন ও আনয়ন নিষিদ্ধ হইয়াছে । এই গ্রন্থকারের মারফৎ গান্ধীজী কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে উহার প্রসিদ্ধ চিঠি তৎকালীন বড়লাটকে পাঠাইয়াছিলেন । সম্ভবতঃ বহিখানা এদেশের সরকারী ও বেসরকারী ইংরেজদের পক্ষে অপ্রীতিকর । সেই জন্ত তাহা নিষিদ্ধ হইয়াছে। কিন্তু মেয়ে বিবির “মাদার ইfওয়া”ও ত আমাদের পক্ষে অপ্রীতিকর । তাঁহা কেন নিষিদ্ধ হয় নাই ? উত্তরে কোন “নিরপেক্ষ" জাতির লোক বলিতে পারেন, ভোমরা ও ইংরেজরা কি সমপর্ধ্যাম্বের জীব ? তোমাদের হৃদয়-মন ( যদি থাকে ) কি ইংরেজদের হৃদয়-মনের মত ?