পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী—ভাদ্র, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড মুক্তি পাইয়া বালি, তাহার চোখ দিয়া জল গাইয়া তাহার নিষেধ সবেও বীরেন রাজবালাকে ডাকিল, পড়িতে লাগিল৷ রাজবালা আসিয়া তাহাকে নৱক কুণ্ডে পড়িয়া থাকিতে দেখিল বলিয় এমন সময় মোহিনী-য়ি সেখানে অধিয়া হাসিয়া বলিয়া এবং তাহার সহিত থেলা অপেক্ষা ব্লাজ উঠিল—ছি দাদাবাবু। ছেলেমানুষের মাৱে তুমি কাদছ বালার সহিত খেলিতেই বীরেনের বেশী জাগ্ৰহ, এতক্ষণ বীরেন মুখ বিষন্ন করিয়া খেলিতেছিল, এখন রাজবালাকে মায়া চোখ তুলিয়া বীরনের মুখের দিকে চাহিয়া যেই দেখিরা তাহরে মুখ হাদিতে উদ্ভাসিত হইয়া উঠিয়াছে দেখিল বীয়েনের চোখ দিয়া জল পড়িতেছে, অমনি সেও ৬ দেগিয়া, ম ক্লাগে একেবারে সলিয়া উঠিল এবং “তোমরাই করিম কাদিয়া ফেলিল তাহার কান্না দেখিয়া মোহিনী বিমাপ করিল ও মায় খেল, তোমরাই খেল” বণিতে বলিতে দানের কড়ি চুড়িয়া মাহিনীর উপর চুড়িয়া বীরেনকে সজোরে মারিল ও কাগজের ছানা মায়ার উপর বিরক্ত হইয়া তাড়াতাড়ি নিজের চোপ কুটিকুটি করিয়া ছিাড়িয়া বাগবাণীর মুথের উপর ফেলিয়া দিয়া ঘর হইতে ছিটকাইয়: বাহির হইয়া গেল মুছিয়া মোহিনীর দৃষ্ট হইতে পলায়ন কবিয়া মায়াকে নিতে টানিতে লইয়া মায়ার গেলিবার ঘরে চবিয়া গেল একড়া কড়ি ছিটকাহঁয়া গিয়া বীরনের চোখে ছিা । ধীরেন কাপড় দি ধীরেন মায়ার চোথ মুছইয়া বলিল—চুপ করে। লক্ষ্মীঢ়ি । চাথ চাপিয়া রিয়া এস গোলোকধান খেলি বসিয়া পড়িল, তাহা দেখিয়া ব্লাবালা তাড়াতাড়ি মায়া কৃষ্ঠ অভিমানের স্বরে বলিয়া উঠিল—তুমি যেমন ধীরেনের হাত ধরিয়া বলি-ছাড়ো ছাড়ো আমি দেখি, কাপড়ের তাপ দিয়ে দি দুষ্ট নম্নককুণ্ডে পড়ে পচে মর ত বেশ হয় ! হে হরি কিছুতেই যেন বীরেন-দার এক-চিত না হয় । রাবাল বীরনের চোখ হইতে তাহার হাত সৱা ধীনে সান হাসি হাসিয়া বলিল-শুধুমার একেবারে নিজের আঁচলে খুটের দুটি পাকাইয়া সুন্দ দুখানি গাল সাতটিতে গোলোক-ধাম গমন হবে । ফুলাই ফুলাইয়া তাহার উপর ফু দিয়া দিয়া চোখে তা মায়াজেদ করিয়া বলিল— ককানো না। দিতে, লাগিল অনেকগণ পরে ধীনে চোখ খুলিতে পারিলে রাজবালা ব্যথিত স্বরে বলিয়া উঠিল—ম গেলে দুজনে ছক-পাতিয়া খেলিতে বলি চোখের শাদার ওপরে রক্ত জমে গেছে যে খেলিতে আরম্ভ করিয়াই মায়া নরককুণ্ডে গেল এ চোথের তারাতে যাগেনি। এখনো ব্যথা করছে কি ? তাহাতে মায়া অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হইয়া উঠিল। । সে ক্ৰমাগত বীরেন এমন মাৱ মুহুর্তে মুহূৰ্বে থাইতে প্ৰস্তুত ছিল কড়ির দান ফেলিতেছে কিন্তু একচিত আর হয় না ; ওদিকে এমন ব্যথার বাণী দরদের মরমী যদি তাহার কা ধীনে টপ টপ করিয়া উপরে উঠিয়া চলিয়াছে করে । ধীরেন হ বণিল— অমন মুখের ফু কা সময় ধীরেন, দেখিল রাজবালা সেই রে সামনে দি পালার জন্তে ব্যথা ত যেতে চাচ্ছে ন রেন তাড়াতাটি টুিপি মাথাকে বলি রাজবালা মুখ লাল হইয়া উঠিল হোবিদ মারা, তোমার মাসীকে ডাকো, তিন জনে থেলি রি সর হইতে বাহির হইয়া চলিল৷ বীরেন যা মায়া একবার ঘাড় ঘুরাইয়া রাজবালাকে দেখিয়া গম্ভীর হয়৷ * লা হাত ধরি মিনতির স্বরে বলি-দি তাষে বলিল—না, ওর সঙ্গে ধেলব না। । চলে মেয়ো না। আমি তোমায় একটু দেখবো সে বালা চলিয়া যায় দেখিয়া বীরেন তাড়াতাড়ি দেবতার মতন যে মা তার কাছেও মিথ্যে কথা কৰেছি ডাকিল—তোমাকে মায়া গোলোকধাম খেলতে ডাকছে তোরস্পৰ্শ মা অশ্লেষা পাঁজিতে নেই, আমার মনোহে জবালা হাসিমুখে ময়ে আসিয়া. কিল । বলে এ তিনদিন আমার যাত্ৰা নিষেধ ! মায়ার বাবাদে বীরেন হাসিয়া দলিল-এস, গোড়া থেকে খেলি.. পেলে আমার আস্ত রাখবেন না। তবু ত আদি দেয়। ৫ম সংখ্যা ] দুই তার পারছি না। তুমি আয় দিন পরে আমি চলে গেলে এলে (১২) ফোন ? গুণময় রাজবালাকেই খুজিয়া জবালার মনের মধ্যে বিচিত্ৰ সুরে জলতরঙ্গ বাজিয়া তিনি পীড়িত৷ স্ত্ৰীকে দেখিতে এতদিন একবারও ল। এই সুশ্ৰী সুকুমার অঞ্চণ ৰক তাহাকে একটু ঘরের চৌকাঠ ডিঙান নাই ; আজ রাজবালার সন্ধানে দেখিতে পাইবার জনা কী কঠিন কাণ যে করিয়াছে তাহা আবার তিনি দয়াদেবীর ঘরে গিয়া চুকিলেন । কিয়াই লে বুঝিতে পারিতেছিল রাজবালা অক্ষণেই বুঝিতে দেখিলেন সে-সরে রাজবালা নাই ; দয়াদেী ইয়া আছে, পারিয়াছে যে দয়াদেবী বিৰূপ মতানী সরলাদা। তাছাকে পাশে মায়ো মুগ ডা করিয়া বসিয়া আছে। গুণ প্ৰাণা করা বড় অন্যায় বলিহাই বড় কঠিন। আবার জিজ্ঞাসা করিলেন— — ছু কোথায় ? কপ ভগ্নান তাহ। কারণালঃ নিচে ঠেকি । দয়াদেবী দীৰ্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া মুখ ফিরাইবোন । তাছা বিয়াছে, গুণময়কে দেখিয়াই বীরেন্দ্ৰ ভয়ে কিৰূপ ম্যাকাশে কে কামার তুফান ফুলিয়া-চুলিয়া উঠিতেছিল। মায় ইয়া গিয়াছিল ত ও সে দেথিয়াছে এবং ধীরেন কালই চোখ পাকাইয়া বাবার দিকে তাকাইয়া হিল, কিছু লিঙ্গ কলিকাতা চলিয়া না গেলে যে তাহার রক্ষা থাকি মায়া ভাবিতেছি ল—এ এক কোথা হইতে মাপ তাহাও রাজবালা দয়াদেবীর কাছে আসিয়া উপস্থিত হইল,--বীরেনাবা তাহাকেই চায়, নিয়াছে ক্লাবালা আবার ইহা ও শুনিয়াছে যে তাহরে তাহার বাবাও তাহাকে খুজিয়া বেড়াইতেছে মা গুণময়কে জিজ্ঞাসা করিাছিলেন ধীরে শুই কি রাজ কেহ কিছু কথা বলিল না দেখিয়া ও গুণসৱে য়াগ মালার নিষ্টি বর ? এইসব ব্যাপার মিলিয়া মিশিয়া হইল না, কারণ কাহার ও উত্তর নিবার অপেক্ষায় তিনি রাজবালার মনের মত ও ঐতিকে ধীরেকেরই অভিমুখী সে ধরে এক মুহও বিলম্ব করিলেন , খেৰ দোকা দিহা তুলি ; খ্ৰীতির ফুলের প ঐতির কুল দিয়া অমনি বাহির হইয়া চলিয়া যাওয়া। গুণময় সকল তোহা প্ৰণয়ের পুষ্পমালা গাণিয়া তুলিতে লাগিল, উকি মাদ্বিতে-মারিতে ঠাকুরঘরেই গিয়া উপস্থিত হলেন ধীৰেত্রের গলা বরমালা দান কৰিবে বলিয় ঠাকুরঘরে শুধু সামনেই দরজা ছিল, সুতরাং ধীয়ে মথন মনোভাব পুষ্পধনু লইয়া দুটি হৃদয়ে চাদমারি পলায়নের কোনো উপায় না দেখিয়া গুণময়ের ঘৰে দিতে ব্যস্ত ছিলেন তখন হঠাৎ তাহার সকল খেলা চুকিবীর, আগেই ফস করিয়া পাশ-কুঠুরীতে গিয়া তাৰা ঘাইয়া ভয় লাগাইয়া গুণময়ের চষ্টিতা পটাস-পটাস দরজা ভেজাইয়া দিল ; এই পাশ -কুঠুরীতে ঠাকুয়ের বাসা রিয়া ভাকিয়া উঠি, বীরেন ঐ শব্দষ্ট বিলক্ষণ চিনিত কোন থাকে, এখান হইতে বাহির হইবার পথ ঠা য়েন্ত্ৰ চকিত হইয়া “মায়ার বাৰু, ৰলিয়াই পিনের ঘরের ভিতর দিয়া ছাড়া অন্য দিকে নাই। দ্বীয়েনকে জা দিয়া পলায়নের উপক্ৰন ক হঠাৎ পলায়ন করিতে দেখিয়া ভীত রাজবালা তাড়াতাড়ি সহায় ফেলিয়া পণায়ন করিতেছে দেখি । রাজবালা ও গিগা মায়ের কাছ-ঘাঁসিয়া বসিল ভাবার সঙ্গে-সঙ্গে চুটিতে-ফুটিতে ভয়ে শুদ্ধ কণ্ঠে বলিল— গুণময় ঘরে চুকিয়াই ছপাট বাধানো মাত ৰাছিয় গামাকে দয়া-দিদির ঘরে দিলে এস করিয়া হাসিয়া বলিলেন– এই যে বাজু, তুমি এখানে, জার বীরেন বলিল,— ঐ দিকেই ড ও যাচ্ছে ! তোমার আমি তোমাকে সারা বাড়ী গোরু-খোজা করে ৰোছি। ঠাকুরঘরে আছেন, ঠাকুরঘরে চল তালিকার প্রতি এই চাষাড়ে রসিকতা প্ৰয়োগ কহিয়া ব্যাব-তাড়িত হরিণ-হরিণীর মতন তাহারা এর সেখর গুণময় লুক্তি কঁপাইয়া-কঁপাইয়া খুব হাসিতে লাগিলে, গর হুইয়া ঠাকুরঘরে গিয়া পড়িল সে হাসি আর থামিতে চায় ন সেই হাসি দেখিয়া ভয়ে রাজবালার , মুখ কিন্তু শুকাইয়া এতটুকু ইয়া গিয়াছিল। তাহা লক্ষ্য না করিয়া গুপম হাসি সালাইয়া