পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سواجهوخ থাকবে না। এই পৃথিবীর যে-কোন প্রাস্ত থেকে আমি তাকে খুজে বার করব। তবেই সে আবিষ্কারের গৰ্ব্ব হবে আমার । —সে ত ঠিক কথা । —এ-রকম অনেক নূতন কথায় ওর প্রত্যেকটি অক্ষর ভৰ্ত্তি। না, না, আমি আপনাদের রামা শুামার মত— সহজ হাততালির বুলি কপচাতে ভালবাসি না। নইলে সেদিন দেখেছিলাম কে এক দিগিস্ত্ৰ—ডিসূগাস্ট ! —আচ্ছ আজ উঠি, ত্রিদিববাবু। রাত হয়েছে । —চলুন আমিও ধাব ঐদিকেই । এর পরে ঠিক মাসখানেকই হবে বোধ করি । ত্রিদিববাবুর সঙ্গে আর দেখা হয় নি। অথচ মজা এই ষে লোকটাকে আমি এক দিন দেখলেও তাকে ভুলি নি। ওর চলা-বলার মধ্যে যেমন ছিল একটা স্বাতন্ত্র্য-স্বষ্টির চেষ্ট, তেমনি ওর চোখের মধ্যে দেখেছিলাম একটা বুভূক্ষুকে উকি মারতে। আমার কেবলই মনে হয়েছে এই লোকটা সাধারণের সামনে যা বলে—ওর সমস্ত বলা সেইটাই নয়, তার বাইরে এমন একটা কিছু সত্য আছে যেটার ও প্রাণপণে কণ্ঠরোধ ক'রে রেখেছে। নইলে ওর দৃষ্টির মধ্যে এত ক্লাস্তি কেন ? হঠাৎ এক দিন দেখা হয়ে গেল। হাতীবাগানের বাজারে ভদ্রলোক একটা ছেড়া গামছা নিয়ে বাজার করছিলেন...আচমকা আমার সঙ্গে দেখা । চেয়ে দেখলাম ডানহাতে একটা কচুপাতায় জড়ানো পয়স-ফুয়েকের কুচে চিংড়ি আর বঁ-হাতের মুঠোয় ধরা সেই জীর্ণ গামছাটি। তার ভেতর দিয়ে চার গাছি সঙ্গনে ডাট। মাখা উচু করে দাড়িয়ে । —বাজার হয়ে গেল ! আমি বললাম। ভদ্রলোক চমকে আমার দিকে চাইলেন। তার পর বললেন—আর বলেন কেন ? সারা জীবনে আমি নিজের বাজার কক্ষলো করলাম না, এখন পরের বোঝা ঘাড়ে পড়েছে। এক বুড়ী—মশায়, ওই ফুটপাথে আমাকে ধরে বসল—দয়া করে তার বাজারটা ক'রে দিতে হবে। এত লোক থাকতে জগতে হঠাৎ আমাকেই বা সে পরোপকারী প্রৰণসী b\లీ88 বলে ঠাওরাল কেন—বুঝতে পারলাম না । কিছু জানি মে দ্বাদ, মার্কেটিঙের আমি কিছু জানি নে। ওটা ছেলেবেলা থেকে চাকরদেরই কাজ বলে জেনে এসেছি। ডিস্গাস্টং ! থাক গে—কেমন আছেন ? —ভাল আছি । আচ্ছা আসি এখন। আপনার তো আবার আপিস ধেতে হবে—কেমন ? --আপিস । ত্রিদিববাবু এখানে আবার সেই রহস্যময় হাসি হাসিলেন – আপিস আমাকে যেতে হয় না। লাভ কি বলুন—উদয়াস্ত পরিশ্রম করে ? আমার বেদুইন কবিতাটায়ু আমি ঠিক এই আইডিয়াটাকেই ফোটাতে চেয়েছি। —আচ্ছ। আমি মাজ আসি ত্রিদিববাবু, আমার আবার আপিসের বেলা হয়ে যাচ্ছে । নমস্কার । —ও। আপনাকে বুঝি দৌড়তে হবে। আচ্ছা নমস্কার! আমি দেখি সেই বুড়ীট। আবার কোন দিকে গেল••• এর পরে আরও কিছু দিন কেটে গেছে। গ্রে স্ত্রীটের মোড়ে ট্রাম থেকে নামতেই দেখি ত্রিদিববাৰু মান চোথে চার দিকে চাইছেন । চুলগুলো রক্ষ—ঠোট দুটো শুকৃনে, কাপড়-জামাটাও বিশেষ পরিষ্কার নয় । —নমস্কার ত্রিদিববাবু! পেছন থেকে বললাম। —কে ? ওঁ, আপনি ! নমস্কার ! —এ রকম শুকনে মুখে দাড়িয়ে ষে । ব্যাপার কি ? —হঠাৎ একটু মুস্কিলে পড়েছি মশায়। অবগু, মুস্থিল আর কি ? বাড়ীতে গেলেই ম্যানেজ হয়ে যাবে। ই্যা বাই দি বাই, আপনার কাছে পাচটা টাকা আছে ? —আছে। কেন বলুন ত ? —তাহ’লে আমায় দিন। মানে, ব্যাপারটা কি জানেন ? সেই ষে বুড়ীট-ধার বাজার করে দিয়েছিলাম সেনি, সে আমার কাছে কিছু সাহায্য চেয়েছিল তাই। আমবি হয়েছে দু-দিন থেকে জর, চেহারা দেখছেন না ? হঠাৎ আঙ্গ বিকেলে মনে হ’ল, তাই ত বুড়ীটা হয়ত না খেয়ে আছে ! গুয়ে থাকতে পারলাম না, পাচটা টাকা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। কিন্তু এই মোড় অবধি এসে টের পেলাশ