পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

マラでF stances prepared to entertka mass petitions from convicted prisoners, particitlarly mass petitions on questions of broad policy of a general character, and accordingly they had no choice but to reject the petition in question. . তাৎপর্য্য । কোন অবস্থাতেই ভারত-গধৰ্ম্মেন্ট বিচারান্তে দোষী প্রমাণিত ও দণ্ডিত কয়েদীদের নিকট হইতে সমষ্টিগত বা দলবদ্ধ আবেদন গ্রহণ ও বিবেচনা করিতে প্রস্তুত নঙেন—বিশেষতঃ সাধারণ রকমের ব্যাপক শাসননীতিবিষয়ক প্রশ্ন সম্বন্ধে দলবদ্ধ আবেদন । সুতরাং য় আবেদন না-মঞ্জুর করা ভিন্ন ভারতগবম্মেন্টের গতাস্তর ছিল ন! ভারত-গবন্মেটি আণ্ডামানের আবেদনকারী বন্দীদের আবেদন এই কারণে না-মঞ্জুর, করিয়াছেন, যে, তহি। বিচারাস্থে দণ্ডিত বন্দীদের দলবদ্ধ আবেদন এবং তাহা সাধারণ রকমের ব্যাপক শাসন-নীতিবিষয়ক প্রশ্ন সম্বন্ধে আবেদন । আবেদনকারী বর্মীদিগের সমষ্টিগত আবেদন আগ্রাহা হইবার পর তাহারা যদি প্রত্যেকে ঐ আবেদন আলাদা আলাদা পাঠাইত ( এবং আবশুক হইলে তাহার ভাষা একটু পৃথক পৃথক করিয়া দিক্ত ), তাহা হইলে দলবদ্ধ ও সমষ্টিগত আবেদনের বিরুদ্ধে গবন্মেন্টের যে আপত্তি, তাহা খণ্ডিত ইষ্টত কি না এবং গবন্মেটি আবেদনগুলি গ্রহণ ও বিবেচনা করিতেন কি না জানি না। এক এক জনের আলাদা আলাদা দরখাস্ত যদি গ্রহণ ও বিবেচনার যোগ্য হয়, তাহ হইলে সেই দরখাস্তে বহু ব্যক্তি দস্তখত করিলে তাহা কেন সেই কারণেই অগ্রাহ হুইবে ? বরং অনেক লোক কোন প্রার্থন জানাইলে প্রার্থনাব বিষয়টি গুরুতর, ইঙ্গই ত মনে করা স্বাভাবিক । ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে ও পৃথিবীর সভ্যদেশসমূহে কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরিত লক্ষ লক্ষ লোকের স্বাক্ষরযুক্ত আবেদন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হয়। এক এক জনের পৃথক পৃথক প্রার্থনা বিবেচনা করা যদি ধৰ্ম্মনীতিসংগত ও বৈধ হয়, তাহ হইলে বা ব্যক্তির সম্মিলিত প্রাথন বিবেচনা করা ধৰ্ম্মনীতিবিরুদ্ধ ও অবৈধ হইতে পারে না। জেলের বাহিরের লোকদের সম্মিলিত প্রার্থনা বিবেচনা করা যদি ধর্থনীতিবিরুদ্ধ ও অবৈধ না হয়, তাহা হইলে বিচারান্তে দণ্ডিত বন্দীদের তদ্রুপ প্রার্থনা কেন বিবেচনার অযোগ্য হইবে ? আবেদনটি অগ্রাহ করিবার অন্য এই কারণ গবষ্মে স্ট નિર્વ প্রসঙ্গ—অণগুণমানে বন্দীদের প্রণয়োপবেশন ጫvoግ বলিয়াছেন, ধে, উহা ব্যাপক শাসননীতিবিষয়ক প্রশ্নসম্বন্ধীয়। কিন্তু উহা জমীর খাজনা, বাণিজ্যশুদ্ধ, বা এরূপ কোন প্রশ্ন সম্বন্ধুে নহে যাহার সহিত আগুামানের বন্দীদের বিশেষ কোন সম্পর্ক নাই ; উহা এরূপ প্রশ্ন সম্বন্ধে যাহার সহিত তাহাদের নিজের স্বথ দুঃখ ও ভাগ্য জড়িত । সে রকম বিষয়ে তাহারা কেন আবেদন করিতে পারিবে না বুঝা যায় না । তাহার পর ইহাও মনে রাখিতে হইবে, যে, ঐ বন্দীরা ষে অনুরোধ জানাইয়াছে, তাহা ভারতবর্ষের নানা প্রদেশ হইতে জনসাধারণের পক্ষ হইতেও করা হইয়াছে, এবং দুইএকটি অনুরোধ আতুযায়ী কাজ, তাহারা অন্তরোধ জানাইবার অাগেই, কোন কোন প্রাদেশিক গবন্মেস্ট কর্তৃক নিম্পন্ন হইয়াছে ; যেমন, রাজনৈতিক বন্দীদিগকে মুক্তিদান । পরে এই বিষয়ে আরও কিছু লিখিতেছি। আণ্ডামানের ১৮৭ জন বন্দী প্রায়োপবেশন করায় সৰ্ব্বত্র জনগণের মন বিক্ষুব্ধ হইয়াছে । তাহ প্রথম প্রকাশ পায়, কলিকাতার টাউন-হুলের বহু জনাকীর্ণ সভায় যাহাতে রবীন্দ্রনাথ তাহার মন্তব্য পাঠ করেন । মহাকবিরা যেমন তাহাদের অনেক রচনায় মানুষের হৃদয়-মনের নিগূঢ় কথা ব্যক্ত করেন, রবীন্দ্রনাথ সেইরূপ র্তাহার বাণীতে জনগণের মনের কথা তাহার অনন্তকরণীয় ভাষায় ব্যক্ত করিয়াছেন । বন্দীদের নিকট সভা হইতে এই টেলিগ্রাম গিয়াrছ, যে, দেশ তাহদের অমুরোধ সমর্থন করে । এই সভার পর কলিকাতায় অারও সভা হইয়াছে । ছাত্রদের শোভাযাত্রা হইয়াছে, এবং মফস্বলেও নানা স্থানে সভা হইয়াছে । সৰ্ব্বত্র যুক্তিপূর্ণ প্রস্তাব উপস্থাপিত ও গৃহীত হওয়া সমীচীন। প্রয়োপবেশক বন্দীদের সম্বন্ধে একটি প্রস্তাব বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় উপস্থাপিত হইয়াছিল । কিন্তু তাহার পক্ষে ৭৫ এবং বিরুদ্ধে ১৫০ জন সদস্ত ভোট দেওয়ায় তাহা অগ্রাহ হইয়াছে। প্রস্তাবটির পক্ষে অনেক সদস্ত—বিশেষত: ঐযুক্ত খামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়—যুক্তিপূর্ণ বক্তৃতা করেন। শুামাপ্রসাদবাবু, প্রস্তাবটি কি ভাবে দেখিতে ও বুঝিতে হইবে, তাহ ভাল করিয়া বুঝাইয়া দেন। তাহা সত্ত্বেও ধে এত বেশীসংখ্যক সদস্ত তাহার বিরুদ্ধে ভোট দেন, তাহার কারণ, উহাকে একটা সাম্প্রদাধিক প্রশ্ন, দলাদলির,