পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-- trసెa প্রবাসী SNలిgg পড়ে এবং সেই ব্যক্তি কলিকাতাশ্ব ঐ দৈনিকটির ‘সিমলাf5f'ks (Simla Letterএ) লেখেন, স্বভাষ বাৰু দিল্লীর হিন্দুস্থান টাইমসে মঞ্জিত্বগ্রহণ সম্বন্ধে ধারাবাহিক প্রবন্ধ লিখিতেছেন। এবং কলিকাতার ঐ প্রসিদ্ধ দৈনিকটি অপরিবর্ধিত আকারে ঐ সিমলার চিঠিটি ছাপেন ॥ অর্থাৎ কলিকাতার একখানা মাসিকে স্বভাৰ বাৰু ধাহ আগেই লিথিয়াছেন, তাহ সিমলার এক জন পত্রপ্রেরক কলিকাতার দৈনিকে হিন্দুস্থান টাইমসের প্রবন্ধ বলিয়া উল্লেখ করিলেন এবং কলিকাতার ঐ দৈনিক সিমলার লোকটির প্রদত্ত এই সংবাদ ছাপিলেন, যে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে দিল্লীর একটি কাগজ স্বভাব বাবুর একটি প্রবন্ধ ছাপিতেছে । যাহা হউক, সেদিন দেখিলাম, সেপ্টেম্বরের মডার্ণ রিভিয়ুতে স্বভাষবাবুর ইউরোপীয় রাষ্ট্রনীতি সম্বন্ধীয় প্রবন্ধটি আগাগোড়া কলিকাতার এই দৈনিকে উদ্ভূত হুইয়াছে। অবশ্ন, আমাদের অনুমতি লওয়া হয় নাই। তবে দৈনিকটি জয় করিয়া সৰ্ব্বশেষে আমাদের কাগজখানার নাম ছোট অক্ষরে ছাপিয়া দিয়াছেন । , পাশ্চাত্য দেশসমূহে ছোট ছোট প্রবন্ধাংশ বিনা অনুমতিতে উদ্ধরণীয় অনেকে মনে করিলেও সকলে তাহাও মনে করেন না। আদ্যোপাস্ত কোন প্রবন্ধ বিনা অনুমতিতে উদ্ধত করা তাহারা রীতিবিরুদ্ধ ও নীতিবিরুদ্ধ মনে করেন—বিশেষতঃ ঋণ স্বীকার মা করিয়া। কোন কোন কাগজের এ বিষয়ে নিয়ম খুব কড়া। আমাদের মনে পড়ে, অনেক বৎসর পূৰ্ব্বে জামাদিগকে কেহু অস্ক কাগজের একটি পরিহাসাত্মক রচনা পাঠাইয়াছিলেন, তাহাতে আচাৰ্য্য জগদীশচন্দ্র বস্থর উদ্ভিদের প্রাণ সম্বন্ধে গবেষণার বিখ্যাত “পঞ্চ” (“Punch") কাগজের পরিহাসাত্মক কয়েক পঞ্জি কবিতা উদ্ধৃত ছিল। আমরা তাহ ছাপিয়াছিলাম, এবং “পঞ্চ"-এর নামও ছাপিয়াছিলাম। কিছুদিন পরে “পঞ্চ” খেসারৎ স্বাধী করিয়া ও তাহা না দিলে মোকদ্ধমার ভয় দেখাইয়া এক চিঠি লেখেন এবং কলিকাতার সলিসিটর মর্গ্যান এও মর্গ্যান কোম্পানী “পঞ্চ"-এর পক্ষ হইত্তে আমাদিগকে হুমকী ও তাগিদ দেন। আমাদিগকে টাকা দিতে হইয়াছিল—কত মনে নাই, বোধ হয় তিন গিনি যদিও আমরা নিজে “পঞ্চ” হইতে কিছু উদ্ধৃত করি নাই, অঙ্ক কাগঞ্জ যাহা নিজের প্রবন্ধের মধ্যে উদ্ধত করিয়াছিল তাহা আমরা ছাপিয়ছিলাম এবং “পঞ্চ কাগজের ঋণও তাঁহাতে স্বীকৃত হইয়াছিল। আমরা মধ্যে মধ্যে আমেরিকা ও ইউরোপের কোন কোন দেশ হইতে মডার্ণ রিভিয়ু হইতে প্রবন্ধের অংশ উদ্ধৃত ‘ করিবার অল্পমতি চাওয়ার চিঠি পাই। কয়েক দিন পূৰ্ব্বে চেকোস্লোভাকিয়ার রাজধানী প্রাগ হইতে এইরূপ একখানি চিঠি একটি চেক ভাষার কাগজের প্রকাশকদিগের নিকট হইতে পাইয়াছি। তাহারা আমাদের কোন প্রবন্ধ আস্তেপাস্ত উদ্ধৃত বা অনুবাদিত করিবেন না, কেবল কোন কোনটির সার সংকলন করিবেন–র্তাহাও চেক্ ভাষায়, ইংরেজীতে নহে। এই অধিকারের জন্য তাহারা টাকাও দিতে চাহিয়াছেন। “শেষ ব্রহ্মযুদ্ধে বীর বাঙালী সৈনিক” ভাদ্র মাসের প্রবাসীতে এই নামে প্রকাশিত প্রবন্ধ সম্বন্ধে ঐীনেশচন্দ্র সরকারের মস্তব্য অঞ্চত্র মুদ্রিত হইয়াছে। : প্রবন্ধটির লেখক শ্ৰীঅজিতকুমার মুখোপাধ্যায়ের তৎসম্বন্ধে বক্তব্য বিলম্বে পাওয়ায় এখানে মুদ্রিত হইতেছে। লেখক মহাশয়ের বক্তব্য দেখিয়া স্পষ্টই মনে হইতেছে ৭. তিনি উত্তর-ত্রহ্মে অবস্থান পুৰ্ব্বক বিষয়টি যথাযোগ্য ভাবে আলোচনা না করিয়াই কেবলমাত্র একখানি পুস্তকের প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর নির্ভয় করিয়া এইরূপ ভাস্ত ধারণার স্থষ্টি করিতে প্রয়াস পাইয়াছেন। লেখকের যদি উত্তর-ব্রহ্মে গমন করিবার কোন সুযোগ ঘটে তবে তিনি দেখিতে পাইথেন, যে v ডাঃ রামলীল সরকার সম্বন্ধে তখার কিরূপ প্রবল জনরব বর্তমান রহিয়াছে। কোন বিদেশীয় ব্যক্তিত্ব সম্বন্ধে বিদেশে এই জনরব একমাত্র কোণ বিশিষ্ট কাৰ্য্যগতিকেই সম্ভবপর বলিয়াই মনে হয়। শুধু তাহাই নয়, আমি ডাঃ সংকরের বহু আত্মীথের নিকট হইতে যত দূর তাছার জীবনী সংগ্ৰহ করিতে পারিয়াছি, তাহাতে দেখা যায়, যে, রামলাল বাবু চীনদেশে বহু দিব্যাবধি চাকুরী করিয়া তৎসময়ের চৈনিক সামাজিক জীবন সম্বন্ধে বহু মূল্যবান তথ্যও সংগ্ৰহু করিখছিলেন । ইংরেজরা তিব্বতে স্বর্ণপ্রাপ্তির আশায় যে প্রচারকার্য চালাইতেছিল, উন্থাও ডাঃ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং তিনি নিজে চীনের বহুবিধ মূল্যবান ফটো গ্ৰহণ করেন এবং আমাকে প্রদ্ধের প্রবাসীসম্পাদক মহাপয় বগিয়াছেন, যে, ডাঃ সরকার তাছার পরবর্তী জীবনে শুদ্ধেয় সম্পাদক মহাশয়কে উক্ত বিষয় বলেন এবং গুহার গৃহীত ফটোগুলিও দেখাইয়াছিলেন। ইহার কতিপয় ফোটাে তখন