পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী—শ্ৰাবণ, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড গিরিও হবেই। তবে গথিক ধরণটাকে স্বাদর না বলে ত উপরোধ অনুরোধ আর খোসামোদ মিঃ বেটস উপায় নেই। মিশ্ৰীগুলো যে বাপু কি করে আন পাথর বেঞ্জাব খুলী। বুকের উপর দিয়া হাত দুখানা আড়াআড়ি খোদাই করে আনারস গোলাপ সব ফুটিয়ে তোলে আমি কবিয়া বুড়ো আঙুল দুটা ষ্টেকেটের হাতের মধ্যে বিয়া অ’ বই পাই যা দেখছি, জমিদার-মশায় বাড়ী সে চেয়ারে ঠেস দিয়া মাথাটা হেলাইয়া চোখ দুষ্ট আকাশ কথাসা বানিয়ে তুলবেন । এ বাড়ীর মতো বাড়ী । পালা পানে তুবিয়া ভাল হইয় বসিল এইবার গানের , বোধ হয় দেশে প্রায় কাল্পরই মিলবে না যেমন বাগান প্ৰত্যেকটা সুরে বুকি দিয়া দিয়া গান সুব্ধ হইল। গানের তেমনি ময়দান, েতমনি ফলের গাছ । বাজা জৰ্জও পেলে একটা পদই যে কতবা রিয়া। রিয়া আসিতেছিল তাঙ্গার ধন্ন হয়ে যান । ঠিকান নাই ; কিন্তু বৰ্তমান শ্ৰোতাদের কাছে এইটাই মিসেস বেলামী বলিল, “গছিকই বল আর বাই বৰ গানের বিশেষ গুণ ; ইহাতেই তাদের ধুয়াটা জনাই৷ তুলিবার -- ধ হইতেছিল বাপু বাড়ীটা বা আছে তার চাইতে ভাল যে কি হতে গানের নায়িকা যে তাহার পারে তা ত বুদ্ধি ন এই ত’ চোব্দ বছর হতে চ এ স্বামী ছিল এইটুকুই তাহারা এতক্ষণ ছিল ; কিন্তু ঠকানটা শাক-সবজি বীতে আচার মোরাধা করে কাটানি । তা যাক, কা কি বলেন ? জিনিস লইয়। তাহা না জানাতেও মিঃ বেলানীর সমালোচনার এই ধরণটার ও বিশেষ কিছু ব্যাঘাত হইতেছিল না সে বলিল, “গিরি ওটুকু বুদ্ধি-আছে, তিনি গানের প্রতি-পদের শেষে নায়িকার নামটাই বা কেন ত ক্ৰিষ্টঙ্কারের সথে কি কাজে হাত দিতে যান না। কৰ্ত্তার বা করিয়া উল্লেখ করা হইতেছিল সে মধুর বৃহতটুকু তেৰ ভাল লাগবে তা’ তিনি করবেনই তা জেনে রেখো । করাও তাহারা কোন দরকার বোধ করে নাই যাবার কথাও বটে। ভদ্ৰলোকের ছেলে, হাতে পয়সা সেদিনকার স্যার অচ্যাটা মি: বেটুসের গানেই সব আছে, কেনই বা পেছ-পা হতে যাবেন এস, এস, মি চেয়ে ভাল-রকম জমিয়াছিল । যাহা তাহার পর যে টেস, গেলাসটা ভরে নাও, কা-গিরি মঙ্গল ইচ্ছা করে কাজে চলিয়া গেল বেলানীখিগ্নি বোধ হয় স্বপ্নে দেখিতে তাদের সন্ধানে পান করতে হবে । তারপর তুমি একটা লাগিল ৰে চুন সুরকিতে তাহার বাসন- সন সব ছাৱা গান গাইৰে এখন । স্বর ক্ৰিষ্টফা ত’ আর রোজ ইটালী ইয়া গেল আর বাড়ীর যত চুড়ী ঘরের কাপট কিগুলা থেকে বাড়ী ফেরেন না । অাজকের দিনটা কিছু তুলিয়া গিয়া মিীদের প্ৰেমে পাগল হইয়া উঠিল। মিসেস করতে হয় ।” শাৰ্ণের চিন্তাট, আর-এক ধরণের । সে বোধ হয় তাৰিতে গৃহস্বামীর বাড়ী আসা উপলক্ষে তাহদের কৰ্ত্তব্যটা সক . ী ই স্বীকার করিল। মিঃ বেটসের গান কথাটাও যে একটা ছিল মিঃ বেট্‌সের ছোট খুঁড়েখানায় দুটিতে ঘর সংবাদ । কাজ এমন কথা কেউ মনে কৰিল না ; কাজেই পাতাই ঘরণী গিলি সাজিয়া সিলে দিবি হয়। সেখানে সে হানি হইল না। মিসেস শাপের মতে মিঃ বেটসের মতো ঠাকরণের ঘরের ঘণ্টা শুনিয়া ছুটতেও হইবে না, ফল পাকুড়ও অজয় ভোগ আর বুদ্ধি দেখলে যে-কোনো মেয়েমানুষ তাকে লুফে তাহাকে বিবাহ করিবার তবে সে নিজে অবং কাটেরিনা নিজের গুণে পীই তাহার বিদেশী ৰে অমন অসহায় শিশু কোনো কল্পনাও কয়ে নাই । আজ গান গাহিতে আপত্তি অসংখ্যা দোষগুলিকে দুবাইয়া দিল । করশাপাগিছি মালীকে গাহিৰায় জন্তু জেদাজেদি সুব্ধ আধ-আধি বুলি শুনিলে কে না তুলিয়া যায় ! সংসারের বি ঢাকা হইতে কৰ্তা গিছি অবধি কাহারও কাছে তাহাৰ কলি “এস, এস, মিঃ বেটস, ‘া-গিরি' সেই গানটা কর । ইটালীয় সব বাহাৱে গানের চাইতে আদরের আর সীমা নাই । ষ্টিফারের প্রিয় ভালকুজ্ঞা আমাদের এই পুরোনো গানটি শুনতে আমার হাজারগুণে মিসেস বেলামীর একজোড়া ক্যানারী পাখী, মিঃ বেটুসের ভাল লাগে।” বড় মুখেট,--সব কটাকে পিছনে ঠেলিয়া মেলিয়া নাই ৪ৰ্থ সংখ্যা] মাজ সৰ্থেলা । ইহার ফলে এীগের একটি মাত্ৰ দীৰ্ঘ মেয়ে তখন একবার মিসে শাপে কি একটা জাজা ভাৱায় দিনে তাহার হাজার কম নুতন অভিজ্ঞতা হইয়া গেণ । পছন্দসই হয় নাই। সেই রাগের শোধ তুলিবার জs মিলে শাহপর মিঠে-কড়া শাসন, লেডি শেভারেলের এক-দোয়াত কালি লইয়া ধাইমার সেলাইয়ের বায়ে ঢালি । জন্মকালো ঘরের শোভা দৰ্শন, স্তর ক্ৰিষ্টকারের পাৱে চড়িয়া দেয় । আর একদিন সে আদর কবিয়া নিজে পুলটা মোক-ঘোড়া বেণা, তাহার সঙ্গে আসল ঘোড়ার আস্তাবলে ং-করা মুখ চাটিতেছিল, লেডি শেতায়েল দেখিতে পাই দণ, কোনটাই বাদ পলি না এখানে শিকলে বাধা পুতুলটা কাঢ়িয়া নেন । দুই মেয়ে আমনি চট করিয়া একটা ভালকুলার ডাক শুনিয়া আদি না প্ৰথম না কাদিয়া বীরের চেয়াতে চড়িয়া দেয়ালের তাকের একটা কুণদানি স্থিা মতন রাষ্টিফারের পা চড়াইয়া বলিতে সুৰু কবি, মাটিতে ফেলিয়া দিল । জীবনে বোধ হয় এই একটি দিন নাকে কামাৰে না । মিসেস ৰেপানী বাগান হইতে রাগের মাথায় লে লেডি শোরেলের ভয় তাসুদ্ধ গোলাপ-কুল তুলিয়া আনিবাৰ সময় টিনার সামার হার দয়া চিরকালই দেবতা কৃপার স্বতন উপর হইতে চলে এক গোহাঁ দেওয়াতে হার গৰ্ব্ব অা আনন্দ কবিয়া পড়িত, কধনও মায়ের দেহের মতন আদরে সোহাগে, জা ধরে নাপর গোলাপ নত হইয়া ধরা দিত না । তাহা নদল-ইথার অভাব কোন শুকাইতে দেওয়া হইল, টিনা যখন তাহার উপর দিন ঘটে নাই, কিন্তু পেনের মধুৰ মূৰ্ত্তিতে তাহার বিকাশ করিয়া বনিয়া পড়িল । তাহার মাপার উপর কোন দিন হয় নাই। তাই টনা তাঁহাকে দুব হইতে করবৱ করি আরো ফুল চালা হইতে লাগিল তখন দেবতার প্রাপা শ্ৰদ্ধা ভক্তিই দিয়াহে ; আৱৰণী কিছু সে জানন্দে দিশাহারা। মিঃ বেট্‌সের সঙ্গে সঙ্গে খুঁটপুট নিতেও পারে নাই, "দানের বেশী কিছু লইতে সাহল। করি খিড় বীর সবজি-ব কৱে নাই বাগানে বেড়ানো ছিল টনার আর একটা আমোদ । খোকা। শেভালে-প্রাসাদের একঘেয়ে দিনগুলির সুশাফি লোকা সবুজ আর কালো আঙ, চালের উপর হইতে শীঘ্ৰই ভাঙিয়া গেল বাগানের রাস্তাগুলি দিয়া অহা থাকিত, টনার ছোট হাতখানি বাড়াইয়া ধরিবার পাথর বোকাই গাড়ী চলিতে চলিতে রাস্তার চাকার দাগে চেষ্ট কবিত, কিন্তু সে যে তােহা নাগালের অনেক উপরে টানা লম্বা লম্বা গৰ্ত্ত হইয়া গেল সবুজ উঠানের ছোট হাতখানিব আশা মিটাইবার জন্য শেনকালে একটি চুনবালিতে একেবারেই লোপ পাইল, আর সেই নিজ ৈিল কি সুগন্ধি ফুল আসিয়া জুটিত। পাড়াগায়ের শাস্থিনর বাড়ীটিতে ব্ৰাথমিী আর ছুতোর মিীর অবিশ্ৰাম ই প্রকাও বাড়ীর লোকজনদের দীৰ্ঘ অবসর । সারাদিনই ঠক্ঠকানি ধ্বনিত হইতে লাগিল । ইহার পর দশ বৎসর ৰতন না একজন টিনাকে লই৷ খেলিতে বাস্তু। এমনি বরিয়া প্ৰক্ৰিষ্টফার বাড়ীর চেহারা বলান ব্যাপারেই বা করি দক্ষিণ দেশীয়া ছোট পাখাটির উত্তর দেশের বাসাট হইয়া বহিলেন । পুরানোধরণ ভাঙিয়া-চুরিয়া গথিক ধরণে সোহাগে ভরিয়া উঠিল দহম ও অভিমানী গড়িয়া তোলাই এখন তাহার কাজ হইয়া ধাড়াইল । তাদের শিশুরা যদি এত সাদরে মানুষ হয় তবে সামান্য এক ধানেই তিনি মগ্ন । আশেপাশের শিকার প্ৰিয় বড় একটি চ সন্ধ করাও তাদের পক্ষে কঠিন হইয়া মাছধরা সন্ধান্ত ইংরেজ-বংশের ছেলের এমন অপূৰ্ব্ব খেয়াল উঠে, কুছ ঘটনাও তাহদের মনে বড় কঠিন হইয়া জাগে দেখিয়া কত যে নাক সিটকাইল তাহার ঠিক নাই শাসন কি শিক্ষার ভিতর একটু কৰ্কশভাৰ কি জমিদারের ছেলে কিনা শেষকালে মাত্ৰ তিনটা ঘোড়া আচাৰ দেখিলেই টনা একেবারে ক্ষেপিয়া আগুন বালি, আর ভাড়ারের দিকে, শক্ত চাৰি লাগাইল । চাহাকে তখন কথা শুনায় কাহার সাধা সব ৰিয়েই সে টাকা বঁাচাইয়া বাড়ী ৰূপ ফেরানো হইবে ; হাৱে কপাল । দতনাছিল, কিন্তু তাহার প্রতিহিংসা-প্ৰবৃত্তিটা অতটুকু বাদের গৃহিণীরা ভাড়া ও আঞ্জাবলের খবরে বিশেষ কি কে মােটেই আনাইত না সে যখন পাঁচ বৎসরের মন্দ দেখিতে পান নাই, তবে ৰোচারী লেডি শেষারেলকে যে ।