পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী---শ্ৰাবণ, ১৩২৪ কিন্তু তখনি আবার তাহার মনে হইল দয়াদেবী ত শয্যাগত ইয়া পড়িয়াছেন, তিনি ত সংসার অার দেখিতে পায়েন না, স্বামী লোও করিতে পারেন না ; অতএব এসবের জঙ্গ একজন লোকের আবশ্যক ! মাইনে-করা লোকের দ্বারা তেমন কাজ পাওয়া যায় না, তাহারা দরদ দিয়া বঙ্গ করিতে পারে না সুতরাং উহাকে সার-একটি জাগয় মেয়ে দেখিয়া বিবাহ করিতে হইবে । বিবাহ কৰিলে সেই ঐীর যদি সস্তান হয় তবে ত বিষয়সম্পত্তি সব তাহার তখন ধীরেন মায়াকে লইয়া দাড়াইবে কোথায় ? মায়াকে কোনো, ধনীর এক পুরের সঙ্গে বিবাহ দিয়া দিতে গুণময়ের চিন্তা জমিয়াই কাজে পরিণত হইতে চায় তখনি পঞ্চাননকে জাক গড়িল৷ পঞ্চানন আসিয়া জিজ্ঞাসা করিয়া—ভায়া অামায় তলব ১৭শ ভাগ, ১ম খ সম্পত্তি ভোগ করবে কে ? বাপতিম’র পিণ্ডিই কি ো পাবে ? এর একটা ত সব ব্যবস্থা করা দরকার । গুণময় মনে-মনে খুশী হইয়া গোপের তলায় হাসি চাপিয়া বলিলেন– তবে কি তুমি পুব্যিপুস্তানি প পঞ্চানন মহা-বাস্ত হইয়: বলিয়া উঠিল - অারে রাম । পুষ্যিপুস্তু আবার মানুষে নেয় ? ঐ ত পাহ নেশ্বর চৌধুরীর রাণী পুধিপুর নিয়েছিল, তাতে কা ভালোটা হ’ল ? তোমার বয়স কি ? কর, সংসার বায় বে, ছেলে নেই ছেলে হবে ভোগ করবার কি পাবার জন্মের পরের ছেলেকে পণ্ডি করে আনতে হবে না নাগার সন্তে ঘটকের যেমন খুবে অমনি সেইসঙ্গে একটি ভাগর সুন্দ পাৰ্জীও নেৰে । মায়ার বিয়ের পর তোমার ও বিয়ে অম্বাণ মাসে গুণময় তাড়াতাড়ি গড়গড়া নাটা রাখিয়া দিলেন গুণময় গদ ইয়া বাধানো ধাত পঞ্চানন তাহার কৰ্ম্মচারী হইলেও হাজার হোক বয়সে বড় ৰিকশিত করিয়া বলিতে লাগিা লন—তা...তা..গিরি ও ব্ৰাহ্মণ ত ! বলিলেন- মায়া ত বড় হয়ে উঠেছে, তার অবস্থায় বিয়ে করাটা কি ভালো দেখাবে ? লোকেন্ধি একটা বিয়ের চেষ্টা ত করতে হয় বাবে ?

  • া তা হয় বৈ কি পঞ্চানন জোৱ দিয়া বধিয়া উঠিল—লোকে কা

—খর লেবো নয় ; এই অজ্ঞাণ মাসেই বিয়ে দেওয়া ধড়ের ওপর দুটো মাথা আছে যে তোমা কিছু বলা চাই গিনি ত এখন-তথন হয়ে আছেন, মেয়ে বিয়েট আর বাণীব ? তার এমন অবস্থা বলেই ত তোমা দেখে যেতে পারলে বেশী করে দরকার ; বংশ রাখতে হবে না : গি পঞ্চানন প্ৰস্তুর ন - সি সে লজিয়া লইয়া পুৰ্বল এক গাধ জলের ঈষ্টে হাহাকার বারা উঠিল - তবু সুখে মরতে পারবেন—সে কথা কি মুনি গল্প ও জানো জায় বলতে আনি দশজন ঘটক লাগিয়ে এই নাসেই গুণময় গোপ টানিতে টানিতে খুব গম্ভীর সন্ত ঠিক করে ফেলব বলিলেন—। তা তো জানি, সেইজষ্টেই ত বিয়ে গুণময় একটু ইতস্তুত কন্ধি আমতা-অমিতা করিতে এত স্নাকিঞ্চন—অামার নিজের জন্যে কি ? পিছে করিতে বলিলেন—া, তা...আর একটা কথা কি ভালো পিণ্ডির জনো ? ঐ বীরেনটা ত অামারই ছেলে বলব মনে করে ডেকেছিলাম.… তুলে যাচ্ছি- ওর নাম কি পারত, ওর মায়ের সঙ্গে আমার বিয়ে হলে তাকে হা গিলি’ত এখন-তথন হয়ে রয়েছেন.. বুলে কিনা। অপঘাতে মতেই ৰ৷ হত কেন শুভ কাৰ্যো হস্তাৱক পঞ্চানন আঁচে গুণময়ের মনের কথা আন্দাজ কারিয়া ত৷ ঘটকদের একটি পা লিয়া উঠিল—আমিও তোমাকে একটা কথা বলব-বলব খোজ করতে তা হলে বলে দিয়ে, কিন্তু খুব গোপনে দিন থেকে মনে করছি। রাণীবোঁ এর 'ত ঐ অবস্থা একটা ভালো মন্দ হয়ে গেলেই কাজটা সেরে ফেল প্লাজ-সংসারটা ত বজা রাখতে হয় এত বড় বিধত্ব কিন্তু দেখো মুণামরেও এখন যেন কথাটা না ঘাস হয়। ৪ৰ্থ সংখ্যা] পুস্তক-পরিচয় পঞ্চানন উঠিয়া দাড়াইয়া বলিল—আরে রামঃ । সে মায়া চিঠিখানি কুড়াইয়া লইয়া আপনায় খেলাঘরে এই আমাকে বলতে হবে কেন ? আমি বটয়ে দেবো নুতন সম্পটি রাখিতে চলি যাবার পাত্ৰ খুঁজতে ঘটক লাগিয়েছি ; তা হলে তার কেউ গুণময় সেই সময় বাড়ীর ভিতর থাইতে জাসিতে কাজও পাবে না ছিলেন । গন্ধীর হইয়া ভাকিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন মায় পঞ্চানন চলিয়া যাইতেছিল, তাহাকে ডাকিয়া গুণময় তার হাতে কি ? দিক ওদিক চাহিয়া চাপা গলায় বলিলেন—মেয়েটি সুন্দর মায়া ভয়ে-ভয়ে বলিল—চিটি মত হোক না হোক যেন বেশ ভাগ হয়- এসেই যেন সংসার বুঝে নিতে পাৱে মায়া আস্তে আস্তে গিয়া চিঠিখানি বাবার হাতে দ্বি পঞ্চানন গম্ভীর ইহা ঘাড় নাড়িা বলিয়া গল—তুমি স্বাম হইতে বাহির করিয়া গুণময় যেই চিঠির উপয় চোখ নিশ্চিন্তয়ে থাক ভায়, ডাগর ও হবে সুন্দরও হবে । রাখিয়াছেন সেই অবকাশে মায়া সেখান হইতে পলায় দয়াদেবী যখন শুনিলেন যে বীরেনের সহিত মায়ার কৰিল বিবাহ দেওয়ায় বাবুর মত নাই এবং নায়ার বব খুজিতে গুণময় চিঠি পঢ়িয়া দেখিলেন দয়াদেবীর যোৰপুরের ঘটক লাগানো হেয়ছে, তখন আরএকটি অভিলা মসী বস্থা কন্যা প্রজবালার বিবাহ এখনো দিতে না। না হওয়ার দুঃণ তাহার রোগীৰ্ণ বক্ষে দারুণ হইয়া পরিয়া বিত্ৰত হইয়া ধনীর গৃহিণী বোনকির সাহায্য প্ৰাৰ্থন বছিল । তঁহার রোগ অত্যন্ত বৃদ্ধি পাইল করিয়াছেন । যদি বোনবি ও জামাইএর অনুমতি পান ( ) তিনি মেয়েটকে লইয়া তাহাদের আশ্ৰয়ে থাকিয়া এ পড়ার ছুটির পর ধীরেনের কলেজ খুলিয়াছে, এবার সুপাতের সন্ধান করিতে পারেন। লে বি-এল পরীক্ষা দিবে, তাহার কলিকাতা না গেলেই গুণময় দুবার চিঠিখানি পড়িয়া ভাজিয়া খামে বিয়া । ধীরেন চলিয়া গেলে দয়াদেবীর কাছে-কাছে থাকিয়া পকেট রাথিলেন । সেৱা করিবার একজন লোক দরকার । দয়াদেবী ( ক্ৰমশ ) বাহিনীকে দিয়া স্বাধীকে জিজ্ঞাসা করিয়া পাঠাইলেন—- ৰিপুরের মাসীকে হয় না ? তিনি অনেক আনিয়ে িনলে দি থেকে একবার আসতে চায়ন । গুণময় বলিলেন—wাট বাড়াবা দরকার নেই পুস্তক-পরিচয় মোহিনী ফিরিয়া অসিয়া অাবার বলিল-মা বললেন, পুত্ৰভূপেন্দ্ৰনাথ দত্ত প্ৰাণীত পপার রোড কণিকাত পৃষ্ঠা, সচিত্ৰ। ছয় আনা তিনি ত শয্যাগত হয়ে পড়ে অাছেন, আপনার খাওয় কাব্য পুরাণ হইতে কয়েকজন আদৰ্শ পুয়ে আঘাষিা কি হবে না হচ্ছে দেখতে পারেন না, হোবপুরের ৬াদের চবিত্ৰ হইতে শিক্ষণীয় উপদেশ এই পুস্তিকায় পঞ্চ ক্ষ সমাসবদ্ধ পদের ঘনঘটােচ্ছন্ন বৰ্ণনায় প্ৰকাশ করা হইয়াছে । ছে মি এলে আপনাব খাওয়া-দাওয়া দেখতে পারেন বৰ্ণনার বিপদ এই যে তাল ঠিক রান্বিতে না পাৰিলেই ভাৱাৰি । গুণময় গম্ভীর হইয়। বলিলেন—আমার দ ল্পে গিরির লেখক সংস্কৃতের কসরৎ বাংলা পেলাইতে দিয়া কাণ্ড কীি দ্বাৰতে হবে না, আমার ব্যবস্থা অামি শিগগির করে নেবো বসিয়াছেন মন্দ ন দুটি টাস্করণ দিতেছি-“আপনার প্রতিডিতে দেবী মোহিনীর মুখে স্বামীর উক্তি শুনিয়া বাথিত কৈকেয়ীকে রিপ্ৰতিজ্ঞ দেখিয়া” ইত্যাদি ( ৪ পৃষ্ঠা), তাই তিৰি উদ্বিগ্ন হইয়া বালিশের তলা হইতে একথানা চিঠি বাহির কল্পনার হিময়ী হথে চড়িয়া" ইত্যাদি ( ২ কৈকেয়ীর বিশেষণ ও হিয়ী কল্পনা গৱে বকিলো ৱেবিশে, বিয়া চুড়িয়া ফেলিয়া দিয়া ক্ষুৰ স্বরে বলিয়া উঠিলেন ষে খেয়াল লেখক বাণিতে পারেন নাই । খাবার সাদাকা কাছে আবার লোকে সাহায্য চায় ! চনা কহিলে লেখককে লৰ মালাই ত পোহাইতে ছাই, কিয়